রমজানের ৩০ দিনের ৩০ফজিলত #১ম রমজানে = রোজাদারকে নবজাতকের মত নিষ্পাপ করে দেওয়া হয়। #২য় রমজানে = রোজাদারের মা -বাবাকে মাফ করে দেওয়া হয়। #৩য় রমজানে = একজন ফেরেশতা আবারও রোজাদারের ক্ষমার ঘোষনা দেয়। #৪র্থ রমজানে = রোজাদারকে আসমানী বড় বড় চার কিতাবের বর্ণ সমান সাওয়াব প্রদান করা হয়। #৫ম রমজানে= মক্কা নগরীর মসজিদে হারামে নামাজ আদায়ের সাওয়াব দেওয়া হয়। #৬ষ্ঠ রমজানে= ফেরেশতাদের সাথে ৭ম আকাশে অবস্থিত বাইতুল মামূর তাওয়াফের সাওয়াব প্রদান করা হয়। #৭ম রমজানে= ফিরাউনের বিরুদ্ধে মুসা আঃ এর পক্ষে সহযোগিতা করার সমান সাওয়াব প্রদান করা হয়। #৮ম রমজানে =রোজাদারের উপর হযরত ইবরাহীম আঃ এর মতো রহমত- বর্ষিত হয়। #৯ম রমজানে= নবী-রাসূলদের সাথে দাড়িয়ে ইবাদতের সমান সওয়াব দেওয়া হয়। #১০ম রমজানে= রোজাদারকে উভয় জাহানের কল্যাণ দান করা হয়। #১১তম রমজানে=রোজাদারের মৃত্যু নবজাতকের ন্যায় নিষ্পাপ নিশ্চিত হয়। #১২তম রমজানে= হাশরের ময়দানে রোজাদারের চেহারা পূর্ণিমা চাদের মতো উজ্জল করা হবে। #১৩তম রমজানে=হাশরের ময়দানের সকল বিপদ থেকে নিরাপদ করা হবে। #১৪তম রমজানে= হাশরের ময়দানে হিসাব- নিকাশ সহজ করা হবে। #১৫তম রমজানে = সমস্ত ফিরিস্তারা রোজাদারের জন্য দোয়া করে। #১৬তম রমজানে= আল্লাহপাক রোজাদারকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি এবং জান্নাতে প্রবেশের অনুমতি প্রদান করেন । #১৭তম রমজানে= একদিনের জন্য নবীগনের সমান সাওয়াব দেওয়া হবে। #১৮তম রমজানে = রোজাদার এবং তার মা-বাবার প্রতি আল্লাহর সন্তুষ্টির সংবাদ দেওয়া হয়। #১৯তম রমজানে= পৃথিবীর সকল পাথর-কংকর টিলা- টংকর রোজাদারের জন্য দোয়া করতে থাকে। #২০তম রমজানে =আল্লাহরপথে জীবন দানকারী শহীদের সমান সাওয়াব প্রদান করা হয়। #২১তম রমজানে = রোজাদারের জন্য জান্নাতে একটি উজ্জল প্রাসাদ নির্মান করা হয়। #২২তম রমজানে= হাশরের ময়দানের সকল চিন্তা থেকে মুক্ত করা হয়। #২৩তম রমজানে= জান্নাতে রোজাদারের জন্য একটি শহর নির্মান করা হয়। #২৪তম রমজানে = রোজাদারের যে কোন 24টি দোয়া কবুল করা হয়। #২৫তম রমজানে= কবরের শাস্তি চিরতরে বন্ধ করে দেওয়া হয়। #২৬তম রমজানে =40 বছর ইবাদতের সমান সওয়াব প্রদান করা হয়। #২৭তম রমজানে= চোখের পলকে পুলসিরাত পার করে দেওয়া হয়। #২৮তম রমজানে= জান্নাতের নেয়ামত দ্বিগুন করা হয়। #২৯তম রমজানে= এক হাজার কবুল হজ্জের সাওয়াব প্রদান করা হয়। #৩০তম রমজানে= পুরা রমজানের ফজিলত দ্বিগুন|
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

অাসলে এভাবে কোন হাদিস গ্রন্থে রোজার ফজিলত অাছে কিনা?  সন্দেহ সৃষ্টি হচ্ছে।

কিন্তু হাদীস গ্রন্থে রোজার ফজিলত দেওয়া অাছে এভাবে,,,,,,,,


আরবি হাদিস وَعَن أَبِي هُرَيرَةَ رضي الله عنه، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم: «قَالَ اللهُ - عَزَّ وَجَلَّ -: كُلُّ عَمَلِ ابْنِ آدَمَ لَهُ إِلاَّ الصِّيَام، فَإِنَّهُ لِي وَأَنَا أَجْزِي بِهِ، وَالصِّيَامُ جُنَّةٌ، فَإِذَا كَانَ يَومُ صَوْمِ أَحَدِكُمْ فَلاَ يَرْفُثْ وَلاَ يَصْخَبْ فَإِنْ سَابَّهُ أَحَدٌ أَوْ قَاتَلَهُ فَلْيَقُلْ: إنِّي صَائِمٌ . وَالَّذِي نَفْسُ مُحَمَّدٍ بِيَدِهِ لَخُلُوْفُ فَمِ الصَّائِمِ أَطْيَبُ عِنْدَ اللهِ مِنْ رِيحِ المِسْكِ . لِلصَّائِمِ فَرْحَتَانِ يَفْرَحُهُمَا: إِذَا أَفْطَرَ فَرِحَ بِفِطرِهِ، وَإِذَا لَقِيَ رَبَّهُ فَرِحَ بِصَوْمِهِ». متفقٌ عَلَيْهِ، وهذا لفظ روايةِ البُخَارِي. وفي روايةٍ لَهُ: «يَتْرُكُ طَعَامَهُ، وَشَرَابَهُ، وَشَهْوَتَهُ مِنْ أَجْلِي، الصِّيَامُ لِي وَأنَا أَجْزِي بِهِ، وَالحَسَنَةُ بِعَشْرِ أَمْثَالِهَا». وفي رواية لمسلم: «كُلُّ عَمَلِ ابْنِ آدَمَ يُضَاعَفُ، اَلْحَسَنَةُ بِعَشْرِ أَمْثَالِهَا إِلَى سَبْعِمِئَةِ ضِعْفٍ . قَالَ الله تَعَالَى: إِلاَّ الصَّوْمَ فَإِنَّهُ لِي وَأنَا أَجْزِي بِهِ؛ يَدَعُ شَهْوَتَهُ وَطَعَامَهُ مِنْ أَجْلِي. لِلصَّائِمِ فَرْحَتَانِ: فَرْحَةٌ عِنْدَ فِطْرِهِ، وَفَرْحَةٌ عِنْدَ لِقَاءِ رَبِّهِ . وَلَخُلُوفُ فِيهِ أَطْيَبُ عِنْدَ اللهِ مِنْ رِيحِ المِسْكِ». বাংলা অনুবাদ আবূ হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “মহান আল্লাহ বলেন, আদম সন্তানের প্রতিটি সৎকর্ম তার জন্যই; কিন্তু রোজা স্বতন্ত্র, তা আমারই জন্য, আর আমিই তার প্রতিদান দেব।’ রোজা ঢাল স্বরূপ অতএব তোমাদের কেউ যেন রোজার দিনে অশ্লীল না বলে এবং হৈ-হট্টগোল না করে। আর যদি কেউ তাকে গালি-গালাজ করে অথবা তার সাথে লড়াই-ঝগড়া করে, তাহলে সে যেন বলে, আমি রোজা রেখেছি।’ সেই মহান সত্তার শপথ! যার হাতে মুহাম্মদের জীবন আছে, নিঃসন্দেহে রোজাদারের মুখের দুর্গন্ধ আল্লাহর কাছে মৃগনাভির সুগন্ধ অপেক্ষা বেশী উৎকৃষ্ট। রোজাদারের জন্য দু’টি আনন্দময় মুহূর্ত রয়েছে, তখন সে আনন্দিত হয়; (১) যখন সে ইফতার করে (ইফতারের জন্য সে আনন্দিত হয়)। আর (২) যখন সে তার প্রতিপালকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে, স্বীয় রোজার জন্য সে আনন্দিত হবে।” বুখারির অন্য বর্ণনায় আছে, সে (রোজাদার) পানাহার ও যৌনাচার বর্জন করে একমাত্র আমারই জন্য। রোজা আমার জন্যই। আর আমি নিজে তার পুরস্কার দেব। আর প্রত্যেক নেকী দশগুণ বর্ধিত হয়।’ মুসলিমের এক বর্ণনায় আছে, “আদম সন্তানের প্রত্যেক সৎকর্ম কয়েকগুণ বর্ধিত করা হয়। একটি নেকী দশগুণ থেকে নিয়ে সাতশত গুণ পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়। মহান আল্লাহ বলেন, কিন্তু রোজা ছাড়া। কেননা, তা আমার উদ্দেশ্যে (পালিত) হয়। আর আমি নিজেই তার পুরস্কার দেব। সে পানাহার ও কাম প্রবৃত্তি আমার (সন্তুষ্টি অর্জনের) উদ্দেশ্যেই বর্জন করে।’ রোজাদারের জন্য দু’টি আনন্দময় মুহূর্ত রয়েছে। একটি আনন্দ হল ইফতারের সময়, আর অপরটি তার প্রতিপালকের সাথে সাক্ষাৎকালে। আর নিশ্চয় তার মুখের গন্ধ আল্লাহর কাছে মৃগনাভির সুগন্ধ অপেক্ষা অধিক উৎকৃষ্ট।” [বুখারি ১৯০৪, ১৮৯৪, ৫৯২৭, ৭৪৯২, ৭৫৩৮, মুসলিম ১১৫১, তিরমিযি ৭৬৪, ৭৬৬, নাসায়ি ২২১৫-২২১৯, আবু দাউদ ২৩৬৩, ইবন মাজাহ ১৬৩৮, ১৬৯১, ৩৮২৩, আহমদ ৭২৯৫, ৭৪৪১, ৭৬৩৬, ৭৭৮১, ৭৯৯৬, ৮১৩৮, ৮৯৭২, ৯৬২৭, ৯৬৩১, মুওয়াত্তা মালিক ৬৮৯।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

এগুলোর কোনো সহীহ দলিল পাওয়া যায় না । বিশেষ করে ২৯ নম্বরটা দেখলে আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন যে এগুলো সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।      

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

এগুলো এক একটা বানানো মনগড়া ব্যখ্যা। 

অবশ্যই সকল ধর্মে এই রকমের মানব রচিত অপব্যখ্য বা অপসংযোজন দেখতে পাওয়া যায়। 

যার হিসাব আপনি সারা জীবনে ও মেলাতে পারবেন না। 

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ