বরকনে ব্যতীত একজন পুরুষ ও দুইজন নারী উপস্থিত থাকাব্যস্থায়,উপস্থিত পুরুষ সাক্ষী যদি বর এবং কনেকে ইজাব দেয় এবং বর কনে উভয়েই কবুল করে,তবে কি শরীয়ত মোতাবেক বিবাহ বৈধ হবে?

সাক্ষী হিসেবে ঐ পুরুষ কি বাতিল হয়ে যাবে ইজাব দেয়ার কারণে?

আরেকটি প্রশ্ন,খুতবাবিহীন বিবাহ কি অবৈধ হবে?

শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
  • সাক্ষী ইজাব দিতে পারবে না তথা বিবাহ পড়াতে পারবে না। সাক্ষী ইজাব দিলে তার সাক্ষী বাতিল হয়ে যাবে। এমতাবস্থায় সে ছাড়া আরও দুজন পুরুষ কিংবা একজন পুরুষ ও দুজন মহিলা সাক্ষী হিসেবে উপস্থিত থাকতে হবে। অর্থাৎ, বিয়ে পড়ানোর লোক বা কাজি থাকবে আলাদা, আর সাক্ষী থাকবে আলাদা। তবে বিয়ের বর নিজেই নিজের বিয়ের কাজি হতে পারবে। [ফাতাওয়া কাসিমিয়া : ১২/৭০৮]
  • প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রেও "একজন পুরুষ ও দুইজন নারী (সাক্ষী হিসেবে) উপস্থিত থাকাব্যস্থায়,উপস্থিত পুরুষ সাক্ষী যদি বর এবং কনেকে ইজাব দেয় এবং বর কনে উভয়েই কবুল করে" তবে (যদি বর-কনে একই বৈঠকে উপস্থিত না থাকে, তাহলে) শরিয়ত অনুযায়ী তাদের বিয়ে বৈধ হবে না। ইজাব দেওয়ার কারণে ওই পুরুষের সাক্ষী বাতিল হয়ে যাবে। [ফাতাওয়া কাসিমিয়া : ১৩/৪১] তবে সাক্ষী যে মজলিস বা বৈঠকে আছে, একই জায়গায় যদি বিয়ের বর এবং কনেও উপস্থিত থাকে, তাহলে আবার বিয়ে হয়ে যাবে। কারণ, এক্ষেত্রে সাক্ষী বিয়ে পড়ালেও সে বিয়ের কাজি নয়; বর-কনে নিজেরাই বিয়ের আকদকারী বা কাজি হিসেবে গণ্য হবে। [হিদায়া : ২/৩০৭; ফাতাওয়া কাসিমিয়া : ১২/৭০৮] (তবে খেয়াল রাখতে হবে, ইজাব যেন সহিহ পন্থায় হয়। মনে রাখবেন, বিয়েতে উভয়কেই ইজাব দেওয়া হয় না বা উভয়ই কবুল বলে না। বরং একজনের পক্ষ থেকে ইজাব বা প্রস্তাব দেওয়া হয় এবং অন্যজন তা কবুল করে।)
  • খুতবাবিহীন বিবাহ বৈধ আছে। কারণ খুতবা বিয়ের ফরজ বা শর্ত নয়। বরং সুন্নাত। আর সুন্নাত ছেড়ে দিলেও বিয়ে হয়ে যায়। [ফাতাওয়া কাসিমিয়া : ১২/৫০৩] 
ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ