আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু ।

বস্তুত সিয়াম সাধনার এই মাসটি অত্যন্ত ফযিলতপূর্ণ একটি মাস। তবে এই মাস নিয়ে কিছু দূর্বল হাদিসেরও প্রচলন রয়েছে। আমি চেষ্টা করেছি সহিহ হাদিস ও দূর্বল হাদিসগুলো তুলে ধরার ইনশাআল্লাহ।।।


সহীহ হাদিসঃঃ

 

১. حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى، قَالَ أَخْبَرَنَا حَنْظَلَةُ بْنُ أَبِي سُفْيَانَ، عَنْ عِكْرِمَةَ بْنِ خَالِدٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ ـ رضى الله عنهما ـ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ بُنِيَ الإِسْلاَمُ عَلَى خَمْسٍ شَهَادَةِ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ، وَإِقَامِ الصَّلاَةِ، وَإِيتَاءِ الزَّكَاةِ، وَالْحَجِّ، وَصَوْمِ رَمَضَانَ ‏

ইবন ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:

তিনি বলেন, আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইরশাদ করেন, ইসলামের স্তম্ভ হচ্ছে পাঁচটি।

১. আল্লাহ ব্যতীত প্রকৃত কোন উপাস্য নেই এবং নিশ্চয়ই মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আল্লাহর রসূল-এ কথার সাক্ষ্য প্রদান করা।

২. সলাত কায়িম করা।

৩. যাকাত আদায় করা।

৪. হাজ্জ সম্পাদন করা এবং

৫. রমযানের সিয়ামব্রত পালন করা (রোজা রাখা)।

 

(সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৮ঃ

৪৫১৪; মুসলিম ১/৫ হাঃ ১৬, আহমাদ ৬০২২, ৬৩০৯) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৭, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৭)

হাদিসের মান: সহিহ হাদিস

২. حَدَّثَنَا ابْنُ سَلاَمٍ، قَالَ أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ، قَالَ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ مَنْ صَامَ رَمَضَانَ إِيمَانًا وَاحْتِسَابًا غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ

আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:

তিনি বলেন, আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি ঈমানসহ পূণ্যের আশায় রমযানের সিয়াম ব্রত পালন করে, তার পূর্বের গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হয়।

 

(সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৩৮; আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৭, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৩৭)

  হাদিসের মান: সহিহ হাদিস

৩. حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم مَنْ صَامَ رَمَضَانَ إِيمَانًا وَاحْتِسَابًا غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে ও সাওয়াবের আশায় রমজান মাসের সিয়াম রাখলো, তার পূর্বের গুণাহরাশি মাফ করা হলো।

সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নং ১৬৪১

হাদিসের মান: সহিহ হাদিস

৪. حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلَاءِ حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ عَيَّاشٍ عَنْ الْأَعْمَشِ عَنْ أَبِي صَالِحٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ إِذَا كَانَتْ أَوَّلُ لَيْلَةٍ مِنْ رَمَضَانَ صُفِّدَتْ الشَّيَاطِينُ وَمَرَدَةُ الْجِنِّ وَغُلِّقَتْ أَبْوَابُ النَّارِ فَلَمْ يُفْتَحْ مِنْهَا بَابٌ وَفُتِحَتْ أَبْوَابُ الْجَنَّةِ فَلَمْ يُغْلَقْ مِنْهَا بَابٌ وَنَادَى مُنَادٍ يَا بَاغِيَ الْخَيْرِ أَقْبِلْ وَيَا بَاغِيَ الشَّرِّ أَقْصِرْ وَلِلهِ عُتَقَاءُ مِنْ النَّارِ وَذَلِكَ فِي كُلِّ لَيْلَةٍ

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:

রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, যখন রমজান মাসের প্রথম রাত আসে, তখন শয়তান ও অভিশপ্ত জিনদের শৃংখলিত করা হয়, জাহান্নামের দরজাগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়, তার একটি দরজাও খোলা হয় না, জান্নাতের দরজাসমূহ খুলে দেয়া হয়, এর একটি দরজাও বন্ধ হয় না এবং একজন ঘোষক ডেকে বলেন, হে সৎকর্মপরায়ণ ব্যক্তি! অগ্রসর হও, হে অসৎকর্মপরায়ণ! থেমে যাও। আল্লাহ্‌ (রমযানের) প্রতিটি রাতে অসংখ্য লোককে জাহান্নাম থেকে নাজাত দেন। [১৬৪২]

ফুটনোটঃ

[১৬৪২] সহীহুল বুখারী ১৮৯৮, ১৮৯৯, ৩২৭৭, মুসলিম ১০৭৯, তিরমিযী ৬৮২, নাসায়ী ২০৯৭, ২০৯৮, ২০৯৯, ২১০০, ২১০১, ২১০২, ২১০৪, ২১০৫, ২১০৬, আহমাদ ৭১০৮, ৭৭২৩, ৭৮৫৭, ৮৪৬৯, ৮৬৯৭, ৮৭৬৫, ৮৯৫১, ৯২১৩, দারেমী ১৭৭৫ তা’লীকুর রগীব ২/৬৮। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ

হাদিসের মান: সহিহ হাদিস

৫. حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ نُمَيْرٍ عَنْ سَعْدِ بْنِ سَعِيدٍ عَنْ عُمَرَ بْنِ ثَابِتٍ عَنْ أَبِي أَيُّوبَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم مَنْ صَامَ رَمَضَانَ ثُمَّ أَتْبَعَهُ بِسِتٍّ مِنْ شَوَّالٍ كَانَ كَصَوْمِ الدَّهْرِ

আবূ আয়্যূব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:

, রসূলূল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি রমজান মাসের সিয়াম রাখার পর শাওয়াল মাসে ছয়টি সিয়াম রাখবে, তা যেন সারা বছর সিয়াম রাখার সমতুল্য। [১৭১৬]

ফুটনোটঃ

[১৭১৬] মুসলিম ১১৬৪, তিরমিযী ৭৫৯, আবূ দাউদ ২৪৩৩, আহমাদ ২৩০২২, ২৩০, ইরওয়াহ ৯৫০, দারেমী ১৭৫৪, বায়হাকী ৪/৩০২, সহীহ আবী দাউদ ২১০২, তাহকীক আলবানীঃ হাসান সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী সা'দ বিন সাঈদ সম্পর্কে ইমাম তিরমিযি বলেন, তার হিফযের পূর্বে হাদিস বর্ণনার ব্যাপারে সমালোচনা রয়েছে। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। আহমাদ বিন শু'আয়ব আন নাসায়ী বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। আহমাদ বিন সালিহ আল-জায়লী বলেন, তিনি সিকাহ। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে তার স্মৃতিশক্তি দুর্বল। ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তিনি দুর্বল। ইমাম যাহাবী বলেন, তিনি সত্যবাদী। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ২২০৮, ১০/১৬২ নং পৃষ্ঠা)

হাদিসের মান: হাসান সহিহ

৬. وَعَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ ، قَالَ : دَخَلَ رَمَضَانُ فَقَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ : «إِنَّ هٰذَا الشَّهْرَ قَدْ حَضَرَكُمْ، وَفِيهِ لَيْلَةٌ خَيْرٌ مَنْ أَلْفِ شَهْرٍ، مَنْ حُرِمَهَا فَقَدْ حُرِمَ الْخَيْرَ كُلَّه، وَلَا يُحْرَمُ خَيْرَهَا إِلَّا كُلُّ مَحْرُوْمٍ». رَوَاهُ ابْن مَاجَه

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:

তিনি বলেন, রমাযান (রমজান) মাস এলে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, রমাযান (রমজান) মাস তোমাদের মাঝে উপস্থিত। এ মাসে রয়েছে এমন এক রাত, যা হাজার মাস অপেক্ষাও উত্তম। যে ব্যক্তি এ রাতের (কল্যাণ হতে) বঞ্চিত রয়েছে; সে এর সকল কল্যাণ হতেই বঞ্চিত। শুধু হতভাগ্যরাই এ রাতের কল্যাণ লাভ হতে বঞ্চিত থাকে। (ইবনু মাজাহ)[১]

ফুটনোটঃ

[১] হাসান সহীহ : ইবনু মাজাহ ১৬৪৪, সহীহ আত্ তারগীব ১৪২৯, আহমাদ ৬৬২৬, সহীহ আল জামি‘ ৩৮৮২, হাকিম ২০৩৬, মু‘জামুল কাবীর লিত্ব ত্ববারানী ৮৮। তবে আহমাদণ্ডএর সানাদটি দুর্বল। যেহেতু তাতে ইবনু লাহ্ই‘আহ্ রয়েছে।

হাদিসের মান: হাসান সহিহ

৭. حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ نُمَيْرٍ عَنْ سَعْدِ بْنِ سَعِيدٍ عَنْ عُمَرَ بْنِ ثَابِتٍ عَنْ أَبِي أَيُّوبَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم مَنْ صَامَ رَمَضَانَ ثُمَّ أَتْبَعَهُ بِسِتٍّ مِنْ شَوَّالٍ كَانَ كَصَوْمِ الدَّهْرِ

আবূ আয়্যূব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:

, রসূলূল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি রমজান মাসের সিয়াম রাখার পর শাওয়াল মাসে ছয়টি সিয়াম রাখবে, তা যেন সারা বছর সিয়াম রাখার সমতুল্য। [১৭১৬]

ফুটনোটঃ

[১৭১৬] মুসলিম ১১৬৪, তিরমিযী ৭৫৯, আবূ দাউদ ২৪৩৩, আহমাদ ২৩০২২, ২৩০, ইরওয়াহ ৯৫০, দারেমী ১৭৫৪, বায়হাকী ৪/৩০২, সহীহ আবী দাউদ ২১০২, তাহকীক আলবানীঃ হাসান সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী সা'দ বিন সাঈদ সম্পর্কে ইমাম তিরমিযি বলেন, তার হিফযের পূর্বে হাদিস বর্ণনার ব্যাপারে সমালোচনা রয়েছে। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। আহমাদ বিন শু'আয়ব আন নাসায়ী বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। আহমাদ বিন সালিহ আল-জায়লী বলেন, তিনি সিকাহ। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে তার স্মৃতিশক্তি দুর্বল। ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তিনি দুর্বল। ইমাম যাহাবী বলেন, তিনি সত্যবাদী। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ২২০৮, ১০/১৬২ নং পৃষ্ঠা)

হাদিসের মান: হাসান সহিহ


 

কিছু দূর্বল হাদিসঃ

১. إن للصائم عنده فطره دعوة لا ترد

বর্ণনাকারী থেকে বর্ণিতঃ:

“সওম পালনকারীর ইফতারের সময় দোয়া প্রত্যাখ্যান করা হয় না।”

 

আহমদ (২/৩০৫), তিরমিযি: (৩৬৬৮), ইব্‌ন খুযাইমাহ: (১৯০১), ইব্‌ন মাজাহ: (১৭৫২), এ হাদিসের সনদে বিদ্যমান ইসহাক ইব্‌ন উবাইদুল্লাহ মাদানি অপরিচিত। ইবনুল কাইয়্যেম হাদিসটি “যাদুল মায়াদ” গ্রন্থে দুর্বল বলেছেন। ইমাম তিরমিযিও হাদিসটি দুর্বল বলেছেন। হাদিসটি দুর্বল।

 

জ্ঞাতব্য: আলেমদের বিশুদ্ধ অভিমত অনুযায়ী দুর্বল হাদিসের উপর আমল করা যাবে না, না ফাযায়েলে, না আহকামে, না অন্য কোন বিষয়ে। আমরা শুধু তারই অনুসরণ করব, যা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বিশুদ্ধভাবে প্রমাণিত। দুর্বল হাদিস নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে সম্পৃক্ত করা বৈধ নয়, তবে মানুষদের জানানো জন্য ও দুর্বলতা প্রকাশ করার উদ্দেশ্য হলে তা বর্ণনা করা যাবে। কারণ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “আমার উপর যে এমন কথা বলল, যা আমি বলেনি, সে যেন তার ঠিকানা জাহান্নাম বানিয়ে নেয়”।

আল্লাহ ভাল জানেন।

  হাদিসের মান: দুর্বল হাদিস

২. سيد الشهور شهر رمضان وأعظمها حرمة ذو الحجة .

বর্ণনাকারী থেকে বর্ণিতঃ:

“সকল মাসের সরদার হচ্ছে রমযান, সব চেয়ে বেশী সম্মানিত হচ্ছে জিলহজ্জ।”

 

বাযযার ও দায়লামি। হাদিসটি সঠিক নয়।

  হাদিসের মান: নির্ণীত নয়

৩. من صام رمضان وشوال والأربعاء والخميس دخل الجنة .

বর্ণনাকারী থেকে বর্ণিতঃ:

“যে বক্তি রমযান, শাওয়াল, বুধবার ও বৃহস্পতিবার সওম পালন করে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।”

 

আহমদ: (৩/৪১৬), এ হাদিসে একজন বর্ণনাকারী নাম উল্লেখ করা হয়নি, হাদিসটি দুর্বল এতে সন্দেহ নেই।

হাদিসের মান: দুর্বল হাদিস

৪. الصائم إذا أُكل عنده صلت عليه الملائكة .

বর্ণনাকারী থেকে বর্ণিতঃ:

“সওম পালনকারীর নিকট যখন ভক্ষণ করা হয়, তার জন্য ফেরেশতাগণ তখন ইস্তেগফার করে।”

 

ইব্‌ন খুজাইম, তিরমিযি: (৭৮৪), ইব্‌ন মাজাহ: (১৭৪৮), তায়ালিসি: (১৬৬৬), এ হাদিসটি দুর্বল। দেখুন: “সিলসিলাতুল আহাদিসুস দায়িফাহ”: (১৩৩২)

হাদিসের মান: দুর্বল হাদিস


শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে