ইসলামে মাহর বিয়ের জন্য আবশ্যকীয় বিধানের একটি। তাই মাহর নির্ধারণ করা উচিত পাত্রের সামর্থ্যের উপর। আপনি ঐ পরিমাণ মাহর নির্ধারণ করুন সেটা সেচ্ছায়, সানন্দে, সন্তুষ্ট চিত্তে দিতে পারেন। সামর্থ্যের বাইরে কোন কিছু করা উচিত নয়। জনাব! আবারো বলছি আপনি যে ২০ হাজার টাকা মাসে বেতন পান কিন্তু বিয়ে করতে এত টাকা মাহর দিতে হবে এরকম ধরা বাঁধা কোন নিয়ম নেই। কেননা, ইসলামে মাহরের পরিমান সুনির্দিষ্টভাবে বেঁধে দেয়া হয়নি। মাহর সাধারণত বর ও কনের সামাজিক অবস্থান অনুযায়ী নির্ধারিত হয়। তা যেকোনো পরিমাণ অর্থ নির্ধারণ করা যায়। তাই মাহর নির্ধারণ করবেন সামর্থ্যের উপর। কোরআনের বানীঃ আর তোমরা নারীদেরকে তাদের মাহর মনের সন্তোষের সাথে প্রদান কর; অতঃপর সন্তুষ্ট চিত্তে তারা মাহরের কিছু অংশ ছেড়ে দিলে তোমরা তা স্বাচ্ছন্দ্যে ভোগ কর। (নিসাঃ ৪) স্ত্রীদের মাহর অবশ্য পরিশোধ্য একটা ঋণ বিশেষ। এটা পরিশোধ করা অত্যন্ত জরুরী। পরন্তু অন্যান্য ওয়াজিব ঋণ যেমন সন্তুষ্ট চিত্তে পরিশোধ করা হয়, স্ত্রীর মাহরের ঋণও তেমনি হৃষ্টচিত্তে, উদার মনে পরিশোধ করা কর্তব্য। তাই মোহরানা উচ্চহারে বাড়িয়ে দিয়ে বিবাহ করা যাবে না। আবুল আজফা (রাহঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) বলেছেন, সাবধান! তোমরা নারীদের মোহরানা উচ্চহারে বাড়িয়ে দিও না। কেননা, তা দুনিয়াতে যদি সম্মানের বস্তু অথবা আল্লাহ তাআলার নিকট তাকওয়ার বস্তু হত তবে এ ব্যাপারে আল্লাহর নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তোমাদের চেয়ে বেশি উদ্যোগী হতেন। কিন্তু বার উকিয়ার বেশি পরিমাণ মাহরে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার কোন স্ত্রীকে বিয়ে করেছেন অথবা তার কোন কন্যাকে বিয়ে দিয়েছেন বলে আমার জানা নেই। ইমাম শাফিঈ (রহঃ) মত প্রকাশ করেছেন তিনি বলেছেন, বিয়ের জন্য কোন লোকের নিকটে যদি মাহর আদায়ের মত কিছু না থাকে এবং যদি সে লোক কোন নারীকে কুরআনের কোন সুরার বিনিময়ে বিয়ে করে তবে তা জায়েয হবে।