আপনি একটা কাজ করতে পারেন। আল্লাহর কাছে মনে প্রানে ক্ষমা চাইতে পারেন এবং আর কখনো গীবত করবো না এই প্রতিজ্ঞা করতে পারেন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

গীবতের কাফফারা হলো,যদি সম্ভব হয় তাহলে উক্ত গীবতকৃত ব্যক্তির কাছে ক্ষমা চাওয়া আর যদি ক্ষমা চাওয়া সম্ভব না হয় তাহলে উক্ত ব্যক্তির জন্য আল্লাহ তায়ালার নিকট মাগফিরাতের দোয়া করা।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

গীবত বা পরনিন্দা সামাজিক শান্তি বিধ্বংসী একটি ঘৃণ্য অপরাধ। আল-কুরআনে গীবতকে আপন মৃত ভাইয়ের গোশত খাওয়ার সাথে তুলনা করা হয়েছে। আর হাদীসে একে ব্যভিচারের চেয়েও মারাত্মক অপরাধ বলে ঘোষণা করা হয়েছে। মহান আল্লাহ তায়ালা সূরা হুজুরাতের ১২ নম্বর আয়াতে বলেন, আর তোমরা কেউ কারো গীবত করো না, তোমরা কি কেউ আপন মৃত ভাইয়ের গোশত খাওয়া পছন্দ করবে? একে তোমরা অবশ্যই ঘৃণা করবে। (সূরা হুজুরাতঃ ১২) গীবত ইসলামি শরিয়তে হারাম ও কবিরা গুনাহের অন্তর্ভুক্ত। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ধ্বংস তাদের জন্য, যারা অগ্র- পশ্চাতে দোষ বলে বেড়ায়। (সূরা হুমাজাহঃ ১) যেহেতু আপনি এমন অনেক মানুষের গীবত করেছেন যাদের নিকট হতে চাইলেও ক্ষমা নিতে পারছেন না, এক্ষেত্রে আপনার করণীয় হচ্ছে তওবা করা। আল্লাহ তাআলা বলেছেন, অর্থাৎ হে ঈমানদারগণ! তোমরা সকলে আল্লাহর কাছে তওবা 'প্রত্যাবর্তন' কর, যাতে তোমরা সফলকাম হতে পার। (সূরা নূরঃ ৩১) অর্থাৎ তোমরা নিজেদের প্রতিপালকের নিকট 'পাপের জন্য' ক্ষমা প্রার্থনা কর, অতঃপর তাঁর কাছে তওবা 'প্রত্যাবর্তন' কর। (সূরা হূদঃ ৩) তিনি আরো বলেছেন, অর্থাৎ হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহর নিকট তওবা কর বিশুদ্ধ তওবা। (সূরা তাহরীমঃ ৮) জনাব! উলামা সম্প্রদায়ের উক্তি এই যে, প্রত্যেক পাপ থেকে তওবা করা ওয়াজিব তথা অবশ্য-কর্তব্য। তওবা কবুলের জন্য তিনটি শর্ত রয়েছে। ১। পাপ সম্পূর্ণরূপে বর্জন করতে হবে। ২। পাপে লিপ্ত হওয়ার জন্য অনুতপ্ত ও লজ্জিত হতে হবে। ৩। ঐ পাপ আগামীতে দ্বিতীয়বার না করার দৃঢ় সঙ্কল্প করতে হবে। সুতরাং যদি এর মধ্যে একটি শর্তও লুপ্ত হয়, তাহলে সেই তওবা বিশুদ্ধ হবে না।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ