শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Saifmehedi

Call

আপনি হয়ত লজ্জা করেন বেশি।যার কারণে সবার সাথে মিশতে পারেননা।নিজের মনের জোর বাড়ান।আত্ববিশ্বাস বাড়িয়ে তুলুন।ভয় না করে ফ্রি হয়ে কথা বলুন।মানুষের সাথে মিশুন।মনের জোর না বাড়ালে আপনি কোনভাবেই  এই কাজ করতে পারবেননা।মনের জোর বাড়িয়ে ভয় না করে ভালোভাবে অন্যের সাথে মিশুন

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

জীবনে চলার পথে অনেক দক্ষতার প্রয়োজন হয়। তার মধ্যে খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি দক্ষতা হচ্ছে মানুষের সঙ্গে ভাবের আদান-প্রদানের দক্ষতা। এটি শৈশব থেকেই তৈরি হতে থাকে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নিজেকে প্রকাশ করার মাধ্যমে। এ ক্ষেত্রে বড়দের দায়িত্ব হচ্ছে শিশুদের আবেগ, চাহিদা, মনোভাব, চিন্তাধারাগুলো বুঝে তাকে সুন্দরভাবে নিজেকে প্রকাশ করার সুযোগ দেওয়া। শুধু তা–ই নয়, তার ঔত্সুক্য, আগ্রহগুলো খেয়াল করে ধৈর্য ধরে ওর প্রশ্নগুলোর উত্তর দেওয়া এবং তাকে গুরুত্ব দেওয়া। এ ছাড়া সব সময় ছোট ছোট অর্জনের জন্য উত্সাহ দেওয়া ও প্রশংসা করা। তুমি যে বাইরের কারও চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলতে পারছ না বা কারও সামনে বসে খেতে পারছ না, সেটির জন্য সম্পূর্ণ দায়িত্ব তোমার নয়। কারণ, আমাদের দেশের পারিবারিক চর্চায় প্রথমত এই দক্ষতাগুলোর বিষয়ে না জানার কারণে সেগুলো শেখানো হয় না এবং দ্বিতীয়ত মেয়েদের বাইরের পৃথিবীতে পরিচিত হওয়ার ক্ষেত্রে যথেষ্ট বাধা দেওয়া হয়। তবে তুমি যেহেতু এখন এ ব্যাপারে সচেতন হয়েছ, আশা করা যায়, উদ্যোগ নিয়ে এই দক্ষতা অর্জন করতে পারবে।
এখন থেকে যতই লজ্জা লাগুক, তুমি চেষ্টা করবে অন্তত প্রথমে মানুষের চোখে চোখ রেখে কথা বলতে এবং গুছিয়ে কথাগুলো না বলতে পারলেও নিজেকে এর জন্য মোটেও ছোট মনে করবে না। তোমার মা হয়তো বুঝতে পারেননি যে অন্যদের সঙ্গে সব সময় তুলনা করলে সন্তানদের আত্মবিশ্বাস একেবারে হারিয়ে যায়, তাই তিনি ভুল করেছেন। তুমি তো এখন প্রাপ্তবয়স্ক, নিজেকে কখনো কারও সঙ্গে একবারের জন্যও তুলনা কোরো না। প্রথম দিকে অপরিচিত কারও সঙ্গে সরাসরি চোখে চোখ রেখে কথা বলতে অসুবিধা হলেও চর্চা করতে করতে নিজেকে দক্ষ করে তোলা সম্ভব।
যৌন বিষয়ে তোমার ভীতির কারণ হচ্ছে, এটি জীবনের একটি বাস্তবতা হলেও এটিকে সুস্থ ও বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে মানুষের কাছে উপস্থাপন করা হয় না। বিদ্যালয়ের পাঠ্যপুস্তকে উপযুক্ত বয়সে শেখানোর জন্য কিছু বিষয় সংযোজিত হলেও শিক্ষকদের এটি পড়ানোর জন্য প্রশিক্ষিত করা হয়নি। একই সঙ্গে অভিভাবকদের মধ্যেও সচেতনতা গড়ে তোলা হয়নি। ফলে বিষয়টি নিয়ে কানাঘুষা ও হাসাহাসি করা হয় বলে সমাজের একটি বড় অংশের কাছে এটি একটি নোংরা ও অবাঞ্ছিত বিষয় হিসেবেই রয়ে গেছে। তুমি এখন মাত্র দ্বিতীয় বর্ষে পড়ছ। এখনই তো বিয়ের কথা ভাবার প্রয়োজন নেই। বিয়ের আগে অবশ্যই মাস্টার্স শেষ করবে, সেটি মাথায় রেখো। পড়াশোনার পাশাপাশি তুমি খণ্ডকালীন কোনো চাকরি করতে পারলে সামাজিক দক্ষতা বাড়ার সম্ভাবনা তৈরি হবে। ছোটবেলা থেকে হতাশার যে কথাগুলো শুনেছ, তা একটি নোটবুকে লিপিবদ্ধ করে, তার পাশে প্রাপ্তবয়স্ক ‘তুমি’ উত্সাহব্যঞ্জক কী বলতে পারো, তা লিখে প্রতিদিন নিজেকে সেগুলো বলবে, কেমন?

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ