Call

অনেক মানুষের লক্ষ্য তার সামর্থ্যের বাইরে নির্ধারণ করে থাকেন। আর যখন সেটি অর্জন করতে ব্যর্থ হন, তখন হতাশ হয়ে পড়েন। Michelangelo Buonarroti, Great Renaissance Artist বলেন “ আমাদের সাফল্যের সবচেয়ে বড় ঝুঁকি হল আমাদের উঁচু লক্ষ্য এবং আমাদের লক্ষ্য না পৌঁছানোর ব্যর্থতা। ছোট লক্ষ্য নির্ধারণ করুন এবং তা অর্জন করুন”। ছোট ছোট অর্জনগুলো একসময় বড় সাফ্যলতা পেতে সাহায্য করবে। যেটা করতে ভালবাসুন সেটি করুন। আপনি সাফল্যের চূড়াঁয় তখন পৌঁছাবেন যখন আপনি আপনার কাজটিকে ভালবাসবেন। আপনি সফল তখন হবেন যখন আপনার কাজটিকে চাকরি হিসেবে না নিয়ে ভালোলাগা হিসেবে নিবেন। businessinsider এ Freeman বলেছেন তিনি এমন একজনকে জানেন যিনি ছয় অংকের পরিমাণে টাকা জমিয়েছিলেন, কিন্তু সেগুলো খরচের আগে তিনি ক্যান্সারে মারা যান। টাকার পিছনে না ছুটে নিজের প্যাশনকে নিজের চাকরিতে রূপান্তর করুন। এটি আপনার জীবনে সাফল্য এনে দিবে। ব্যর্থতাকে ভয় পাবেন না, Henry Ford, Founder of Ford Motors বলেন “ ব্যর্থতা হল সুযোগ নতুন করে শুরু করার, যেখানে আরও সতর্কতা অবলম্বন করা যায়”। সংকল্প গ্রহণঃ আপনি আপনার লক্ষ্যে পৌঁছাবেন এমন অটল বিশ্বাস এবং সংকল্প নিজের মাঝে রাখতে হবে। এই বিশ্বাস আপনাকে আপনার লক্ষ্য পৌঁছাতে সাহায্য করবে। ঝুঁকি গ্রহণঃ ব্যর্থ হওয়ার ভয়ে ঝুঁকি গ্রহণ থেকে বিরত থাকা উচিত হবে না। Ingemar Stenmark, the great Olympic skier “ আপনি যদি সফল হতে চান তবে অব্যশই আপনাকে ব্যর্থতার ঝুঁকি গ্রহণ করতে হবে”। দ্বন্দ্ব-বিবাদ এড়িয়ে চলুনঃ অনেকেই আপনার সাথে একমত প্রকাশ করবে না। কিংবা আপনার বিরুদ্ধতা করবে, তাই বলে আপনি তাদের সাথে বিতর্কে, বিবাদে জড়াবেন না। Theodore Roosevelt, 26th President of America এর মতে “সাফল্যের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হল সবাইকে সাথে নিয়ে কজা করা”। নতুন কিছু চিন্তা করাঃ নতুন কিছু করা থেকে ভয় পেলে জীবনে সাফল্য অর্জন করা সম্ভব হবে না। Mark Twain বলেন “নতুন আইডিয়া সম্বলিত মানুষ সাফল্য অর্জনে না করা পর্যন্ত হাল ছাড়েন না”। আত্ন বিশ্বাস আপনি যে স্বপ্নটি দেখেছেন সেটি পূরণ করার ক্ষমতা আপনার আছে। বিশ্বখ্যাত Walt Disney Company এর ফাউন্ডার Walt Disney এমনটি মনে করেন। কঠোর পরিশ্রম জীবনে সফলতা অর্জনের পিছনে পরিশ্রমের বিকল্প নেই। আপনি যদি আপনার কর্মক্ষমতা থেকে বের না হএয় আসতে পারেন, তবে আপনি কখনওই নিজের লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবেন না। আপনাকে নিজের লক্ষ্যের জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে হবে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

জীবনে সফল হতে গেলে

প্রয়োজন কর্মক্ষমতা বাড়ানো। কিন্তু

কর্মক্ষমতা বা কর্মদক্ষতা বাড়াতে

গেলে আপনাকে কোন বিষয়গুলোকে না

বলতে হবে, সেটা জানা প্রয়োজন। তাই

আমরা আপনাকে জানাব এমন ১০টি

বিষয় যা পরিত্যাগ করতে পারলে

আপনার সফলতা সময়ের ব্যাপার মাত্র।

১. আরামকে বিদায় বলুন

কর্মক্ষমতা বাড়াতে আপনাকে প্রথমেই

আরামকে পরিত্যাগ করতে হবে। মনে

রাখবেন আরামকে কাছে টানলেন তো

সফলতাকে দুরে ঠেলে দিলেন। আপনি

যদি দেখেন কর্মক্ষেত্রে আপনি বেশ

সুখী, বাড়তি কোন চিন্তা নেই, কোন

প্রকার ঝামেলা নেই তাহলে নিশ্চিত

হয়ে যান আপনার জীবনে উন্নতিও

নেই। জীবনে সফল হতে চাইলে অবশ্যই

অধিক চাপের মধ্যে কাজ করার

মানসিকতা থাকতে হবে। আর সেটি

যদি থাকে আপনি সফল হবেনই।

২. কোন কিছু শেখার আগেই প্রয়োগ

বন্ধ করুন

আমাদের মধ্যে এমন অনেকে আছেন

যারা কোন কিছু শিখতে গেলে শেখার

কিছু দিন পরই ভাবেন, আরে এটি তো

আমি পারি। এই বলে সেই অল্প বিদ্যা

নিয়ে কাজ শুরু করে দেন। শেষে যেটি

হয়, যে কাজে তিনি হাত দিয়েছেন

সেটিও হয়না আর ইতিমধ্যে মন থেকে

শেখার স্পৃহাও নষ্ট হয়ে যায়। এ

ক্ষেত্রে সফল ব্যক্তিরা আসলে যেটি

করেন, তা হল তারা একই সাথে নতুন

বিষয় শিখতে থাকেন এবং পুরনো শেখা

জ্ঞানকে প্রয়োগের চেষ্টা করেন।

তাতে সামনে এগিয়ে যাওয়ার পথটি

অনেক মসৃণ হয়।

৩. শেখার ব্যাপারে কারো কাছ

থেকে সাহায্য নিতে কুন্ঠিত হবেন

না

সামাজিক ও পেশাদারী জীবনে আপনি

তখনই অন্যের কাছ থেকে পিছিয়ে

পড়বেন যখন আপনি কারো কাছ থেকে

কোন কিছু শেখার ব্যাপারে কুন্ঠাবোধ

করবেন। একেকজন মানুষ একেক বিষয়ে

অভিজ্ঞ থাকে। কেউ জন্মগতভাবেই

একটি বিষয় ভালো বোঝে, আবার কেউ

অনেক দিন সময় নিয়ে একটি বিষয়ে

পান্ডিত্য অর্জন করে। তাই বিষয়টি

যখন শেখার তখন ব্যক্তির অবস্থানের

দিকে মন না দিয়ে তার পান্ডিত্যের

দিকে মন দিন। আর ভালোভাবে তার

কাছ থেকে বিষয়টি রপ্ত করুন।

৪. ছোট কাজ করতে যেয়ে প্রধান

লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত হবেন না

বড় একটি কাজ করতে গেলে তার

সংশ্লিষ্ট অনেকগুলো কাজ থাকে। আর

সবচেয়ে মজার বিষয় হল সেই শাখা

কাজগুলো প্রধান কাজটির তুলনায় বেশ

সহজ ও আরামদায়ক হয়। তাই আপনি

যদি কোন লক্ষ্যকে সামনে রেখে কাজ

করতে যেয়ে সেই লক্ষ্য সংশ্লিষ্ট ছোট

কাজগুলোতে অধিক সময় নষ্ট করেন

তাহলে আপনি অবশ্যই মুল লক্ষ্য থেকে

বিচ্যুত হবেন। তাই অবশ্যই যত কাজই

করুন জীবনের মুল লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত

হবেন না।

৫. একই সাথে একাধিক কাজ নয়

অনেকে ভাবেন, জীবনে বড় হতে গেলে

অনেক কাজ করতে হবে। তাদের ভাবনা

মিথ্যা নয়। কিন্তু যারা ভাবেন সব

কাজ সমান্তরালে করে খুব দ্রুত সফল

হব, ভুলটা করেন তারা। কারণ যখন

অনেকগুলো কাজ সমান্তরালে হাতে

নেয়া হয় তখন কোন কাজেই ভালোভাবে

মনযোগ দেয়া সম্ভব হয় না। ফলে যা

হওয়ার তাই হয়। বেশির ভাগ শ্রমই

বৃথা যায়।

৬. নিজের কাছে সৎ থাকুন

পেশাদারিত্বের খাতিরে অনেক সময়

আপনার চিন্তার স্খলন ঘটতে পারে।

অন্যকে দেয়া কথা নাও রাখতে

পারেন। কিন্তু নিজেকে কখনো ফাঁকি

দেয়ার চেষ্টাও করবেন না। তাহলে

আপনার নৈতিক অধ:পতন শুরু হবে। তখন

আপনি নিজেই সিদ্ধান্তে আসতে পারবে

না আপনি আসলে চাচ্ছেনটা কী?

৭. নিজের কাজ সম্পর্কে অন্যের

মূল্যায়ন চাওয়ার ব্যাপারে

লজ্জাবোধ করবেন না

ভাবুন তো, কোন চিত্রপরিচালক খুব

সুন্দর একটি ছবি বানালো কিন্তু সে

কোন দিনই জানতে পারলো না

দর্শকদের প্রতিক্রিয়া তা হলে

ব্যাপারটা কেমন হবে। যে কোন

কাজের মুল্যায়ন ২ ভাবে আপনার

সামনে আসবে। হয় ভালো নয় খারাপ।

মুল্যায়ন খারাপ আসতে পারে এই ভেবে

যদি কারো মুল্যায়ন নেয়া থেকে

নিজেকে বঞ্চিত করেন তাহলে বলব

আপনার মত অভাগা আর নেই। কারণ

মুল্যায়ন দেয়ার ব্যাপারে মানুষের

দৃষ্টিভঙ্গিও কাজ করে। যে কাজটিকে

একজন খারাপ বলছে সেটিই কিন্তু

আরেকজন ভালো বলতে পারে। তাই

অবশ্যই সব কাজের সূক্ষ্ণ বিচার

বিশ্লেষণের জন্য মুল্যায়ন খুব জরুরী।

৮. অনুসরন নয় নেতৃত্ব দিন

অনুসরণ কিংবা অনুকরণ করে জীবনের

একটি পর্যায় পর্যন্ত হয়ত যেতে

পারবেন। কিন্তু কখনোই নিজেকে

অনুসরনীয় ব্যক্তিতে পরিণত করতে

পারবেন না। নিজেকে অন্যের কাছে

অনুকরণীয় ব্যক্তিতে পরিণত করতে

চাইলে নেতৃত্ব দেয়াটা অবশ্য করণীয়

কাজ। আর এই নেতৃত্ব হতে পারে যে

কোন কাজে, যে কোন ক্ষেত্রে। যখন

আপনি একদল লোক নিয়ে নিজের

নেতৃত্বে সাফ্যলের সীমারেখা পার

করবেন তখন বুঝবেন আপনার জীবন

সাফল্যের দ্বারপ্রান্তে।

৯. অতীতকে দিয়ে ভবিষ্যতকে

প্রভাবিত করবেন না

বহু যুগ আগে জ্ঞানীরা বলে গেছেন,

জীবনে সফলতা পেতে চাইলে অতীতের

অনেক তিক্ত স্মৃতিকেও সহজে ভুলে

যেতে হয়। এই বিষয়টি সম্পর্কে সম্যক

জ্ঞান নিতে আপনি আমাদের দেশের

রাজনীতিবিদদের জীবনীও

পর্যালোচনা করে দেখতে পারেন।

অতীতকে নিয়ে চলতে চাইলে ভবিষ্যত

আপনার কাছ থেকে দুরে সরে যাবে।

আপনাকে বুঝতে হবে অতীতে যা ঘটেছে

তা আপনার পক্ষে আর পরিবর্তন করা

সম্ভব নয়। কিন্তু আসছে ভবিষ্যতকে

চাইলেই আপনি আপনার মত করে

সাজিয়ে নিতে পারেন। সে ক্ষেত্রে

আপনার কি উচিত হবে না ভবিষ্যতের

জন্যই মন প্রান ঢেলে কাজ করা।

১০. নেতিবাচক মানুষের সাথে
চলবেন না
উপরে উল্লেখিত বিষয়গুলোর মধ্যে
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এটি। ভাবছেন
কিভাবে? কথায় আছে না সৎ সঙ্গে
স্বর্গ বাস আর অসৎ সঙ্গে সর্বনাশ।
জীবনে সফল হতে চাইলে আপনাকে
সবসময় পজিটিভ বা ইতিবাচক লোকদের
সাথে মিশতে হবে। তাদের পরামর্শ
নিতে হবে। আর সচেতনভাবে
নেতিবাচক লোকদেরকে পরিহার করতে
হবে, তারা আপনার যত কাছের মানুষই
হোক না কেন। কারণ তারা আপনার
সাফল্যের পথে সবচেয়ে বড় অন্তরায়।
তারা আপনার মধ্যে হতাশা ছড়াবে।
আপনি যেটাকে সম্ভব বলে মনে করছেন
তারা সেটাকে আপনার কাছে অসম্ভব
মনে করাবে। সর্বোপরি নেতিবাচক
ধারনার মানুষেরা আপনার মধ্যে থেকে
উচ্চাকাঙ্ক্ষার বীজটিকে পিষে মেরে
ফেলবে।
ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ