শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

রোযা রাখা অবস্থায় সহবাস করলে রোযা ভেঙ্গে যাবে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

রমজান মাসে যে জিনিসগুলো থেকে বিরত থাকতে হয় তার মধ্যে একটি হচ্ছে যৌন সম্পর্ক বা সহবাস। কেউ যদি এই কাজটি রোজার দিন করে বসে তবে রোজা ভেঙ্গে যাবে।

এর প্রমাণ হচ্ছে সূরা বাকারাতে আল্লাহ বলেন, রোজার রাতে তোমাদের স্ত্রীদের সাথে সহবাস করা তোমাদের জন্য হালাল করা হয়েছে। (আল-বাকারাঃ ১৮৭)।

এই আয়াত থেকে প্রমাণিত হয় যে ইফতারের সময় থেকে ফজর উদয় হওয়া পর্যন্ত পানাহার ও স্ত্রী সহবাস করার অনুমতি দান করেন। কিন্তু রোজার দিনে সহবাস হালাল করা হয়নি। কোনো স্বামী স্ত্রীর সাথে যৌনসম্পর্ক করেন সেক্ষেত্রে রোজা ভেঙ্গে যাবে। এবং সে ব্যক্তিকে কাফফারা দিতে হবে।

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এসে বলল, এই হতভাগা স্ত্রী সহবাস করেছে রমাজানে। তিনি বললেনঃ তুমি কি একটি গোলাম আযাদ করতে পারবে?

লোকটি বলল, না। তিনি বললেনঃ তুমি কি ক্রমাগত দুই মাস সিয়াম পালন করতে পারবে? লোকটি বলল, না।

তিনি বললেনঃ তুমি কি ষাটজন মিসকীন খাওয়াতে পারবে? সে বলল, না। এমতাবস্থায় নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এক আরাক অর্থাৎ এক ঝুড়ি খেজুর এল। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ এগুলো তোমার তরফ হতে লোকদেরকে আহার করাও। লোকটি বলল, আমার চাইতেও অধিক অভাবগ্রস্ত কে?

অথচ মাদ্বীনার উভয় লাবার অর্থাৎ হাররার মধ্যবর্তী স্থলে আমার পরিবারের চেয়ে অধিক অভাবগ্রস্ত কেউ নেই। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তা হলে তুমি স্বীয় পরিবারকেই খাওয়াও।

(সহীহ বুখারী (তাওহীদ), অধ্যায়ঃ ৩০/ হাদিস নম্বরঃ ১৯৩৭, আধুনিক প্রকাশনীঃ ১৭৯৯, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ১৮১০)।

সুতরাং রমজান মাসে দিনের বেলায় যে ব্যক্তি যৌনমিলন করে তার উপর কাফফারা ওয়াজিব হয়। আর তা হল একজন দাস মুক্ত করা। যদি তা না পায় তাহলে একাধারে দুইমাস সিয়াম পালন করা। আর যদি তাও না পারে তবে ৬০ জন মিসকীনকে খাওয়ানো।


ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ