ছেলে-মেয়ের মাঝে বিবাহপূর্ব সব ধরনের সম্পর্ক হারাম ও অত্যন্ত গর্হিত কাজ যা শরিয়ত সমর্থন করে না৷ ছেলে-মেয়ে উভয়ে যদি প্রাপ্ত বয়স্ক অবস্থায় বিয়ের কাজ করে তাহলে ইসলামি শরিয়তের আলোকে তাদের বিয়ে হয়ে যায়৷ তাই দুজন পুরুষ সাক্ষী বা একজন পুরুষ দুজন মহিলার উপস্থিতিতে ইজাব-কবুল (প্রস্তাব-গ্রহন) করলেই বিয়ে হয়ে যাবে৷ তবে প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ার পরেও ছেলে বা মেয়ে গাইরে কুফুতে (সমতা বিধান, যেমন: সম্পদ, পেশা, বংশ ইত্যাদি রক্ষা না করে) বিয়ে করে তাহলে অভিভাবকের আপত্তির অধিকার থাকবে৷ এবং তারা চাইলে এ বিয়েতে অমত জানিয়ে বৈবাহিকসম্পর্ককে ছিন্ন করতে পারেন৷ দ্র:১ একবার বিয়ে হয়ে গেলে পরবর্তিতে পরিবারকে জানিয়ে পূণরায় বিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে করাতে বিয়ের মাঝে কোন প্রভাব পড়বে না৷ তবে এটি অহেতুক কাজ বৈ কিছুই নয়৷ দ্র:২ পিতা-মাতা বা পরিবারের সকলেই আপনার কল্যাণ চান, তাই তাদের না জানিয়ে বিয়ে করা একেবারেই অনুচিত হবে৷ তাছাড়া তাদের দোয়া থেকেও বঞ্চিত থাকতে হবে, যা আমাদের চলার পাথেয়৷
প্রেম করা ইসলামে যায়েজ নেই। এগুলা চোখের যিনা। মুখের যিনা। ইত্যাদি ধরনের যিনায় লিপ্ত হওয়া। হাদিসে আছে, যে মেয়ে তার অভিভাবকের অনুমতি ব্যতিত বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। তার বিবাহ বাতিল বাতিল বাতিল। সম্ভবত তিরমিযি শরিফের হাদিস টা। আশা করি বুঝতে পেরেছেন, যে বিবাহ বাতিল বলতে কি।আর তবুও যদি বিয়ে করেন অভিভাবকের বিনা অনুমতিতে ।তাহলে সেটা যিনা হবে। বৈধ বিয়ে হবেনা।