মানবদেহে দুই ধরণের গ্রন্হি থাকে।একটা হলো অন্তঃক্ষরা গ্রন্হি আরেকটা হলো বহিঃক্ষরা গ্রন্হি।যেসব গ্রন্হি নালিবিহীন তাকে অন্তঃক্ষরা গ্রন্হি বলে।আর অন্তঃক্ষরা গ্রন্হি থেকে যে জৈব রাসায়নিক পদার্থ নিঃসরিত হয় তাকে হরমোন বলে।সকল ধরণের হরমোন একপ্রকার প্রোটিন।যা অ্যামাইনো এসিড দিয়ে তৈরি।হরমোন রক্তে মিশে যায়।তারপর বাহিত হয়ে দূরবর্তী কোষের কার্যাবলী নিয়ন্ত্রণ করে।এটি একধরণের প্রভাবক যৌগ।যার প্রভাবে বিভিন্ন কাজ সম্পাদিত হয়।মস্তিষ্ক থেকে সংকেত স্নায়ুর মাধ্যমে গ্রন্হিতে আসলেই গ্রন্হির প্রাচীরের কোষ হরমোন নিঃসরণ করে।একটি কারখানার শ্রমিক হলো হরমোন আর শ্রমিক কোথায় কাজ করবে তা নিয়ন্ত্রণ করে ব্যবস্হাপক।এই ব্যবস্হাপক হলো স্নায়ুতন্ত্র।হরমোন দেহের প্রয়োজনে পরিমাণমতো নিঃসরিত হয়।এদের রাসায়নিক দূত বলা হয়।সবচেয়ে ছোট প্রোটিন হলো ইনসুলিন হরমোন।যা 51 টি অ্যামাইনো এসিড দিয়ে তৈরি।হরমোন হলো বিশেষ ধরণের প্রোটিন।
●হরমোন (Hormone) : অন্তঃক্ষরাগ্রন্থি (endocrine gland) থেকে নিঃসৃত (প্রকৃতি, বৈশিষ্ট্য প্রভৃতি বার্তাবাহী) প্রোটিনজাতীয় জৈব যৌগ তরল পদার্থ (organic compound), যা কোষরসের (tissue fluid) সঙ্গে মিশে জীবদেহ বা উদ্ভিদের অন্য কোনো কোষকলার ওপর প্রভাব বিস্তার বা জৈবিক প্রকৃতি নির্ধারণের পর ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়। ●এটি প্রাণীদেহজ রসবিশেষ, যা রক্তের সঙ্গে মিশে শরীরের অঙ্গ-প্রতঙ্গ্যগুলোকে সক্রিয় করে তুলে। ●ধন্যবাদ।