পরীক্ষা দেওয়ার পর রেজাল্ট কি হবে এটা ভেবে সব সময় চিন্তিত থাকা ।  পরীক্ষা যতই ভালো হোক না কেনো তার পর ও মনের ভিতর একটা ভয় কাজ করে । এই টেনশন টির শুরু হয়েছে ২০১৪ সালের এস.এস.সি এক্সাম থেকে । ২. আমার ২য় ডিপ্রেশন হচ্ছে  একদিন মারা যাবো । একদিন আমার   মা বাবা মারা যাবে ,  আমার ভাই ভাই মারা যাবে ।  যদি আমার ক্যান্সার হয়ে যায় যদি এক্সিডেন্ট করে ফেলি।  এরকম একটা খারাপ চিন্তা ধারা সব সময় ভিতরে থাকে ।  সুন্দর ভাবে থাকতে  ও পারি না ,  কারো সাথে মিশতে ও ইচ্ছে করে না । এই টেনশন এর শুরু হয়েছে ২০১৫ সালের মার্চে ক্যান্সার এ আক্রান্ত হয়ে আমার এক ভাতিজির মৃত্যুর কারণে ।  এই টেনশন টি আমার জীবনকে নষ্ট করে দিচ্ছে । ৩. আমার সর্বশেষ ডিপ্রেশন টি হচ্ছে আমার লাভ স্টোরি নিয়ে ।  যেটা নিয়ে আমি আগে ও অনেক প্রশ্ন করেছি ।  আমার সম্পর্ক আমার ফ্যামিলির আত্বীয় একজনের সাথে ।  যার কথা আত্বীয় স্বজনের মধ্য একটি ঘটনার জন্য (আগের প্রশ্নগুলোতে রয়েছে)  সবাই জেনে ফেলে ।  এবং আমাদের নামে অনেক বদনামি ও বের হয়।  এই ডিপ্রেশন এর জন্য আমি এখন ভদ্র ভাবে চলাফেরা করতে পারছি না ।  সুন্দর ভাবে চলতে গেলেই মাথায় আসে আমাকে সবাই কারেক্টারলেস বলবে । আমি তো খারাপ হয়ে গেছি সবার সামনে এখন আর ভালো ভাবে চলে কি হবে । ????? এই  ডিপ্রেশন গুলো থেকে বাঁচার উপায় কি ?   এগুলো নিয়ে বেচে থাকা ও সম্ভব হচ্ছে না ।।।   এভাবে তো আর জীবন কাটানো যাবে না আমাকে পরিবর্তন তো আনতেই হবে  ।।। কিন্তু কিভাবে ???? ইসলামের আলোকে উত্তর দিয়ে সহায়তা করুন।।।
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
RushaIslam

Call

ইমাম আহমদ (রহ.) আবদুল্লাহ ইবন মাসঊদ (রা.) থেকে বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো বিপদ বা দুশ্চিন্তায় দোয়াটি পড়বে, আল্লাহ তার দুশ্চিন্তা দূর করবেন এবং তার বিষাদকে আনন্দে পরিণত করে দেবেন।’ (মুসনাদ আহমাদ : ৪৩১৮)।  

দোয়াটি হলো-

اللَّهُمَّ إِنِّي عَبْدُكَ، وَابْنُ عَبْدِكَ، ابْنُ أَمَتِكَ، نَاصِيَتِي بِيَدِكَ، مَاضٍ فِيَّ حُكْمُكَ، عَدْلٌ فِيَّ قَضَاؤُكَ، أَسْأَلُكَ بِكُلِّ اسْمٍ هُوَ لَكَ، سَمَّيْتَ بِهِ نَفْسَكَ، أَوْ أَنْزَلْتَهُ فِي كِتَابِكَ، أَوْ عَلَّمْتَهُ أَحَدًا مِنْ خَلْقِكَ، أَوِ اسْتَأْثَرْتَ بِهِ فِي عِلْمِ الْغَيْبِ عِنْدَكَ، أَنْ تَجْعَلَ الْقُرْآنَ رَبِيعَ قَلْبِي، وَنُورَ صَدْرِي، وَجِلَاءَ حُزْنِي، وَذَهَابَ هَمِّي

উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্নী আব্দুকা অবনু আব্দিকা অবনু আমাতিকা, না-সিয়াতী বিয়য়াদিকা, মা-দ্বিন ফিইয়্যা হুকমুকা, আদলুন ফিইয়্যা ক্বাদ্বা-উকা, আসআলুকা বিকুল্লিস্মিন হুয়া লাকা সাম্মাইতা বিহী নাফসাকা আউ আনযালতাহূ ফী কিতাবিকা, আউ আল্লামতাহূ আহাদাম মিন খালক্বিকা, আও ইস্তা’সারতা বিহী ফী ইলমিল গাইবি ইন্দাক; আন তাজআলাল ক্বুরআনা রাবীআ ক্বালবী অনূরা সাদরী অজিলাআ হুযনী অযাহাবা হাম্মী।

অর্থ : হে আল্লাহ, নিঃসন্দেহে আমি তোমার দাস, তোমার দাসের পুত্র ও তোমার দাসীর পুত্র, আমার ললাটের কেশগুচ্ছ তোমার হাতে। তোমার বিচার আমার জীবনে বহাল। তোমার মীমাংসা আমার ভাগ্যলিপিতে ন্যায়সঙ্গত। আমি তোমার নিকট তোমার প্রত্যেক সেই নামের অসিলায় প্রার্থনা করছি- যে নাম তুমি নিজে নিয়েছ, অথবা তুমি তোমার গ্রন্থে অবতীর্ণ করেছ, অথবা তোমার সৃষ্টির মধ্যে কাউকে তা শিখিয়েছ, অথবা তুমি তোমার গায়বি ইলমে নিজের নিকট গোপন রেখেছ, তুমি কুরআনকে আমার হৃদয়ের বসন্ত কর, আমার বক্ষের জ্যোতি কর, আমার দুশ্চিন্তা দূর করার এবং আমার উদ্বেগ চলে যাওয়ার কারণ বানিয়ে দাও।



আরেকটি দোয়া-

আবদুল্লাহ ইবন আব্বাস (রা.) থেকে সহিহ বুখারি ও মুসলিমে বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিপদের সময় বলতেন :

«لاَ إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ العَلِيمُ الحَلِيمُ، لاَ إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ رَبُّ العَرْشِ العَظِيمِ، لاَ إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ رَبُّ السَّمَوَاتِ وَرَبُّ الأَرْضِ رَبُّ العَرْشِ الكَرِيمِ»

উচ্চারণ : লা ইলাহা ইল্লাল্লাহুল আলীমুল হালীম, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু রাব্বুল আরশিল আযীম, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু রাব্বুস সামাওয়াতি ওয়ারাব্বুল আরদি ওয়ারাব্বুল আরশিল কারীম।

অর্থ : আল্লাহ ছাড়া কোনো সত্য মাবুদ নেই; যিনি সর্বজ্ঞ, সহিষ্ণু। আল্লাহ ছাড়া কোনো সত্য উপাস্য নেই; যিনি মহান আরশের প্রতিপালক। আল্লাহ ছাড়া কোনো সত্য আরাধ্য নেই; যিনি আকাশমণ্ডলি, পৃথিবী ও সম্মানিত ‘আরশের অধিপতি। (সহিহ বুখারি : ৭৪২৬)।

প্রিয় পাঠক, লক্ষ্য করলে দেখবেন, তিনটি দোয়াতেই আল্লাহর একত্ববাদের ঘোষণা, অংশীদারিত্বের অস্বীকৃতি ও নিজের যাবতীয় ভুলের স্বীকারোক্তি রয়েছে। অতএব নিজের দোয়া কবুলের জন্য এ তিন বৈশিষ্ট্য রক্ষা করে চাইলে অবশ্যই আপনার যে কোনো টেনশন-পেরেশানি দূর হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ