শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

সূরা বাকারা ২৫৫ নাম্বার আয়াত হলো আয়াতুল কুরশি। এর ফজিলত অনেক। হাদিস সম্ভারের ১৪৬৩ নং হদিসঃ "রাসুল স. বলেছেন, যে ব্যক্তি প্রত্যেক ফরজ সলাতের পর আয়াতুল কুরসী পাঠ করবে, তার মৃত্যু ছাড়া জান্নাতে প্রবেশের পথে অন্য কিছু বাধা হবে না।" (নাসাঈ কুবরা ৯৯২৮) হাদীসের মান সহীহ।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

 আয়তুল কুরসিকে বলা হয় আল কোরআনের শ্রেষ্ঠ আয়াত। এটি নিয়মিত আমল করলে শ্রেষ্ঠ নেয়ামত লাভ করা যায়। এ ব্যাপারে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-বলেছেন আয়াতুল কুরসি হলো কুরআনের সর্ববৃহৎ ও দ্বিতীয় সূরা ‘সূরা আল-বাক্বারা’র ২৫৫ নম্বর আয়াত। আয়াতটিতে মহাবিশ্বের ওপর আল্লাহর ক্ষমতার কথা বর্ণিত হয়েছে। হজরত আবু জর জুনদুব রাদিয়াল্লাহু আনহু রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, হে আল্লাহর রাসূল! আপনার প্রতি নাজিলকৃত সবচেয়ে মর্যাদাসম্পন্ন আয়াত কোনটি? তিনি বলে, আয়াতুল কুরসি। এ আয়াতটি ‘আয়াতুল কুরসি’ নামেই সব মুসলিমের কাছে পরিচিত। কিন্তু আমরা অনেকেই জানি না এর ফজিলত কী। এ আয়াত পাঠে কেমন সওয়াব হয়। আসুন জেনে নেই আয়াতটির গুরুত্বপূর্ণ ফজিলত। হজরতত আলী  রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি, ‘যে ব্যক্তি প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর আয়াতুল কুরসি নিয়মিত পড়ে, তার জান্নাতে প্রবেশে কেবল মৃত্যুই অন্তরায় থাকে। যে ব্যক্তি এ আয়াতটি শোয়ার আগে পড়বে আল্লাহ তার ঘর, প্রতিবেশীর ঘর এবং আশপাশের সব ঘরে শান্তি বজায় রাখবেন। (বায়হাকি)  হজরত উবাই বিন কাব রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উবাই বিন কাবকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, তোমার কাছে কুরআন মাজিদের কোন আয়াতটি সর্বশ্রেষ্ঠ? তিনি বলেছিলেন, (আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লাহু আল্ হাইয়্যুল কাইয়্যুম) তারপর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজ হাত তার বুকে রেখে বলেন, আবুল মুনযির! এই ইলমের কারণে তোমাকে ধন্যবাদ। (মুসলিম)  হজরতত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, সুরা বাকারায় একটি শ্রেষ্ঠ আয়াত রয়েছে, সেটি হলো আয়াতুল কুরসি। যে ঘরে এটি পাঠ করা হবে সেখান থেকে শয়তান পালাতে থাকে।  

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

সহীহ হাদীসের বর্ণনা দ্বারা জানা যা,আয়তুল কুরসী কুরাআনুল কারীমের শ্রেষ্ঠতম আয়াত। বাস্তবিক পক্ষে এটা শ্রেষ্ঠতম আয়াত হওয়ার বহু কারণও রয়েছে।আল্লাহ তাআলা একত্ব,ক্ষমতা,শক্তি,দয়া ইত্যাদি গুণের বর্ণনায় এ আয়াত কুরআনুল কারীমে অন্য যে কোন আয়াত থেকে,অন্যান্য কিতাব তথা তাওয়াত,যাবুর ও ইঞ্জিলের বর্ণনা হতে শ্রেষ্ঠ। অনেকের ধারণা মতে,এ আয়াতে এসমে আযম রয়েছে। প্রকৃতপক্ষে আয়াতটি তাওহীদের ভিত্তিস্বরূপ।এ আয়াতে মর্ম মানব হৃদয়ে আল্লাহর অসীম ক্ষমতা,অপার কুদরত,অপার মহিমা,অভাবিত গুণ তথা তাঁর সীমাহীনতা ও বিশালতার এক অনন্ত রূপ ফুটিয়ে তোলে। ১।সহীহ হাদীসে বর্ণিত আছে,যে লোক প্রত্যুষে ও শয়নের পূর্বে আয়তুল কুরসী পড়বে,আল্লাহ স্বয়ং তার তত্ত্ববধানকারী।কাজেই সমস্ত দিন-রাতের মধ্যে শয়তান তার নিকটব ঘেঁষতে পারবে না। ২।এ আয়াত একাধারে তিনশত তেরবার পাঠ করলে শক্রুর সাথে বিবাদে অবতীর্ণ অবশ্যই জয়লাভ করবে। ৩।এ আয়াত টি সর্বাধিক সাফল্য লাভ হয়।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ