মিশরের প্রথম গণতান্ত্রিক নেতা মোহাম্মদ মুরসি ইরানের মতো মিশরকে শক্তিশালী গণতান্ত্রিক ইসলামী রাষ্ট্র কায়েম করতে চেয়েছিলেন। তিনি ছিলেন মুসলিম ব্রাদারহুডের এক জৈষ্ঠ্য নেতা। তার গণতান্ত্রিক কার্যক্রম সৌদির মতো আরব নেতাদের শরীরে আগুন ঢেলে দেয়। এদিকে আমেরিকাও মুরসিকে হুমকিস্বরূপ মনে করতে থাকে। তাই ষড়মুলকভাবে তাকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয় এবং জেলে বন্দি করা হয়। ১৭ জুন, ২০১৯ আদালতে থাকা অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন।
শুধুমাত্র আমেরিকা আর সৌদি নয়, এতে ইসরায়েল, ইউএই,বাহরাইন সহ বিভিন্ন আরব দেশের ভূমিকা রয়েছে। হামাস(ফিলিস্তিনি সশস্ত্র সংগঠন) মুসলিম ব্রাদারহুডের (মুরসি যে দল থেকে প্রেসিডেন্ট) একটি অঙ্গসংগঠন। তাই ইসরায়েল ও আমেরিকা শুরু থেকেই মুরসির শাসন মানতে পারেনি। সৌদি, UAE,বাহরাইনের স্বৈরাচারী রাজতান্ত্রিক শাসকের ব্রাদারহুডকে ভয় পায়। কারণ তারা টিকে থাকলে স্বৈরাচারী রাজাদের পতন ঘটবে। তাই তারা মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার খরচ করেছে। মোটকথা অনেকগুলো দেশের সম্মিলিত ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছিলেন মুরসি ও তার দল। আল্লাহ তায়া’লা তাকে জান্নাত নসীব করুক।