আল্লাহ তায়ালা প্রতিটি কওমের জন্য হিদায়াতকারী, ভীতিপ্রদর্শনকারী, আহ্বানকারী, এবং সতর্ককারী হিসাবে নবী রাসুল পাঠিয়েছেন।
আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ আর প্রত্যেক উম্মতের জন্য আছে একজন রাসূল। (সূরা ইউনুসঃ ৪৭)
আরও এসেছে, আর এমন কোন উম্মত নেই যার কাছে গত হয়নি সতর্ককারী। (সূরা ফাতিরঃ ২৪)
আরও এসেছে, আর অবশ্যই আমরা প্রত্যেক জাতির মধ্যে রাসূল পাঠিয়েছিলাম। (সূরা আন-নাহলঃ ৩৬)
এখন বলতেই পারেন যাদের কাছে ইসলামের দাওয়াত কখনোই
পৌছেনি তাদের কি হবে মৃত্যুর
পর?
কিয়ামতের দিন অবশ্যই মানুষকে কৃতকর্মের ফলাফল প্রদান করা হবে পরিক্ষার মাধ্যমে অর্থাৎ হিসাবের মাধ্যমে।
যাদের কাছে ইসলামের দাওয়াত কখনো-ই
পৌছেনি তাদের মৃত্যুর পর আল্লাহর অনুগ্রহে হিসাব সহজ হয়েই জান্নাতে প্রবেশ করবে।
আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ অতঃপর
যার আমলনামা ডান হাতে দেয়া হবে
তার কাছ থেকে হালকা হিসাব নেয়া
হবে এবং সে হাসিমুখে নিজের
লোকজনের কাছে ফিরে যাবে। (সূরা
ইনশিকাকঃ ৭-৯)
মুমিনদের মধ্যে এমন বহু সংখ্যক থাকবে,
যারা বিনা হিসাবে জান্নাতে প্রবেশ
করবে। যেমন সত্তর হাজারের হাদীছে
এসেছে যে, তারা বিনা হিসাবে ও
বিনা আযাবে জান্নাতে প্রবেশ করবে।
হিসাব হবে বিভিন্ন রকম। কারো হিসাব
হবে একদম সহজ। আর এটি হলো কেবল
আমলগুলো পেশ করা। আরেক প্রকার
হিসাব হবে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে।
তাদেরকে আল্লাহ
জিয়ামতের দিন পরীক্ষা
করবেন। তারা উত্তীর্ণ হলে
জান্নাতে যাবে, না হলে
জাহান্নামে যাবে।
উদাহরণ দিয়ে বলা যায় পরিক্ষা যেমন হবে
জনাব! যারা
দুনিয়াতে ইসলামের দাওয়াত
পায়নি
তাদেরকে কিয়ামতের দিন বলা
হবে যে তারা যদি ইসলামের
দাওয়াত পেত তাহলে তা
মানত কি না?
যদি তারা বলে যে ইসলামের
দাওয়াত পেলে তারা তা মানত। আল্লাহর
হুকুম পালন করত। এজন্য আল্লাহ
তায়ালা তাদেরকে পরীক্ষা
করার জন্য জাহান্নামের কাছে
নিয়ে বলবেন যে আল্লাহর আদেশ
হলো তোমরা এই জাহান্নামে
ঝাঁপিয়ে পড়। তখন তাদের মধ্য
থেকে কিছু লোক ঝাঁপ দিবে।
এরকম তিনবার করবে। তারপর
যারা অবশিষ্ট থাকবে অর্থাৎ
ঝাঁপ দিবে না তাদেরকে বলা
হবে যে তারা তো আল্লাহর হুকুম
অমান্য করেছে তাই তাদেরকে
জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে।
আর যারা আল্লাহর হুকুম মেনে
জাহান্নামে ঝাঁপ দিয়েছিল
তাদেরকে জাহান্নাম থেকে
তুলে আনা হবে এবং জান্নাতে
প্রবেশ করানো হবে। আর তারা
যে জাহান্নামের আগুনে ঝাঁপ
দিয়েছিল তা মূলত ছিল ইবরাহীম
আলাইহিস সালাতু ওয়াস
সালামের আগুনের মত হবে।