4 রাকাত ফরজ নামাজে ইমামের পেছনে আদায় করার সময় শেষ  ২ রাকাতে যখন ইমান নিরবে সূরা ফাতিহা তেলওয়াত করে তখন  কি পেছনের মোসল্লীরাও তা মনে মনে/নিরবে তেলওয়াত করবে ?
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

চার রাকাত অথবা দুই রাকাত যে কোন ফরজ নামাজেই মুসুল্লী ব্যক্তি যখন নামাজের শুরুতে এই নিয়ত করলো যে আমি এই ইমামের পিছনে নামাজ আদায় করছি, এই কথা বলার মাধ্যমে মুসুল্লী ব্যক্তির সমস্ত দায় দ্বায়িত্ব ইমামের উপর চলে যায়, যার কারণে মুসুল্লী ব্যক্তির কেরাআত পড়তে হয় না, চাই কেরাআত টা উচ্চ শুরে হোক বা অউচ্চ শুরে হোক তবে তাসবীহাত গুলো ( রুকুর তাসবীহ, সেজদার তাসবীহ, তাশাহুদ, দরুদ শরীফ) মুসুল্লী ব্যক্তির পড়তে হবে। তাই আমি বলবো ইমামের আস্তে কেরাতের ( ফাতেহা হোক বা অন্য কোন সূরা হোক) ‍সময়  মুসুল্লীর কেরাআত পড়তে হবে না, চুপ থাকলেই চলবে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

ইমামের প্রকাশ্য কেরাতে মুকতাদি কেরাত পরবে না। কেননা একবার রাসুলুল্লাহ সাঃ প্রকাশ্য কেরাত বিশিষ্ট নামাজের শেষে( এক বর্ননায় তা ছিল ফজরের নামাজ) সাহাবিদের জিজ্ঞেস করলেন, তোমরা কি আমার সাথে নামাজে কেরাত পরেছিলে? এক ব্যাক্তি বল্ল, হ্যা আমি, হে রাসুলুল্লাহ সাঃ! তিনি বললেন অন্যরা যখন কেরআত পরে তখন কেন আমি আর কেরায়াত পড়বো? একথা শুনে লোকেরা প্রকাশ্য কেরায়াত বিশিষ্ট নামজে কেরায়াত পড়া সম্পুর্ণ ত্যাগ করলেন এবং শুধুমাত্র ইমামের অপ্রকাশ্য কেরায়াত বিশিষ্ট নামাজে মনে মনে কেরায়াত পড়েন।- মালেক, হেমায়দী, বোখারী, আবু দাঊদ, মাহালেমী। তিরমিজি এটাকে উত্তম এবং আবু হাতেম রাযী, ইবনু হিব্বান ও ইবনুল কাইয়্যেম এটাকে সহিহ বলেছে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ