আমরা জানি, আল কোরআন সকল গ্রন্থের উর্ধে তাহলে একই মেমোরিতে কোরআন এপস ও নোংরা ভিডিও রাখা কিভাবে সম্ভব?  অর্থ্যাৎ প্রশ্ন হলো পবিত্র কোরআন মোবাইলে ব্যবহারের সঠিক পদ্ধতি কি? সাধারন ভাবে ওযু করে পড়তে হবে নাকি ওযু ছাড়া।  যদি ওযু ছাড়া কোরআন  এপস পড়া যায় তাহলে পাপ হবে নাকি নেকি পাবো।   হাদিসের আলোকে উওর চাই?  
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

পবিত্র কোরআন শরীক বিনা অজুতে ধরা নিষেধ। এই কুরআন পবিত্র হওয়া ছাড়া।স্পর্শ করা নিষেধ মর্মে পবিত্র কুরআন ও হাদীসে স্পষ্ট ভাষায় নির্দেশ এসেছে। কোরআনের বানীঃ যারা পাক-পবিত্র, তারা ব্যতীত অন্য কেউ একে স্পর্শ করবে না। (সূরা ওয়াকিয়াঃ ৭৯) হযরত আব্দুল্লাহ বিন ওমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূল (সাঃ) ইরশাদ করেছেনঃ পবিত্র ব্যক্তি ছাড়া কেউ কুরআন স্পর্শ করবে না। (মাযমাউজ যাওয়ায়েদঃ ১৫১২) আপনার প্রশ্ন হলো মোবাইলে যদি এপ্স থাকে তাহলে সেটি খুলতে বা ধরতে অজু করতে হয় না কেন? উক্ত মাসআলাটির ব্যাপারে আলেম সমাজ বলেছেনঃ অজু ছাড়া মোবাইলের এপ্সে কোরআন থাকলে তা বীনা অজুতে ধরা যাবে। কেননা তা মোবাইলের স্ক্রীনে দৃশ্যমান নয় যা লুকায়িত রয়েছে। তাই কুরআনের এপ্স সহ মোবাইল অজু ছাড়া স্পর্শ করা যাবে। তবে আয়াত স্পর্শ করে পড়ার ক্ষেত্রে অজু করে নেওয়া ভাল। তবে উত্তম মত হলো, যেহেতু কোরআন সর্বোচ্চ পবিত্র ও মর্যাদা সম্পন্ন। তাই এর পবিত্রতা ও মর্যাদা অক্ষুন্ন রাখার স্বার্থে উক্ত মাধ্যম স্পর্শ করতে অজু করা উত্তম। আর একই মেমোরিতে কোরআনের এপ্স নোংরা ভিডিও রাখা যেন শয়তানি কার্যলাপ। অর্থাৎ একই মাধ্যম থেকে কোরআন পড়া এবং নোংরা ভিডিও দেখা গর্হিত কাজ। যা পরিত্যাগ করা আবশ্যক। এছাড়া সার্বক্ষণিক আল্লাহর কাছে দোয়া করা যেন কর্ণ ও চক্ষুকে পবিত্র রাখেন। এবং শয়তানি অনিষ্ট হতে বাঁচার জন্য বান্দা প্রয়োজনীয় সব ধরনের উপায়-উপকরণ গ্রহণ করার পর যে উত্তম কাজটি করতে পারে সেটি হলো আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাওয়া। যাতে আল্লাহ তাকে এক্ষেত্রে সাহায্য করেন, তার জন্য সহজ করে দেন এবং তার অঙ্গপ্রত্যঙ্গগুলো পবিত্র রাখেন। শেষ কথাঃ পবিত্র কোরআন মোবাইলে ব্যবহারের সঠিক তথা উত্তম পদ্ধতি হলোঃ উক্ত মাধ্যমের পবিত্রতা ও মর্যাদা অক্ষুন্ন রাখার স্বার্থে সাধারন ভাবে অজু করে পড়তে বা ধরতে পারেন। আল্লাহই সবচেয়ে ভাল জানেন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ