জানাযার সালাতের কাতার আর সাধারণ সালাতের কাতার এর মাঝে কোন পার্থক্য নেই। উভয় ক্ষেত্রে একই বিধান প্রযোজ্য। حَدَّثَنَا مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا أَبَانُ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " رُصُّوا صُفُوفَكُمْ وَقَارِبُوا بَيْنَهَا وَحَاذُوا بِالأَعْنَاقِ فَوَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ إِنِّي لأَرَى الشَّيْطَانَ يَدْخُلُ مِنْ خَلَلِ الصَّفِّ كَأَنَّهَا الْحَذَفُ " . আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন তোমরা (সালাতের) কাতারসমূহে মিলে মিশে দাঁড়াবে। এক কাতারকে অপর কাতারের নিকট রাখবে। পরস্পর কাধেঁ কাঁধ মিলিয়ে দাঁড়াবে। ঐ সত্তার শপথ, যাঁর হাতে আমার জীবন! আমি চাক্ষুস দেখতে পাচ্ছি, কাতারের খালি (ফাঁকা) জায়গাতে শাইত্বান যেন একটি বকরীর বাচ্চার ন্যায় প্রবেশ করছে। সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ৬৬৭ হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
ফরজ নামাজের কাতারের ন্যায় জানাযার নামাজের কাতার হবে। তাই আগে প্রথম কাতার পূর্ণ করবে অতঃপর দ্বিতীয় কাতার। এক্ষেত্রে সাহাবি মালেক ইব্ন হুবাইরাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু সূত্রে বর্ণিত হাদিসের উপর আমল করা যাবে না, কারণ তার বর্ণিত হাদিসটি বিশুদ্ধ হাদিসের বিপরীত, যার দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, প্রথম কাতার পূরণ করা ওয়াজীব।এবং দুই কাতারের মধ্যখানে ফাঁকা রাখার হুকুমও নামাজের কাতারের ন্যায়৷ তবে মুসল্লি সংখ্যা বেশি হলে কাতারকে ঘন করার মধ্যে কোন অসুবিধা নেই৷