আমাদের সমাজে প্রচলিত বহুবিধ বিদয়াত আছে। সেগুলোকে আমরা দু'ভাগে ভাগ করতে পারি।
একটা হলোঃ আকিদাগত বিদয়াত এবং অন্যটা আমলগত বিদয়াত। বর্তমান সমাজে প্রচলিত আকিদাগত বিদয়াতের সংখ্যা অনেক। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি নিম্নরূপঃ
(তথ্যসূত্রঃ তরীকুল ইসলাম ও আল-আকাইদ আল ইসলামিয়্যাহ, পৃষ্ঠা নং ৩৪৪)
আমি কিছু রাষ্ট্রীয় বিদআতের নাম উল্লেখ করলাম যেমন শহীদমিনারে মাথা নত করা নীরবতা পালন করা খালি পায়ে হাঁটা রাস্তার বাম পাশ দিয়ে যাওয়া কোন কিছুর শুরুতে বিসমিল্লাহ না পড়া মূল কথা হচ্ছে বিদআত হচ্ছে শিরকের পরে বড়গুনা কারণ মানুষ গুনা করে গুনাহ মনে করে আর বিদাআত করে সোয়াব মনে করে এইজন্য শয়তান বেশি খুশি হয় যখন একজন মানুষ সোয়াব মনে করে বেদাত করে
বিদআত বলা হয় দ্বীন ও ইবাদতে নব আবিষ্কৃত কাজকে। অর্থাৎ দ্বীন বা ইবাদত মনে করে করা এমন কাজকে বিদআত বলা হবে, যে কাজের কুরআন ও সহীহ সুন্নাহর কোন দলীল নেই। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেন, তোমরা (দ্বীন) নব উদ্ভাবিত কর্মসমূহ (বিদআত) থেকে বেঁচে থাকবে। কারণ, প্রত্যেক বিদআতই ভ্রষ্টতা। (আবূ দাঊদ, তিরমিযী) মুসলিমের অন্য এক বর্ণনায় আছে, যে ব্যাক্তি এমন কাজ করল, যে ব্যপারে আমাদের নির্দেশ নেই, তা বর্জনীয়। তিনটি উল্লেখযোগ্য বিদআত হচ্ছেঃ ১। মিলাদুন্নবী বা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জন্মদিবস পালন একটি বিদআত। নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অথবা তাঁর সাহাবীগণ অথবা তাবেয়ীগণ হতে এই দিবস পালনের অনুমোদনমূলক কোন উদ্ধৃতি পাওয়া যায় না। ২। নিঃসন্দেহে মৃত ব্যক্তির বাড়িতে চল্লিশা কোরানখানী মাহফিল করা বিদআত। কেননা ইহা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বা তার সাহাবায়ে কেরামের যুগে প্রচলিত ছিল না। ৩। ইবাদতের নিয়ত মুখে উচ্চারণ করা বিদআত। যেমন, নাওয়াইতোয়ান...! যেহেতু তা মহানবী (সাঃ) তার কোন সাহাবী কর্তৃক প্রমাণিত নয়। নিয়ত মানে সংকল্প। আর তার স্থান হল মনে। অতএব তা মুখে উচ্চারণ করার কোনই প্রয়োজন নেই। বলা বাহুল্য, নব আবিষ্কৃত পার্থিব কোন বিষয়কে বিদআত বলা যাবে না। যেমন শরীয়াতে নিষিদ্ধ কোন কাজকে বিদআত বলা হয় না। বরং তাকে অবৈধ, হারাম বা মাকরূহ বলা হয়।