হযরত ঈসা (আঃ) এর মাতা মারইয়াম (আঃ) নবী ছিলেন না। মহান আল্লাহ তাআলা বলেনঃ তোমার পূর্বে জনপদবাসীদের মধ্যে যাদের কাছে ওয়াহী করতাম তারা পুরুষ মানুষ ব্যতীত ছিল না। তারা কি পৃথিবীতে ভ্রমণ করতঃ দেখে না যে, তাদের পূর্ববর্তী লোকেদের পরিণাম কী হয়েছিল? যারা তাকওয়া অবলম্বন করে, নিশ্চিতই পরলোকের ঘর তাদের আরো উত্তম, তবুও কি তোমরা বুঝবে না? (সুরা ইউসুফ আয়াতঃ ১০৯) মহান আল্লাহ নবুওয়ত ও রিসালাতের জন্য শুধুমাত্র পুরুষদেরকেই মনোনীত করেছেন। নারীরা এটার যোগ্যতা রাখে না বলেই তাদের দেয়া হয়নি। সৃষ্টিগতভাবে এতবড় গুরু-দায়িত্ব নেয়ার যোগ্যতা তাদের নেই। নবুওয়তের প্রচার-প্রসারের জন্য যে নিরলস সংগ্রাম দরকার হয় তা নারীরা কখনো করতে পারে না। তাদেরকে তাদের সৃষ্টি উপযোগী দায়িত্বই দেয়া হয়েছে। তাদের দায়িত্বও কম জবাবদিহীতাও স্বল্প। তাদেরকে এ দায়িত্ব না দিয়ে আল্লাহ তাদের উপর বিরাট রহমত করেছেন। মূলতঃ এটাই বিশুদ্ধ মত যে, আল্লাহ তাআলা কোন নারীকে নবী কিংবা রাসূল হিসেবে পাঠাননি। কোন কোন আলেম কয়েকজন মহিলা সম্পর্কে নবী হওয়ার দাবী করেছেন। উদাহরণতঃ ইবরাহীম আলাইহিস সালাম-এর বিবি সারা। মূসা আলাইহিস সালাম এর জননী এবং ঈসা আলাইহিস সালাম এর জননী মরিয়ম। এ তিন জন মহিলা সম্পর্কে কুরআনুল কারীমে এমন ভাষা প্রয়োগ করা হয়েছে, যা দ্বারা বোঝা যায় যে, আল্লাহ তাআলার নির্দেশে ফিরিশতারা তাদের সাথে বাক্যালাপ করেছে, সুসংবাদ দিয়েছে কিংবা ওহীর মাধ্যমে স্বয়ং তারা কোন বিষয় জানতে পেরেছেন। কিন্তু ব্যাপকসংখ্যক আলেমের মতে এসব আয়াত দ্বারা উপরোক্ত তিন জন মহিলার মাহাত্ম্য এবং আল্লাহর কাছে তাদের উচ্চ মর্যাদাশালিনী হওয়া বোঝা যায় মাত্র। এই ভাষা নবুওয়াত ও রেসালাত প্রমাণের জন্য যথেষ্ট নয়। (ইবনে কাসীর)
হযরত ঈসা (আঃ)-এর মাতা নবী ছিলেন না। কেননা, মহান আল্লাহ তায়ালা কোনো মহিলাকে নবীরূপে এ দুনিয়ার বুকে প্রেরণ করেন নি৷ দলিলঃ পবিত্র কুরআন।
আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে এরশাদ করেছেন, "আপনার পূর্বে আমি পুরুষদেরকেই রাসূলরূপে প্রেরণ করেছি, যাদের কাছে আমি ওহী পাঠাতাম। অতএব, তোমরা যদি না জান তবে যারা স্মরণ রাখে তাদেরকে জিজ্ঞেস কর।" (সুরা আল-আম্বিয়া, আয়াত নং ৭)।
মুহতারাম, সমস্ত নবী এবং রাসূলই পুরুষ মানুষ ছিলেন। অর্থাৎ, নবুওয়াত শুধুমাত্র পুরুষের জন্যই নির্দিষ্ট। এ থেকে বোঝা গেল যে, কোন নারী নবী হননি। কারণ, নবুয়তের দায়িত্ব ও কর্তব্য এমন, যা নারীদের স্বভাব ও প্রকৃতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। আর, হযরত ঈসা (আঃ)-এর মাতা যেহেতু নারী ব্যক্তিত্বের অধিকারীনী, তাই তিনি নবী ছিলেন না।