সুযোগ থাকলে দূরের অপরিচিত মসজিদে যাবেন। আর অবশ্যই মানুষের চেয়ে আল্লাহ বেশি ভয়ের যোগ্য। আর মানুষের সমালোচনা ছুড়ে ফেলুন। কেননা রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্বয়ং মানুষের সমালোচনার শিকার হয়েছিলেন। আর আপনার মনকে শক্ত করুন। আল্লাহ তায়ালা আপনাকে যেভাবে সৃষ্টি করেছেন, সেটি নিয়ে সন্তুষ্ট থাকুন। আপনার চেয়ে আরো বেশি সমস্যাগ্রস্থ মানুষ পৃথিবীতে আছে।
প্রথমত, আপনাকে এটা অবশ্যই মনে রাখতে হবে, আপনি আল্লাহর বান্দা এবং তার বিধিনিষেধ মান্য করা ফরজ। আল্লাহর ইবাদত করতে গিয়ে কে কি বলল তা আপনাকে ভাবলে হবে না।
রাসূল (সা.) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি পরপর তিনটি জুমা বিনা ওজরে ও ইচ্ছা করে ছেড়ে দেবে, আল্লাহ তাআলা ঐ ব্যক্তির অন্তরে মোহর মেরে দেবেন। (তিরমিযী,আবু দাউদ, নাসাঈ, ইবনে মাজাহ)। অপর এক হাদীসে রাসূল (সা.) বলেছেন, জুমা ত্যাগকারী লোকেরা হয় নিজেদের এই খারাপ কাজ হতে বিরত থাকুক। (অর্থাৎ জুমার নামাজ আদায় করুক), নতুবা আল্লাহ তাআলা তাদের এই গোনাহের শাস্তিতে তাদের অন্তরের ওপর মোহর করে দেবেন। পরে তারা আত্মভোলা হয়ে যাবে। অতপর সংশোধন লাভের সুযোগ থেকেও বঞ্চিত হয়ে যাবে। (মুসলিম)। হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল (সা.) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি পর পর তিনটি জুমা পরিত্যাগ করবে, সে ইসলামকে পিছনের দিকে নিক্ষেপ করল। (মুসলিম)। সুতরাং জুমার নামাজ ত্যাগ করা মারাত্মক গোনাহ।
ইসলাম ধর্মের নিয়ম অনুযায়ী টানা তিন জুমার নামাজ না পড়লে সে কাফের হয়ে যায়।আর আপনি যে সমস্যার কথা বলতিছেন সেটা হলো আপনার মানসিক সমস্যা।মানসিক সমস্যার ভিতর থাকলে নিজেকে সবসময় এরকম মনে হয়।মানসিক সমস্যার জন্য আপনাকে নামাজ পড়া ছেড়ে দেওয়া যাবে না।তাই আপনাকে মানসিক সমস্যাকে এড়িয়ে জুমার নামাজ সহ পাচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তে হবে।