যদি আপনার কাছে মনে হয়, আপনি অপরাধী। তাহলে আল্লাহর কাছে তওবা করুন। খুব বেশী করে কাঁদুন তাঁর কাছে, যিনি হেদায়াতের মালিক। নিশ্চয়ই তিনি তওবাকারীকে পছন্দ করেন। ৫ ওয়াক্ত নামায পড়ুন। প্রকৃত নামায মানুষকে খারাপ কাজ থেকে বিরত রাখে। সম্ভব হলে তাহাজ্জুদ সহকারে নফল নামায গুলো পড়ুন। বেশি বেশি নফল নামায আদায় কারীকে আল্লাহ তায়ালা তাঁর ওলি হিসেবে কবুল করে নেন। তগদিরের উপর বিশ্বাস রাখুন। ইনশাআল্লাহ, হেদায়াত নসিব হবে।
আপনার এ অবস্থা শয়তান কর্তৃক।এরকম অবস্থা সাহাবায়ে কেরামের মধ্যেও বিদ্যমান ছিল। তাঁরাও এমন ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন। নিজের ঈমানের প্রতি অনাস্থা এসে গিয়েছিল। তাঁদের এহেন পরিস্থিতিতে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সুসংবাদ প্রদান করে বলেছিলেন যে,এটা তো সুস্পষ্ট ঈমান।(সহিহ মুসলিম ১৩২) সুতরাং ভাই আমার! আপনার এ অবস্থাও ঈমানের পরিচয় বহন করে।তাই চিন্তিত হবেন না। কারণ বান্দার অন্তরে যা কিছু আসে তার হিসেব নেয়া হবেনা যতক্ষণ না সে তা ইচ্ছাকৃতভাবে আনবে।(সূরা তালাক ৭) রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামও উম্মতদেরকে অভয় দিয়ে বলে গেছেন; আমার উম্মতের অন্তরে যে কুমন্ত্রনার উদয় হবে সেগুলোর হিসাব আল্লাহ নিবেন না যতক্ষণ না সে তা কাজে পরিনত করবে বা মুখে উচ্চারণ করবে।(সহিহ বুখারী ৬৬৬৪) তাই এগুলো আসা অস্বাভাবিক কিছু নয়।আর আসলে উম্মতের করণীয় হিসেবে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে বিষয়ে সন্দেহের উদয় হবে সে বিষয়ের প্রতি ঈমান আনার কথা বলেছেন।(সহিহ মুসলিম ১৩৪) অর্থাৎ কোন বিষয়ে সন্দেহ আসলে শুধু বলবে যে আমি এর প্রতি ঈমান আনলাম। এতটুকু যথেষ্ট। আর আপনি সকাল সন্ধ্যা কুরআন তেলাওয়াত করুন।ইস্তেগফার ও শাইতান থেকে নিষ্কৃতির দোয়া করুন ও পড়ুন।