হাদীসে গরম খাবার গ্রহণের কারণে ওযূ করার বিধানের আলোচনা পাওয়া যায় তবে সে বিধানের কার্যকারীতা এখন আর নেই। কারণ তার বিপরীত হাদীস ও সাহাবায়ে কেরামের আমল এবং পরবর্তী সকল উলামা এ ব্যাপারে একমত যে, উক্ত বিধান এখন আর প্রজোয্য নয়। তাই আগুনে পোড়ান বা স্পর্ষ করা খাবার খেলে এখন আর ওযু করতে হবে না। -সহীহ বুখারী; হা. নং ৫৪৫৭,  শরহু নববী ৪/২৬৬, ফাতহুল বারী ইবনু হাজার রহ.কৃত ১/৪০৬

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

আগুনে পাকানো খাদ্য আহারের পর অজুর প্রয়োজন নেই। অর্থাৎ আগুনে পোড়ানো বা স্পর্শ করা খাবার খেলে অজু ভেংগে যায়না। ইবনে আবী উমার (রহঃ) আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন আগুনে পাক করা খাদ্য আহার করলে অজু করতে হবে। যদিও তা পনিরের টুকরো হয়। রাবী বলেন ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু এই কথা শুনে আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু কে বললেন তাহলে কি তেল ব্যবহার করে বা গরম পানি ব্যবহার করেও আমাদের অজু করতে হবে? আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বললেন, হে ভ্রাতুষ্পুত্র, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত কোন হাদিস শুনলে এর উদাহরন দিতে যেও না। এই বিষয়ে উম্মু হাবীবা, উম্মু সালামা, যায়দ ইবনু ছাবিত, আবূ তালহা, আবূ আয়্যুব ও আবূ মূসা রাদিয়াল্লাহু আনহুম থেকেও হাদিস বর্ণিত রয়েছে। ইমাম আবূ ঈসা তিরমিযী বলেনঃ ফিকহবিদ আলিমদের কেউ কেউ আগুনে প্রস্তুতকৃত খাদ্য আহার করলে অজু করতে হবে বলে অভিমত দিয়েছেন। তবে সাহাবা, তাবিঈ এবং তৎপরবর্তী অধিকাংশ আলিম এই ক্ষেত্রে অজু জরুরী নয় বলে অভিমত প্রকাশ করেছেন। জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম 'কোথাও যাবার উদ্দেশ্যে' বের হলেন। আমিও তাঁর সাথে ছিলাম। তিনি এক আনসার মহিলার বাড়ীতে গেলেন। সে তার জন্য একটি বকরী যবেহ করল। তিনি তা খেলেন। অতঃপর সে তার জন্য পাত্রে করে তাজা খেজুর আনলো। তিনি তা হতে খেলেন, অতঃপর জোহরের নামাজের অজু করলেন এবং নামাজ আদায় করলেন। মহিলাটি বকরীর অবশিষ্ট গোশত হতে কিছু গোশত তাকে দিলেন। তিনি তা খেলেন এবং আসরের নামাজ আদায় করলেন, কিন্তু অজু করেননি। আবু ঈসা বলেনঃ বেশিরভাগ সাহাবা, তাবিঈ ও তার পরবর্তী বিদ্বানগণ এ হাদীস অনুযায়ী আমল করেন। অর্থাৎ আগুনে রান্না করা জিনিস খেলে পুনরায় অজুর দরকার নেই। তাদের মধ্যে রয়েছেন সুফিয়ান সাওরী, ইবনুল মুবারাক, শাফিঈ, আহমাদ ও ইসহাক। তাদের মতে, এ হাদীসটির মাধ্যমে পূর্ববর্তী হাদীসের কার্যকারীতা বাতিল হয়ে গেছে। (সূনান তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৭৯ সূনান আত তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৮০ হাদিসের মানঃ হাসান সহিহ।)

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ