১.ডিক্রী বলতে আদালত কর্তৃক আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রচারিত এমন এক বক্তব্যকে বুঝায়, যা কোন মামলায় বর্ণিত সকল বা যে কোন বিষয় সম্পর্কে পক্ষসমূহের অধিকার চূড়ান্তভাবে নির্ধারণ করে।আর দেওয়ানী কার্যবিধির ২(৯) অনুযায়ী রায় বলতে ডিক্রী বা আদেশের ভিত্তি হিসেবে বিচারক যে বিবৃতি দেন তাকে রায় বলে। ২.মূলত রায়ের ভিত্তিতেই ডিক্রী প্রদান করা হয়। ৩.যেসব যুক্তি এবং কারণসমূহের উপর নির্ভর করেন, সেসব যুক্তি এবং কারণ সম্বলিত বিবৃতি গুলি রায়ের অন্তঃভুর্ক। কিন্তু এসব ডিক্রীর অন্তঃভুক্ত নয়।
১. ডিক্রি ও ২. আদেশ এই দুইটি বিষয় বুঝতে হলে আমাদের মোটামুটি রায় সম্পর্কে একটু ধরানা থাকতে হবে। তাই আমরা পুরো বিষয়টি একটু একনজরে দেখে নেই।
কোন বিষয় যখন আদালতের নিকট পেশ করা হয়, আদালত বিচার পক্রিয়া শুরু করার আগে কিছু ব্যবস্থা নেন, যেমন: অভিযুক্ত পক্ষকে ডাকা, তাদের অভিযোগটি দেওয়া এবং তাদের মন্তব্য/ উত্তর নেওয়া, কোন কোন বিষয়টি বিচার করবে ইত্যাদি নির্ধারন করা। এরপর আসে মূল বিচার পক্রিয়া যেখানে সাক্ষ্য প্রমান নেওয়া হয় এবং সাক্ষ্য প্রমানের ভিত্তিতে রায় ঘোসনা করে।
আবার আদালত রায় ঘোসনা করার আগেই কোন প্রয়োজনে কিছু আদেশ প্রদান করতে পারে। ধরা যাক রহিম একটি জমি দখল করে আছে এখানে জমিটি করিমের বলে করিমের দাবি তবে জমিটি কার সেই উত্তরে পৌছানোর আগেই আদালত রহিমকে জমিটি দখল মুক্ত করে দেওয়ার জন্য আদেশ দিল। এখানে কিছু কারো মালিকানা সম্পর্কে কোন রায় আদালত ঘোসনা করেন নি তাই এই আদেশটি চূড়ান্ত ভাবে কারো অধীকার সম্পর্কে ঘোসনা দেয় না। এটি হচ্ছে একটি আদেশ [Order]
কিন্তু বিষয়টি একটু অন্য ভাবেও হতে পারে, যেমন ধরুন, আদালত সাক্ষ্য প্রমানের ভিত্তিতে এই রায় দিল যে জমিটি করিমের তখন এটি একটি চূড়ান্ত ঘোসনা যা কোন করিমের অধিকার সম্পর্কে নিশ্চিত করে তাকে ঐ জমির অধিকারী করে, তাই এটি একটি ডিক্রি [Decree]। আদালত অধীকার ঘোসনার সাথে সাথে এই আদেশও দেয় যে রহিমকে জমিটি ছেড়ে দিতে হবে।
আরো বিস্তারিত দেখুন এখানে: ডিক্রি, আদেশ এবং রায় কি ও এদের পার্থক্য