ইসলামে কী কিছু বলা আছে দয়া করে বলবেন কিছু বুঝছিনা?
Share with your friends
HMMOBAROKBD

Call

আল কুরআন বহু আগেই বলে রেখেছে, ভিনগ্রহে প্রাণী আছে। আছে নানা রকম উপাদান। পৃথিবীর মতোই বহু গ্রহ উপগ্রহ রয়েছে। তাদের অস্তিত্বের কথাও ঘোষণা করেছে কুরআন। কিন্তু মানুষের কাছে একসময় এগুলো ছিল অবিশ্বাসের মতো। কিন্তু বিজ্ঞানের উন্নতিতে এখন মানুষ মানতে বাধ্য হচ্ছেন, সত্যিই ভিনগ্রহে প্রাণী আছে। কোনো কোনো বিজ্ঞানী তো আশঙ্ক করছেন, ভিনগ্রহের প্রাণীরা যদি প্রযুক্তিতে আমাদের চেয়েও বেশি বেশি শক্তি হয় তবে পৃথিবীর জন্য বিপদ। পবিত্র কুরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘আল্লাহ তিনিই, যিনি সৃষ্টি করেছেন অসংখ্য আকাশ আর অনুরূপ সংখ্যক পৃথিবী। তাদের উপরও আল্লাহর নির্দেশ অবতীর্ণ হয়; (এ তথ্যটি) এ জন্য যাতে তোমরা অবগত হও, আল্লাহ সর্বশক্তিমান ও সর্বাজ্ঞ।’ [তালাক : ১২] আয়াতটিতে আল্লাহ ইঙ্গিত দিয়েছেন পৃথিবীর মতো আরো অসংখ্য পৃথিবী রয়েছে। রয়েছে গ্রহ উপগ্রহ। যেখানে মহান আল্লাহর নিদর্শন অবতীর্ণ হয়। নিদর্শন অবতীর্ণ হওয়ার দারা মুফাসসিরগণ উদ্দেশ্য করেছেন, এসব গ্রহেও প্রাণের অস্তিত্ব রয়েছে। তা না হলে নিদর্শন অবতীর্ণ হবে কাদের জন্য। এলিয়েন বা ভিনগ্রহের প্রাণী সম্পর্কে আল-কুরআনের ধারণা অনেক বেশি সুস্পষ্ট। 

আর কুরআন তো আগেই বলে রেখেছে বিশ্ব জগতের খবর। বলেছেন, ‘মহান আল্লাহই জগতসমূহের প্রতিপালক। বিশ্বজগতের প্রতিপালক আল্লাহর জন্যই সকল প্রশংসা।’ [সুরা মুমিন : ৬৫] আল-কুরআনের আরো অনেক আয়াতে ইঙ্গিত প্রদান করা হয়েছে যে- শুধু আমাদের এই পৃথিবীই নয়, অন্য কোন অজানা প্রান্তেও রয়েছে আল্লাহর সৃষ্টি জীব। কিন্তু এর বিপরীতে মহাবিশ্বের কোথাও প্রাণ নেই এরকম কোন বার্তা আল-কুরআনে দেয়নি। মহাবিশ্বে বা মহাশূন্যে প্রাণের অস্তিত্ব সম্পর্কে সবচেয়ে স্পষ্ট বর্ণনা এসেছে আল কুরআনের সুরা শুরার ২৯ নং আয়াত। আল্লাহ পাক সেখানে স্পষ্ট বলেছেন, ‘তাঁর এক নিদর্শন নভোমণ্ডল ও ভূমণ্ডলের সৃষ্টি এবং এতদুভয়ের মধ্যে তিনি যেসব জীব-জন্তু ছড়িয়ে দিয়েছেন।’ [সুরা শুরা : ২৯] আল্লাহ পাক এখানে স্পষ্টই বলেছেন তিনি নভোমণ্ডল ও ভূমণ্ডণ উভয়ে জীব জন্তু ছড়িয়ে দিয়েছেন। সুতরাং স্পষ্ট এ আয়াতের পর মহাশূন্যে প্রাণের অস্তিত্ব নিয়ে আর কোনো যুক্তি টিকতে পারে না।


 মাওলানা রোকন রাইয়ান এর লিখা থেকে সংক্ষেপিত - সহ-সম্পাদক, ইসলামি চিন্তার কাগজ

Talk Doctor Online in Bissoy App