শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

না। জন্মদিন পালন করার কোনো নিয়ম বা অনুমতি ইসলামে নেই। ইহা খ্রিষ্টানদের সংস্কৃতি।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

পালন বলতে, আমরা যা করি, যেমন কেক কাটা, মোমবাতি লাগানো, বেলুন, পার্টি ইত্যাদি জায়েজ নেই। কিন্তু রাসূল (সাঃ) প্রত্যেক সোমবার ও বৃহস্পতিবার রোজা রাখতেন (উনার জন্ম সোমবার) তাই এইটা করা যেতে পারে। তবে জন্ম দিনের উদ্দেশ্যেই রাখতেন কি-না তা আমি শতভাগ নিশ্চিত নই। আর বাৎসরিক ভাবে কোনো আয়োজনের কথা আমার জানা নেই যা রাসূল (সাঃ) করতেন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

জন্মদিন পালন করা সুন্নত। তবে সেই সুন্নত যা ইহুদি নাসারাদের মুসলিমদের সুন্নত নয়। যার জন্য মহানবী (সাঃ) বলেছেন, অবশ্যই তোমরা তোমাদের পূর্ববর্তী জাতির সুন্নত তথা ইহুদি নাসারাদের তরিকা অনুসরণ করবে বিঘত বিঘত এবং হাত হাত পরিমাণ 'সম্পূর্ণরূপে'। এমনকি তারা যদি সাণ্ডার গর্তে প্রবেশ করে, তবে তোমরাও তাকে অনুসরণ করবে সাহাবাগণ বললেন, আল্লাহর রাসূল ইয়াহুদ ও খ্রিস্টানরা? তিনি বললেন, তবে আবার কারা? (বুখারী, মুসলিম ও হাকেম) বলা বাহুল্য, বিজাতীর অনুকরণে এমন উৎসব বা অনুষ্ঠান পালন করা বৈধ নয়। যেহেতু মহানবী (সাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি যে সম্প্রদায়ের অনুরূপ অবলম্বন করে, সে তাদেরই দলভুক্ত। (আবূ দাঊদ) মহান আল্লাহ আমাদের দ্বীন ইসলামকে পূর্ণাঙ্গ করে দিয়েছেন তার নবীর জীবদ্দশাতেই। মহান আল্লাহ বলেন, আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীনকে পূর্ণাঙ্গ করলাম ও তোমাদের প্রতি আমার অনুগ্রহ সম্পূর্ণ করলাম এবং ইসলামকে তোমাদের ধর্মরূপে মনোনীত করলাম।(সূরা মায়েদাঃ ৩) আর মহানবী (সাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি আমাদের এ (দ্বীন) ব্যপারে নতুন কিছু আবিষ্কার করে, সে ব্যাক্তির সে কাজ প্রত্যাখ্যাত। (বুখারী ও মুসলিম) অথবা, যে ব্যক্তি এমন কোন কাজ করে, যার উপর আমাদের কোন নির্দেশ নেই, সে ব্যক্তির সে কাজ প্রত্যাখ্যাত। (মুসলিম) মহানবী (সাঃ) নবুয়তের ২৩ বছর কাল নিজের জীবনে কোন বছর নিজের জন্মদিন পালন করে যাননি। কোন সাহাবীকে তা পালন করার নির্দেশও দেননি। তার পূর্ববর্তী নবীদের জন্ম মৃত্যু উপলক্ষে কোন আনন্দ অথবা শোকপালন করে যাননি। তার পরবর্তীকালে তার চারজন খলীফা তাদের খেলাফতকালে রাষ্ট্রীয়ভাবে অথবা একেকভাবে নাবীদিবস পালন করে যাননি। অন্য কোন সাহাবী বা আত্মীয়ও তার প্রতি এত ভালবাসা ও শ্রদ্ধা থাকা সত্ত্বেও তার জন্মদিন পালন করেননি। তাদের পরেও কোন তাবেঈ অথবা তাদের কোন একনিষ্ঠ অনুসারী অথবা কোন ইমাম তার জন্ম পালন করার ইঙ্গিত দিয়ে যাননি। সুতরাং তা যে নব আবিষ্কৃত বিদআত, তা বলাই বাহুল্য। যা আমাদের জন্য পালন যায়েজ নয়।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ