সমকামিতা এক প্রকার শারীরিক মিলন। এই শারীরিক মিলনতে একই লিঙ্গের দু’জন পুরুষ অথবা নারী অংশ গ্রহন করে। প্রাচীন রোম এবং গ্রীসে প্রথম সমকামিতার প্রচলন ঘটে। তখন এই বিষয়টিকে প্রাকৃতিক মনে করা হতো। পরবর্তী সময়ে এর প্রভাব পড়ে ইউরোপ ,আরব এবং দক্ষিণ আমেরিকার সমাজগুলোর উপর । অধিকাংশ সমাজ বর্তমানে মেনে নেয় যে সমকামিতা একটি অস্বাভিবিক শারীরিক মিলনের অনুশনীল। নারীর সমকামিতাকে ইংরেজীতে লেসবিয়ানিজম বলা হয় এবং পুরুষের সমকামিতাকে হোমোশারীরিক মিলনুয়ালিটি বলা হয়। • কীভাবে বুঝবেন কোনও মেয়ে সমকামী কি না: ১. সমকামী মেয়েদের সাধারণভাবে বিশিষ্ট ফ্যাশান সেন্স থাকে। পুরুষদের মতো পোশাক-আশাক পরা এদের স্বভাব। তবে অনেক সময়ে একেবারে নারীসুলভ উত্তেজক পোশাকেও এদের দেখা যায়। ২. পুরুষদের মতো একেবারে ছোট করে কাটা চুলের স্টাইল এদের পছন্দ। ৩. চলনে-বলনে টিপিকাল ‘মেয়েলি’স্বভাব এদের মধ্যে একটু কমই থাকে। বসার সময়ে সাধারণত দুই হাঁটু ফাঁক করে বসা এদের স্বভাব। হাঁটার ভঙ্গিও অনেকটা পুরুষদের মতোই হয়। ৪. মেয়েদের মতো হাতের আঙুলে বড় নখ সাধারণত এরা রাখে না। ৫. কথা বলার সময়ে ‘গে রাইটস’, সমকামী বিবাহ এইসব বিষয়ে আলোচনা করতে এরা ভালবাসে। • কীভাবে বুঝবেন কোনও ছেলে সমকামী কি না: ১. সমকামী পুরুষরা সাধারণত সাজগোজ করতে অনেকটা সময় নেয়। ২. সমকামী বা বাইসেক্সুয়াল বা রূপান্তরকামী সেলিব্রিটিরা এঁদের আদর্শ হন। ৩. মেয়েদের জন্য পত্রিকা বা মেয়েদের জন্য সম্প্রচারিত টিভি প্রোগ্রাম এদের পছন্দ। ৪. রাস্তাঘাটে চলাফেরার সময়ে অন্য ছেলেদের ওপর এদের নজর থাকে বেশি। ৫. কোনও পাবলিক টয়লেটে যেতে এরা সাধারণত দ্বিধা বোধ করে। সূত্রঃ প্রফেসর ডাঃ মোহাম্মদ ফিরোজ
যথাসম্ভব মডিফাই করে লেখার চেষ্টা করছিঃ সেক্সুয়ালিটি জীবের একটি প্রাকৃতিক জৈবিক প্রক্রিয়া। বিজ্ঞান দিক থেকে নিম্নশ্রেণীর কিছু জীব উভয়লিঙ্গ। প্রকৃতিবাদ অনুসারে নিম্ন থেকে উচ্চ এক পর্যায়ে মানুষের সৃষ্টি। ফলে একই মানব দেহে পুরুষ এবং স্ত্রী হরমোন ক্ষরন হতে পারে। এটা মেন্ডেলের সূত্রের ব্যতিক্রম এবং সেক্স লিংকড ইনহেরিটেন্স দ্বারা ব্যাখ্যা করা যায়। এই অনুসারে ক্রসিং ওভারের সময় পরিপূরক জীন গুলো কার্যকারী মেন্ডেলীয় প্রকট হতে না পারায় শাবকের ম্যাচুরিটি আসার পর প্রজেস্টেরন ক্ষরন হতে থাকে। এটি নারী পুরুষ উভয় দেহে ক্ষরন হয়। এখন পুরুষের দেহে টেস্টোস্টেরন বেশি ক্ষরিত হয় বলে পুরুষালি বৈশিষ্ট্য লাভ করে তেমনি নারী দেহে ইস্ট্রজেন FSH=ফলিকল স্টুমিউলেটিং হরমন ক্ষরনের জন্য নারীসূলভ বৈশিষ্টপ্রাপ্ত হয়। এখন মেন্ডেলীয় প্রকট ব্যর্থতার জন্য জীন গুলো বিপরীত লিঙ্গের কিছু হরমন ক্ষরন করে ফলে পুরুষ বা নারী যেকেউ একই দেহে বিপরীত সেন্সিটিভিটি অনুভব করে ফলে সমলিঙ্গের ব্যক্তির প্রতি আকৃষ্ট হোন। এই সমলিঙ্গের প্রতি সেক্সুয়াল আকর্ষনকে সমকামীতা বলে। গবেষকগণ এটিকে ক্রসিং ওভারের অপুর্ণতাকে দায়ী করেন।(কেন বা কি কারনে অপুর্ন সে ব্যাখ্যা আলাদা অনেক বড়, সেদিকে গেলাম না) এটিকে কিছু ডাক্তার তাদের ভাষায় রোগ বলে থাকেন এবং জীন গত। এখন ছেলে ছেলে বা মেয়ে মেয়ে অতি সাধারন কিস এক্টিভিট সমকামীতার ভেতর পড়বেনা। কিন্তু যদি এই এক্টিভিটি যদি শারীরিক ক্রিয়া* থেকে হয় তবে তা সমকামীতা। এবং এক্ষেত্রে কোনভাবেই বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষন থাকবেনা।। আবার এমন কিছু বিষয় আছে যা রোগ নয় বা জিনগত ব্যাপার নয়, দৃষ্টিভঙ্গি বিষয়ক কিছু বিষয় কাউকে সমকামী করে তুলতে পারে যা কৃত্রিম। যেমন একটি ছেলে যদি মেয়েদের প্রতি অথবা মেয়ে যদি ছেলেদের প্রতি এতটাই লাজুক হয় যে কিছু বলতে পারেনা, পাশে বেশিক্ষন অবস্থান করতে পারেনা। তারা নিজেদের মধ্যে মেয়ে-মেয়ে, ছেলে-ছেলে নিষিদ্ধ বিষয় নিয়া দু একটা কথা বলতে বলতে লজ্জা কমে আসলে তখন শারীরিক রিফ্লেক্স সাড়া দেয়।(রিফ্লেক্স বা প্রতিবর্তক্রিয়া সমপর্কে জানলে বুঝবেন) তখন নিজেদের মধ্যে অবাধ সম্পর্ক সৃষ্টি ও পরে আসক্তি আসে। ফলে কৃত্রিম ভাবে সমকামী হয়ে ওঠে।