এদের মধ্যে পার্থক্য কি,বা এই চিত্র দুটিতে exat কি বুঝানো হয়েছে।

বিশেষ করে নিচের টা।image


শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

১ম চিত্রে ( বিক্রিয়ার হার বনাম সময় ) দেখানো হয়েছে, উভমুখী বিক্রিয়ায় বিক্রিয়ক পদার্থ যখন বিক্রিয়া করে উৎপাদে রূপান্তরিত হয় তখন সময় বৃদ্ধির সাথে সাথে বিপরীত বিক্রিয়ার হার অর্থ্যাৎ উৎপাদ পদার্থ বিক্রিয়া করে পুনরায় বিক্রিয়কে পরিণত হওয়ার হার ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পেতে থাকে, কারণ বিক্রিয়া চলাকালীন বিক্রিয়কের পরিমান বা চাপ(গ্যাসীয় হলে) কমতে থাকে অপরদিকে উৎপাদে এর পরিমান বাড়তে থাকে। তাই একটা নির্দিষ্ট সময়ের পূর্ব মুহুর্ত পর্যন্ত উৎপাদের বিক্রিয়ার হার বাড়তে থাকে এবং বিক্রিয়কের বিক্রিয়ার হার কমতে থাকে। আবার দেখুন একটা নির্দিষ্ট সময় থেকে সম্মুখ ও পশ্চাৎ বিক্রিয়ার হার যে রেখা দ্বারা নির্দেশ করা হয়েছে তা একসাথে মিলে গেছে কারণ ঐ সময় থেকে বিক্রিয়া সাম্যাবস্থায় থাকে আর কোনো বিক্রিয়া হয়না। ২য় চিত্রে( ঘনমাত্রা বনাম সময়  ), বিক্রিয়া শুরুর মুহুর্তে বিক্রিয়কের ঘনমাত্রা সর্বোচ্চ পর্যায়ে এবং উৎপাদের ঘনমাত্রা সর্বনিম্ন পর্যায়ে থাকে।  বিক্রিয়ার সময় যত বাড়তে থাকে বিক্রিয়ক পদার্থ উৎপাদে পরিনত হওয়ায় বিক্রিয়কের ঘনমাত্রা তত কমতে থাকে, তাই বিক্রিয়কের ঘনমাত্রা নির্দেশক রেখাটি ধীরে ধীরে নিচের দিকে নামতে থাকে। পক্ষান্তরে, ঠিক ঐ সময়েই উৎপাদের পরিমান বৃদ্ধির সাথে সাথে এর ঘনমাত্রাও বৃদ্ধি পায় বলে উৎপাদের ঘনমাত্রা নির্দেশক রেখাটি ধীরে ধীরে উপরের দিকে যাচ্ছে। এবার চিত্রে দেখুন, একটা নির্দিষ্ট সময় থেকে বিক্রিয়ক ও উৎপাদের ঘনমাত্রার রেখাদ্বয় সমান্তরাল হয়ে চলছে, অর্থ্যাৎ বিক্রিয়াটি সাম্যবস্থায় উপনীত হয়েছে, আবার লক্ষ্য করবেন বিক্রিয়কের ঘনমাত্রা ঠিক যে পরিমানে হ্রাস পেয়েছে উৎপাদের ঘনমাত্রাও কিন্তু সেই পরিমানে বৃদ্ধি পেয়েছে। এজন্য চিত্রে বলা হয়েছে সাম্যবস্থায় বিক্রিয়ক ও উৎপাদের ঘনমাত্রা অপরিবর্তিত থাকে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ