স্ত্রী ও ছেলের বৌ নির্বাচনে যা দেখতে হয় : বর্তমান যুগে কণের মধ্যে অধিক সৌন্দর্য এবং বরের মধ্যে সম্পদের প্রচুর্য দেখা হয়। সবচেয়ে কম দেখা হয় ধার্মিকতা। অন্যান্য গুণাবলির ক্ষেত্রে প্রত্যেকের দৃষ্টিভঙ্গি ভিন্ন। অথচ সবচেয়ে কম দেখার বিষয় সৌন্দর্য এবং বেশি দেখার বিষয় হলো ধার্মিকতা। হাদিস শরীফে পাত্রী নির্বাচনের ব্যাপারে এসেছে, تنكح المرأة لأربع: لمالها، ولحسبها، ولجمالها، ولدينها فاظفر بذات الدين চারটি গুণ দেখে মেয়েদেরকে বিয়ে করা হয়। তার সম্পদ। তার বংশ। তার সৌন্দর্য । তার ধার্মিকতা। তোমরা ধার্মিকতা কে প্রাধান্য দাও। হাদিসে সম্পদ এবং সৌন্দর্যের প্রতি লক্ষ্য না করে ধার্মিকতাকে প্রাধান্য দিতে বলা হয়েছে।
অবশ্য কারো বাহ্যিক দ্বীনদারী দেখেও ধোঁকা খাওয়া উচিৎ নয়। কারণ, সকাল ৭ টায় কাউকে নামায পড়তে দেখলেই যে সে চাশ্তের নামায পড়ে--সে ধারণা ভুলও হতে পারে। কেননা, হতে পারে সে চাশ্তের নয়, বরং ফজরের কাযা আদায় করছিল।
অনুরূপ কারো বাপের দ্বীনদারীর মতো কথা শুনে অথবা কেবল কারো ভাইয়ের বা বুনায়ের দ্বীনদারীর কথা শুনে তার দ্বীনদারী হওয়াতে নিশ্চিত হয়ে ধোঁকা খাওয়াও অনুচিত। খোদ পাত্র বা পাত্রী কেমন তা সর্বপ্রথম ও শেষ বিচার্য।
অনুরূপ মাল-ধন আছে কি না, কিছু পাব কি না পাব---তাও বিচার্য নয়। কারণ, তা তো আজ আছে কাল নাও থাকতে পারে। আবার আজ না থাকলে কাল এসে যেতেও পারে। আমি যেমন ঠিক তেমনি ঘরে বিবাহ করা বা দেওয়াই উচিৎ। বিশেষ করে ঘুষ (মোটা টাকা পণ) দিয়ে বড় ঘরে ঢুকতে যাওয়া ঠিক নয়।
জ্ঞানীরা বলেন, ‘তোমার চেয়ে যে নীচে তার সঙ্গ গ্রহণ করো না। কারণ, হয়তো তুমি তার মূর্খতায় কষ্ট পাবে এবং তোমার চেয়ে যে উচেচ তারও সাথী হয়ো না। কারণ, সম্ভবতঃ সে তোমার উপর গর্ব ও অহংকার প্রকাশ করবে। তুমি যেমন ঠিক তেমন সমমানের বন্ধু, সঙ্গী ও জীবন-সঙ্গিনী গ্রহণ করো, তাতে তোমার মন কোন প্রকার ব্যথিত হবে না।’
হাতি-ওয়ালার সাথে বন্ধুত্ব করলে হাতি রাখার মত ঘর নিজেকে বানাতে হবে। নতুবা ‘বড়র পিরীতি বালির বাঁধ, ক্ষণে হাতে দড়ি ক্ষণে চাঁদ।’
সুতরাং -আপনার এবং আপনার মা-বাবার উচিত বিয়ের পাত্রী দেখার ক্ষেত্রে ধার্মিকতাকে প্রধান্য দেওয়া,যদি আপনার মা-বাবা সৌন্দর্য বা ধন-সম্পদ দেখে বিয়ে দিতে চাই,আর আপনি চান ধার্মিকতাকে প্রধান্য দিতে?তবে আপনারটাই উত্তম৷ বাকি আপনারও উপরোক্ত সব আলোচনার দিকে নজর রেখে করতে হয়৷
পরিশেষে আপনারা সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার তাওফিক হওয়ার জন্য দোয়া করছি৷