মক্কা জীবনে মুহাম্মাদের (স) জীবনে যে তিনটি প্রধান অলৌকিক ঘটনা ঘটে যায়, তাঁর মধ্যে এটা একটা... মিরাজ, সাওর পর্বতের গুহায় মাকড়সার জাল আর এই চন্দ্রদিখন্ডন।
হাদিস মতে, মক্কার কুরাইশরা মুহাম্মাদ (স) কে মানতে চায়নি। তারা মিরাকল দাবি করে। তখন মুহাম্মাদ (স) জিজ্ঞেস করেন, আল্লাহ যদি তাঁকে দিয়ে কোন অলৌকিক কাজ করান তাহলে তারা কি বিশ্বাস করবে? মুসলিম হবে? তারা হ্যাঁ বলল। এরপর রাসুল (স) দু রাকাত নামায আদায় করে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করলেন, আর এরপর আঙ্গুল দিয়ে ইশারা করলেন চাঁদের দিকে। চাঁদ দু ভাগ হয়ে গেল এবং এত দূরে অবস্থান করল টুকরোদুটো যে মাঝে নূর পর্বত (হেরা) দেখা যাচ্ছিল... এর পরেই আবার PERFECTLY জোড়া লেগে যায় চাঁদ। কিন্তু কুরাইশরা বলল, “আমরা মানব না। এটা তো স্পষ্ট জাদু।” তখন থেকে মুহাম্মাদ (স)কে জাদুকর বলেও গালি দেয়া হত... পরে, মক্কার আশপাশ থেকে কাফেলা আসলে বেদুইনদের জিজ্ঞেস করা হয়, তারা কি চাঁদ দুভাগ হতে দেখেছে? তারা স্বীকার করে যে, তারা দেখেছে।
ইসলামিক স্কলাররা এ ব্যাপারে একমত না, যে, এটা actual split ছিল নাকি optical illusion দেখানো হয়েছিল, কিন্তু, এটা সিওর একটা অস্বাভাবিক কিছু হয়েছিল। মিরাকল। কিন্তু, মক্কার মানুষ বিশ্বাস করেনি।
কুরআনে এটাকে আসল ঘটনাই বলা হয়েছে... এ ঘটনার পরে সুরা ক্বামার (চাঁদ) নাজিল হয় যার প্রথম ২ আয়াত...
...চন্দ্র বিদীর্ণ হয়েছে... তারা যদি কোন নিদর্শন (মিরাকল) দেখে তবে মুখ ফিরিয়ে নেয় এবং বলে, এটা তো ক্ষণিক জাদু।” (ক্বামার, ৫৪:১-২)
POINT MUST BE NOTED, মুহাম্মাদ (স)কে নিজস্ব কোন মুজেজা দেয়া হয়নি। অলৌকিক ক্ষমতা দেয়া হয়নি। তিনি সাধারণ এক মানুষ ছিলেন, আল্লাহ তাঁকে সাধারন থেকে অসাধারণ করে তোলেন। এটাই তাঁর অসাধারণত্ব। মুজেজা বলতে মিন করছি, কোন পাওয়ার যেটা always কোন নবী ইউজ করতে পারতেন। যেমন, ঈসা (আ) সর্বদা অসুস্থকে সুস্থ করে তুলতে পারতেন, আল্লাহর ইচ্ছায়। মুসা (আ) সর্বদা সেই লাঠিকে সাপে পরিণত করতে পারতেন আল্লাহ ইচ্ছায়, তিনি বগলে হাত রেখে বের করে আনলে তাঁর হাত থেকে প্রচণ্ড আলো বিচ্ছুরিত হত, আল্লাহর ইচ্ছায়। এগুলো Past INDEFINITE tense এ, “করতেন”; Past PERFECT tense না, “করেছিলেন” না। কিন্তু, মুহাম্মাদ (স) কে মুজেজা দেয়া হয়নি এই অর্থে যে তাঁর জন্য কোন Past INDEFINITE পাওয়ার ছিল না। তবে Past PERFECT ঘটনা ছিল।
যাই হোক, চন্দ্র-দিখন্ডন এর ঘটনার অনেক প্রুফ দেখানোর চেষ্টা করা হয় নেট-এ, নাসার কিছু ছবি থেকে... এটা নিয়ে অতিরিক্ত ইমোশন দেখানো হয়েছিল... এতে ক্ষতি হয়েছে ইসলামেরই, কারণ ছবির ব্যাখ্যা ভুল ছিল...
ছবিটা এমন, এখানে দেখা যাচ্ছে চাঁদের যে জায়গায় দু ভাগ জোড়া লেগেছিল সে জায়গা, এখনও ফাটলের চিহ্ন দেখা যাচ্ছে... এসব পোস্ট ফেসবুকে ছড়িয়ে পরে।
আসলে যে ছবি আপনারা দেখছেন নাসার, সেটা আসলে Moon Rilles নামে পরিচিত। অর্থাৎ গিরিখাদ।
“যদি কোন পাপাচারী ব্যক্তি তোমাদের কাছে কোন সংবাদ আনয়ন করে, তবে তোমরা পরীক্ষা করে দেখবে, যাতে অজ্ঞতাবশতঃ তোমরা কোন সম্প্রদায়ের ক্ষতিসাধনে প্রবৃত্ত না হও এবং পরে নিজেদের কৃতকর্মের জন্যে অনুতপ্ত না হও।” (হুজুরাত, ৪৯:৬)