বাচ্চা না হওয়ার জন্য ইঞ্জেকশন ব্যবহার করেছে যাতে করে ৩ মাস কোন বাচ্চা না হয়।  তার পরে ও কেন মাসিক হচ্ছে? ফ্রেবরুয়ারি মাসের ১৬ তারিখ ইঞ্জেকশন দিয়েছে এই ওই মাসের ই ২০ তারিখ হয়ে গেছে তার পর মার্চ মাস হয় নাই । এই মাসের (এপ্রিল) মাসের ৩০ তারিখ আবার মাসিক হয়েছে কেন?    
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Jamiar

Call

ভাই আপনার একটা ভুল ধারনা  আছে যা হলো আপনি বললেন যে বাচ্চা না হওয়ার জন্য ইঞ্জেকশন ব্যবহার করেছে. তার পরে ও কেন মাসিক হচ্ছে।

আচ্ছা আপনি কি জানেন মাসিক কেনো হয়। যদি জানতেন যে মাসিক হওয়ার কারন গুলো তাহলে   আজ আর এমন প্রশ্ন করতেন না।।
দেখুন আপনার প্রশ্নের উত্তরের মাধ্যেম বুঝয়ে বলছি→↓
আপনি বাচ্চা  নিবেন না তাই আপনার স্ত্রী  ইনজেকশন দিয়েছে আর এই ইনজেকশন টি হলো হরমোন জনিত যা  জন্মনিয়ন্ত্রণের জন্য দেওয়া হয় যার মেয়াদ হলো ৩ মাস । আর এই ৩ মাস এর মধ্যে অবাধ যৌন মিলন করতে পারবেন। অর্থাৎ কোন রকম প্রটেকশন ছাড়াই সহবাস করলে আপনার স্ত্রী প্রেগন্যান্ট হবেন না। আর প্রেগন্যান্ট হবেন না বিধায়  প্রতিমাসে তার মাসিক হচ্ছে। ইহা কোন সমস্যা হয় বরং জন্মনিয়ন্ত্রণের জন্য এটা হওয়া স্বাভাবিক। যদি আপনার স্ত্রীর পেটে সন্তান আসতো তাহলে মাসিক বন্ধ থাকতো বাচ্চা প্রসব না হওয়া  পর্যন্ত।  আর যেহেতু তার মাসিক হচ্ছে তাহলে সে আর প্রেগন্যান্ট হবে না। আপনি নিশ্চিত থাকুন।
তবে মাসিক সংক্রান্ত বিষয়ে কিছু জেনে রাখুন→↓
নারীদের মাসিক হওয়ার কারন । নারীদের নিয়মিত  মাসিকের  ক্ষেত্রে মাসিকের  ১২ তম  দিন থেকে ১৬ তম দিনের মধ্যে  তাদের ফিলুপিউন টিউবে ডিম্বপাত হয় আর এই ডিম্বতে পুরুষের বীর্যের শুক্রানু মিলিত না হলে সেই ডিম্ব টি নষ্ট  হয়ে যোনি দিয়ে বেরিয়ে আসে  সেগুলো কে মাসিক বলে যা খুবেই গন্ধ যুক্ত । আর আপনার স্ত্রী জন্মনিয়ন্ত্রণের জন্য ইনজেকশন দিয়েছে তাই তার ফিলুপিউন টিউবে ডিম্বর সাথে আপনার বির্যের শুক্রানু মিলিত হতে পারে না  যার কারনে আপনার স্ত্রী এই ৩ মাসের মধ্যে বাচ্চা ধারন করতে পারবেনা ফলে তার মাসিক হওয়াই স্বাভাবিক।
আশা করি বুঝতে পারছেন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ