না, রুকু সিজদায় তাসবীহ তিনবারের বেশি পড়া নিষেধ নয়৷ কিছু মানুষ মনে করেন, রুকু বা সিজদার তাসবীহ তিনবারের বেশি পড়া যায় না। ফলে তারা যখন ইমামের পিছনে নামায পড়েন তখন সুযোগ থাকা সত্ত্বেও তিনবার তাসবীহ পড়েই চুপ করে থাকেন।
অনেক ইমাম সাহেবই রুকু সিজদার তাসবীহ বেশ ধীরে পড়েন। কোনো কোনো ইমাম সাহেবের ক্ষেত্রে মুসল্লিগণ তিনবারই তাসবীহ পড়ার সুযোগ পান। আবার কোনো কোনো ইমামের ক্ষেত্রে পঁচ থেকে সাতবার পর্যন্ত পড়ার সুযোগ পাওয়া যায়।
সুতরাং এক্ষেত্রে তিনবার পড়ে চুপ না থেকে ইমাম সাহেব রুকু বা সিজদা থেকে উঠা পর্যন্ত যতক্ষণ সময় পাওয়া যায়, ততক্ষণ পড়তে থাকা, সেটা যতবারই হোক না কেন।
তথ্যসূত্রঃ আল কাউসার
রুকু-সিজদার তাসবীহ তিন বার পড়া সুন্নাত। তবে কেউ যদি রুকু-সিজদায় গিয়ে তিনবারের বেশি এই তাসবীহ পড়ে তবে তা নিষেধের অন্তর্ভুক্ত নয়। হুযাইফাহ ইবনুল ইয়ামান (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে রুকূতে সুবহানা রবিবয়াল আযীম তিনবার বলতে এবং সিজদায় সুবাহানা রবিয়াল আলা তিনবার বলতে শুনেছেন। (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নম্বরঃ ৮৮৮ হাদিসের মানঃ সহিহ)। আলী ইবনু হুজর (রহঃ) ইবনে মাসঊদ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন তোমদের কেউ যদি রুকূতে তিনবার সুবহানা রাব্বিআল আযীম পাঠ করে নেয় তবে তার রুকূ পূর্ণ হলো। আর এ হলো সর্বনিম্ন পরিমান। এমনিভবে কেউ যদি সিজদার মাঝে সুবহানা রাব্বিআল আলা তিনবার পাঠ করে নেয় তবে তার সিজদাও পূর্ণ হলো। আর এ হলো সর্বনিম্ন পরিমাণ। (সূনান তিরমিজী, হাদিস নম্বরঃ ২৬১ ইবনে মাজাহ ৮৯০)। এক্ষেত্রে আপনার তিনবার পাঠ করার চুপ থাকা উত্তম। আবার তিনবারের বেশি পড়তে চান এটাও জায়েজ তবে তা তিন পাঁচ বা সাতবার হতে হবে।