শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
HMMOBAROKBD

Call

আসমানী কিতাব বা ঐশ্বিক গ্রন্থ বলতে এমন কতকগুলো গ্রন্থকে বোঝানো হয়,ইসলাম ধর্মমতে মুসলমানগণ যে গ্রন্থগুলোকে আল্লাহ্প্রদত্ত গ্রন্থ বলে বিশ্বাস করেন।  ইসলাম ধর্মে যে ৭টি বিষয়ের উপর বিশেষ করে ঈমান আনতে বা বিশ্বাস স্থাপন করতে বলা হয়েছে তার মধ্যে একটি বিষয় হলো এই আসমানী কিতাব উপর বিশ্বাস স্থাপন করা, যেগুলো সরাসরি আল্লাহতালার পক্ষ থেকে রাসুলগণের উপর অবতীর্ণ হয়।উল্লেখ আছে, পৃথিবী সৃষ্টির পর থেকে সর্বমোট আসমানী কিতাব পাঠানো হয়েছে ১০৪টি। তার মধ্যে ৪টি হলো প্রধান আসমানী কিতাব ও বাকি ১০০টি সহীফা।

আর চার প্রধান আসমানী কিতাবের মধ্য থেকে সর্বশ্রেষ্ঠ আসমানী কিতাব হলো-আল কোরান৷  

কোরান যে আসমানী কিতাব তথা আল্লাহর বাণী এর প্রমাণ সরূপ আল্লাহ বলেন -  কুরআনে বলা হয়েছে,

নাকি তারা বলে, ‘তিনি এটা রচনা করেছেন?’ বলুন, ‘তবে তোমরা এর অনুরূপ একটি সূরা নিয়ে আস এবং আল্লাহ্‌ ছাড়া অন্য যাকে পার ডাক, যদি তোমরা সত্যবাদী হও।’

আরও বলা হয়েছে,

বলুন, ‘যদি কুরআনের অনুরুপ কুরআন আনার জন্য মানুষ ও জিন সমবেত হয় এবং যদিও তারা পরস্পরকে সাহায্য করে তবুও তারা এর অনুরুপ আনতে পারবে না।

যদিও মৌখিকভাবে পৌত্তলিকরা নবীর প্রচারিত বাণীকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করত তথাপি তারা কোরআনের মত আরেকটি গ্রন্থ কিংবা অধ্যায় এমনকি একটি আয়াত রচনা করতেও ব্যর্থ হয়।  

অথচ তারা কোরআনের ভাষা আরবির উপর অগাধ পান্ডিত্যের অধিকারী ছিল।

এতে সুনিশ্চিত ভাবেই প্রমাণিত হয় কোরআন সমগ্র বিশ্বের প্রতিপালক মহান আল্লাহর বানী।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

আল্লাহ প্রেরিত কিতাব, যেগুলি রাসুলগনের প্রতি অবতীর্ণ করা হয়েছে, সেই সমস্ত কিতাব সমুহ কে আসমানী কিতাব বলা হয়। যেহেতু কুরআন মাজীদ আল্লাহর পক্ষ থেকে তাঁর প্রিয় রাসুলে কারীম (সঃ) এর উপর অবতীর্ণ হয়েছে, তাই কুরআন মাজীদ কে আসমানি কিতাব বলা হয়।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ