শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

শরীয়াহ মোতাবেক বালেগ হওয়ার পর থেকেই পূর্ণাঙ্গভাবে গুনাহ লেখা শুরু হয়।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

মানুষ যখন থেকে সাবালক হয়, তখন থেকে প্রাপ্ত বয়স্ক হয় এবং তার পাপ লিপিবদ্ধ হয়। অর্থাৎ বালেগ হওয়ার পর সবার জন্য আল্লাহর হুকুম মানা ফরয হয়ে যায়। পুরুষ ও নারীর সাবালক হওয়ার বয়স। ইবনু উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, এক সমর অভিযানকালে আমাকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সামনে পেশ করা হয়। তখন আমার বয়স ছিল চৌদ্দ। কিন্তু তিনি আমাকে গ্রহণ করলেন না। সামনের বছর আরেক অভিযানকালে আমাকে তার সামনে পেশ করা হয়। তখন আমার বয়স পনের। এই বার তিনি আমাকে গ্রহণ করলেন। নাফি (রহঃ) বলেন, আমি এই হাদীসটি উমার ইবনু আবদুল আযীয (রহঃ) এর নিকট বর্ণনা করি। তিনি বললেন, এই বয়সটাই হল বালেগ ও নাবালেগের বয়সসীমা। (সূনান তিরমিজী, হাদিস নম্বরঃ ১৩৬৫ হাদিসের মানঃ সহিহ)। সুফইয়ান ছাওরী, ইবনু মুবারক, শাফিঈ, আহমাদ ও ইসহাক (রহঃ) এর অভিমতে তাদের রায় হল, কোন বালকের বয়স পনের বছর পূর্ণ হলে তাকে পুরুষ বলে গণ্য করা হবে। আর পনের বছরের পূর্বে যদি স্বপ্নদোষ হয় তবেও তাকে পুরুষ বলে গণ্য করা হবে। ইমাম আহমাদ ও ইসহাক (রহঃ) বলেন, সাবালকত্বের বিষয় তিনটিঃ পনের বছর বয়স হওয়া অথবা স্বপ্নদোষ হওয়া, যদি বয়স চেনা না যায় বা স্বপ্নদোষও না হয় তবে এর পরিচয় হল নাভির নীচে চুল উঠা। ইসলামি শরিয়তের বিধান মতে, প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক, সুস্থ মস্তিষ্কের ও সক্ষম নারী ও পুরুষের নামাজ, রোজা সহ শরিয়তের সব হুকুম পালন করা ফরজ। রোজা ও নামাজ ফরজ হওয়ার জন্য বয়স মুখ্য নয়, কেউ বালেগ হলে বা সাবালকত্ব অর্জন করলেই তার ওপর রোজা ও নামাজ ফরজ হয়ে যায়। বিজ্ঞজনদের মতে, আমাদের দেশের আবহাওয়া ও পারিপার্শ্বিকতায় এটি সাধারণত ছেলেদের ক্ষেত্রে ১৩ থেকে ১৫ বছরে এবং মেয়েদের ক্ষেত্রে ১১ থেকে ১৩ বছরে হয়ে থাকে। ক্ষেত্রবিশেষে ৯ বছরেও হতে পারে। এ সময় ছেলেমেয়েদের শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তন ঘটে; কণ্ঠস্বর পরিবর্তন হয়, আচরণে পার্থক্য ও নতুনত্ব তৈরি হয়; নারী বা পুরুষসত্তার স্বাতন্ত্র্য স্পষ্ট দৃশ্যমান হয়। এ সময় থেকে রোজা পালন ও নামাজ আদায় করা বাধ্যতামূলক। পালন না করলে কাজা আদায় করতে হয়, রোজা রেখে ভাঙলে কাফফারা দিতে হয়। এ সময় থেকে এদের সওয়াব ও গুনাহ লেখা শুরু হয়। অবহেলা করে রোজা না রাখা অনেক বড় গুনাহ। পিতা, মাতা বা অভিভাবক যদি এদের রোজা রাখতে নিরুৎসাহিত করেন, তবে তারাও গুনাহগার হবেন। (ফাতওয়া শামি)।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ