ইয়াতিম, অসহায়, বিধবা, হত দারিদ্র অথবা প্রতিবন্ধীকে বিয়ে করে তাদের পাশে দাঁড়ানো তো নিশ্চয়ই অনেক বড় সাওয়াবের কাজ। কারণ, কুরআন ও হাদিসে এদের প্রতি সদাচরণ করার ব্যাপারে বলা হয়েছে। এদের পাশে দাঁড়িয়ে সাহায্য ও সহযোগিতা করার ব্যাপারে উৎসাহিত করা হয়েছে। আর এদেরকে সাহায্য করতে চাইলে, এদেরকে বিয়ে করাই শ্রেষ্ঠ সাহায্য। তাই আপনি নির্দ্বিধায় বিয়ে করতে পারেন। আল্লাহ তায়ালাও আপনার প্রতি সহায়ক হবে। আর কবি সাহিত্যিকরা বলে থাকেন, প্রতিবন্ধী মেয়েরা আর কিছু পারুক বা না পারুক, তারা স্বামীকে মন প্রাণ দিয়ে ভালোবাসতে জানে।
যদি মেয়ের মাঝে পরহেজগারিতা থাকে এবং প্রতিবন্ধী হয়,তাহলে আমার নজরে অনেক ভালো সিদ্ধান্ত --
হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, নারীদেরকে চারটি জিনিসের জন্য বিয়ে করা হয়। ১. সম্পদের জন্য, ২. বংশ-বুনিয়াদের জন্য, ৩. সৌন্দর্যের জন্য এবং ৪. দ্বীনদারীর জন্য। অতএব দ্বীনদারকেই অগ্রাধিকার দাও। তোমার হাত ধূসরিত (মঙ্গল) হোক। (বুখারি ও মুসলিম)সুতরাং বিয়ে করার সময় সর্বপ্রথম দেখতে হবে মেয়ে দ্বীনদার কিনা??
অতএব-আপনি যদি একজন প্রতিবন্ধীকেও বিয়ে করেন কিন্তু সে দ্বীনদার নয়,তবে আপনি ব্যার্থ৷কারণ আল্লাহর নবী সঃ বিয়েতে দ্বীনদারিতা দেখার আদেশ করেছেন৷
আর যদি আপনি যাকে বিয়ে করতে চান সে দ্বীনদার-পরহেজগার ও প্রতিবন্ধী হয়,তবে হতে পারে উত্তমের চেয়ে উত্তম৷কারণ-আপনি একজন অসহায়ের পাশে দাড়িয়েছেন৷
আবার এটাও স্মরণ রাখতে হবে,এটা যেন আপনার আবেগি সিদ্ধান্ত না হয়৷ বিয়ে মানে দু'জন একসাথে একজীবন থাকার সংকল্প৷