ছোট ছোট ক্রিমি দূর করার ঘরোয়া উপায়:
১.প্রতিদিন খালি পেটে তিনটি রসুনের কোয়া খান। এটি সপ্তাহে পাঁচদিন খাওয়ার চেষ্টা করুন। এছাড়া দুটি রসুন এক এবং আধা কাপ দুধে জ্বাল দিন। বলক এলে নামিয়ে ফেলুন। এবার এটি পান করুন। এটি এক সপ্তাহ পান করুন
২.কৃমি দূর করতে বেশ কার্যকর একটি উপায় হলো নারকেল। সকালের নাস্তায় এক টেবিল চামচ নারকেল কুচি খান। নাস্তা খাওয়ার তিন ঘন্টা পর এক গ্লাস কুসুম গরম দুধে দুই টেবিল চামচ ক্যাস্টর অয়েল মিশিয়ে পান করুন। এটি নিয়মিত পান করুন। তবে ক্যাস্টর অয়েল পাঁচ বছরের নিচের শিশুদের এবং গ্যাস্ট্রোইন্টেস্টাইনাল সমস্যাগ্রস্তদের জন্য প্রযোজ্য নয়। নারকেল কুচি ছাড়াও চার থেকে ছয় টেবিল চামচ বিশুদ্ধ নারকেল তেল পান করতে পারেন। এটিও কৃমি দূর করতে সাহায্য করবে।
৩.এক টেবিল চামচ কাঁচা পেঁপের রসের সাথে মধু তিন বা চার টেবিল চামচ গরম পানিতে মিশিয়ে নিন। এটি সকালে খালি পেটে পান করুন। দুই ঘন্টা পর এক গ্লাস কুসুম গরম দুধের সাথে দুই টেবিল চামচ ক্যাস্টর অয়েল মিশিয়ে পান করুন। এটি দুই থেকে তিন দিন পান করুন।
৪.ইউনিভার্সিটি অফ ম্যারিলেন্ড মেডিকেল সেন্টার কৃমি দূর করতে মিষ্টি কুমড়োর বীচি খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। মিষ্টি কুমড়োতে থাকা উপাদান অন্ত্রের কৃমিকে মেরে ফেলে। তিন কাপ পানিতে দুই টেবিল চামচ মিষ্টি কুমড়ো বীচি গুঁড়ো দিয়ে জ্বাল দিন ৩০ মিনিট। ঠান্ডা হলে এটি পান করুন।
৫.লবঙ্গে থাকা অ্যান্টিসেপটিক, অ্যান্টি পারাসাইটিক, ব্যাকটিরিসাইডাল রয়েছে যা কৃমির ডিম ধ্বংস করে দেয়। এক কাপ গরম পানিতে এক চা চামচ লবঙ্গের গুড়ো মিশিয়ে ১০-২০ মিনিট জ্বাল দিন। তারপর পান করুন। এটি দিনে তিনবার পান করুন। এক সপ্তাহ পান করুন। দেখবেন কৃমি দ্রুত মারা গেছে।
সূত্র: টপ টেন হোম রিমিডিস
কৃমিকে আমরা যতই ছোট-খাটো সমস্যা ভাবি না কেন, এটা কিন্তু অনেক ভয়ংকর একটা জিনিস। আমরা প্রতিদিন যে পুষ্টি পাচ্ছি, তার ৩ ভাগের ১ ভাগ নিয়ে নিচ্ছে কৃমি।অনেক সময় অনেকের অন্ত্র ব্লক হয়ে যায়, তখন পেট কেটে কৃমি বের করতে হয়। কৃমি হতে আয়রন ঘাটতি জনিত রক্তস্বল্পতা, অপুষ্টি, অ্যালার্জি, জন্ডিস, ক্যান্সার হতে পারে।