চাপ কমালে স্ফুটনাংক কমে যায়, এবং চাপ বাড়ালে স্ফুটনাংক বেড়ে যায়। যেমন ধরুন। ধরুন প্রসার কুকারে রান্নার সময় অল্প পানি বাষ্পীভূত হবার পর ভেতরে চাপ খুব বেড়ে যায়। একারনে ১০০ ডিগ্রিতেও পানি ফুটটে পারেনা। অথচ ১০০ ডিগ্রী তাপে খাদ্য দ্রুত সিদ্ধ হয়ে যায়। কিন্তু যদি পাহাড়ের চুড়ায় খোলা অবস্থায় রান্না করেন, মানে চাপ খুব কম। তাহলে পানির স্ফুটনাংক কমে যেয়ে ৯০ ডিগ্রী তাপেও পানি ফুটটে পারে। ফলে দেখা যাবে শুধু পানি ফুটে উড়ে যাচ্ছে ঝোল কমে যাচ্ছে কিন্তু তরকারী আর ভাল সিদ্ধই হচ্ছেনা।
তরলের স্ফূটনাঙ্ক তরলের উপরস্থিত বায়ুচাপের উপর নির্ভরশীল।চাপ কমালে তরলের স্ফুটনাঙ্ক কমে যায় অথবা তরল কম তাপমাত্রায় ফুটে এবং চাপ বাড়ালে স্ফুটনাঙ্ক বৃদ্ধি পায় অথবা বেশি তাপমাত্রায় ফুটে।বায়ুচাপ যদি শূন্য হয় তবে তরল যে কোন তাপমাত্রাতেই থাকুক তখনি ফুটতে শুরু করবে।চাঁদে কোনো বায়ুমন্ডল না থাকায় সেখানে বায়ুচাপ শূন্য।যদি ঠান্ঠা পানি ফ্লাক্সে করে পৃথিবী থেকে চাঁদে নিয়ে যাওয়া হয়,তবে ফ্লাক্স থেকে বের করা মাত্রই পানি ফুটতে আরম্ভ করবে।