আপনি যদি নিজেকে দ্বীনদার ও চরিত্রবান মনে করেন তাহলে আপনাকে দ্বীনদারী নারী খুজে বের করতে হবে। আর দ্বীনদারী নারী বিয়ে করার জন্য আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করতে হবে। আর একজন দ্বীনদারী নারীকে বিয়ে করতে পারলেই আপনার দাম্পত্য জীবনে সুখ-শান্তি থাকবে। ইসলামের দৃষ্টিতে মেয়ের একটি বিশেষ গুন যাচাই করা জরুরী। তা হচ্ছে মেয়ের দ্বীনদারী বা ধার্মিকতা। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘তোমাদের মধ্যে ত্বাকওয়াশীল, আল্লাহভীরু ব্যক্তি আল্লাহর নিকট তোমাদের সকলের অপেক্ষা অধিকতর সম্মানিত। (হুজরাত-১৩) হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসুল (সাঃ) বলেছেন, ‘মেয়েদের চারটি গুনের প্রতি বিবেচনা করে বিয়ে করা হয়, ১. তার সম্পদের প্রতি ২. তার বংশ মর্যদার প্রতি ৩. তার রূপ ও সৌন্দর্যের প্রতি এবং ৪. তার দ্বীনদারীর প্রতি বিবেচনা করা হয়। কিন্ত তোমরা দ্বীনদার মেয়েকে প্রাধান্য দাও। তোমাদের হাত ধুলায় ধুসরিত হোক। (বুখারী, মুসলিম, মিশতাক হা/৩০৮২) আবুদুল্লাহ ইবনু আমর (রাঃ) বলেন, রাসুল (সাঃ) বলেছেন, ‘পৃথিবীর সবকিছুই ভোগ ও ব্যবহারের সামগ্রী। আর সবচেয়ে উত্তম ও উৎকৃষ্ট সামগ্রী হচ্ছে দ্বীনদার ও সচ্চরিত্রা স্ত্রী। (মুসলিম, মিশকাত হা/৩০৮৩, নিকাহ অধ্যায়) ওমর (রাঃ) বলেন, হে আল্লাহর রাসুল! আমরা কোন সম্পদটি জমা করে রাখব? রাসুল (সাঃ) বলেন, ‘তোমাদের জন্য জমা করে রাখা আবশ্যক ১. শুকরিয়া আদায়কারী অন্তর, ২. আল্লাহকে আহবানকারী জিহবা, ৩. আর এমন দ্বীনদার স্ত্রী যে তোমাদেরকে পরকালের কর্মের প্রতি সাহায্য করতে পারে। ইবনু মাজাহ হা/১৮৫৬, হাদীস সহিহ, তাহকীক আলবানী) হ্যা!!আপনি যদি জায়েজ আর না-জায়েজ এর কথা বলেন,অবশ্যই জায়েজ আছে!আপনি চাইলে বিয়ে করতে পারেন৷ আপনার উদ্দেশ্যকে সঠিকভাবে যাচাই করে,আপনি সাওয়াবের ভাগি হতে পারেন৷ যদি আপনি ওনাকে সম্মান ফিরিয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যে ও ভালো পথ দেখানোর উদ্দেশ্যে বিয়ে করেন৷ তবে- উপরোক্ত কোরআন ও হাদিস পর্যালোচনা করে দেখা যায় যে, দ্বীনদার মেয়েকে বিয়ের ক্ষেত্রে প্রাধান্য দিতে বলা হয়েছে।