শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

কুনুত দুই ধরনের একটি হলো সবসময় নামাজের অযিফা হিসাবে পড়া যাকে কুনুতে রাতেবা বলা হয়। আর অপর হলো কখনো কখনো প্রচন্ড বিপদ মহামাড়ি ও ব্যপক দুর্যোগকালে নামাজে একধরনের কুনুত পড়া হয় যাকে কুনুতে নাজেলা বলা হয়। এই দুই ধরনের কুনুতের ব্যাপারে ইমামদের মতবিরোধ রয়েছে। ইমাম শাফেয়ী (রহঃ) বলেন, স্বাভাবিক অবস্থায় সব সময় নামাজের অযিফা হিসাবে ফজরের নামাজে আর রমজান মাসের শেষ অর্ধেকে বিতর নামাজে কুনুতে রাতেবা পড়া হবে। আর প্রচন্ড দুর্যোগ কালে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজে কুনুতে নাজেলা পড়া হবে। আবার দুর্যোগ শেষ হয়ে গেলে তা বর্জন করে দিবে। পক্ষান্তরে হানাফী মাযহাবের উলামায়ে কিরাম বলেন, নামাজের অযিফা হিসাবে শুধু বিতর নামাজে বৎসরের সব সময়-ই কুনুতে রাতেবা পড়বে। অন্য কোন নামাজে নয়। আর প্রচন্ড দুর্যোগকালে শুধু ফজরের নামাজে কুনুতে নাজেলা পড়বে অন্য কোন নামাজে নয়। তবে আমরা বিতর নামাজের জন্য যেটা পড়ি তা হলোঃ ﺍَﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺍِﻥَّ ﻧَﺴْﺘَﻌِﻴْﻨُﻚَ ﻭَﻧَﺴْﺘَﻐْﻔِﺮُﻙَ ﻭَﻧُﺆْﻣِﻦُ ﺑِﻚَ ﻭَﻧَﺘَﻮَﻛَّﻞُ ﻋَﻠَﻴْﻚَ ﻭَﻧُﺜْﻨِﻰْ ﻋَﻠَﻴْﻚَ ﺍﻟْﺨَﻴْﺮَ ﻭَﻧَﺸْﻜُﺮُﻙَ ﻭَﻻَ ﻧَﻜْﻔُﺮُﻙَ ﻭَﻧَﺨْﻠَﻊُ ﻭَﻧَﺘْﺮُﻙُ ﻣَﻦْ ﻳَّﻔْﺠُﺮُﻙَ- ﺍَﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺍِﻳَّﺎﻙَ ﻧَﻌْﺒُﺪُ ﻭَﻟَﻚَ ﻧُﺼَﻠِّﻰْ ﻭَﻧَﺴْﺠُﺪُ ﻭَﺍِﻟَﻴْﻚَ ﻧَﺴْﻌَﻰ ﻭَﻧَﺤْﻔِﺪُ ﻭَﻧَﺮْﺟُﻮْ ﺭَﺣْﻤَﺘَﻚَ ﻭَﻧَﺨْﺸَﻰ ﻋَﺬَﺍﺑَﻚَ ﺍِﻥَّ ﻋَﺬَﺍﺑَﻚَ ﺑِﺎﻟْﻜُﻔَّﺎﺭِ ﻣُﻠْﺤِﻖ অন্যটি হচ্ছেঃ হাসান ইবনু আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেনঃ বিতরে পাঠের জন্য রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে কিছু কালেমা শিখিয়েছেনঃ اللَّهُمَّ اهْدِنِي فِيمَنْ هَدَيْتَ وَعَافِنِي فِيمَنْ عَافَيْتَ وَتَوَلَّنِي فِيمَنْ تَوَلَّيْتَ وَبَارِكْ لِي فِيمَا أَعْطَيْتَ وَقِنِي شَرَّ مَا قَضَيْتَ فَإِنَّكَ تَقْضِي وَلاَ يُقْضَى عَلَيْكَ وَإِنَّهُ لاَ يَذِلُّ مَنْ وَالَيْتَ تَبَارَكْتَ رَبَّنَا وَتَعَالَيْتَ হে আল্লাহ! যাদের আপনি হিদায়াত করে তাদের সাথে আমাকেও হিদায়াত করুন, যাদের আপনি অকল্যাণ থেকে দূরে রেখেছেন তাদের সাথে আমাকেও অকল্যাণ থেকে দূরে রাখুন, যাদের আপনি আপনার অভিভাবকত্বে রেখেছেন তাদের সাথে আমাকেও আপনসার অভিভাবকত্বে রাখুন। আপনি যা দিয়েছেন তাতে আপনি বরকত দিন। আপনি আমার তাকদিরে যা রেখেছেন এর অসুবিধা থেকে আমাকে রক্ষা করুন, আপনই তো ফয়সালা দেন, আপনার বিপরীত তো ফয়সালা দিতে পারে না কেউ। আপনি যার বন্ধু তাকে তো লাঞ্ছিত করতে পারবে না কেউ। হে আমার রব! আপনি তো বরকতময় এবং সুমহান।’ রেফারেন্সঃ সূনান তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৪৬৪, ইরওয়া ৪২৯, মিশকাত ১২৭৩, তা'লীক আলা ইবনু খুজাইমাহ ১০৯৫, সহিহ আবু দাউদ ১২৮১, হাদিসের মানঃ সহিহ।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ