এই প্রশ্নের উত্তর দিলে খুবই উপকৃত হব দয়া করে উত্তর দিন।
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক হচ্ছে সকল জাতি বা রাষ্ট্রের মধ‍্যে বিদ‍্যমান সম্পর্ক, অথবা সমস্ত জাতি বা রাষ্ট্রের মৈত্রী (বন্ধুত্ব বা সন্ধি)। আর আন্তর্জাতিক রাজনীতি হচ্ছেঃ পুরো বিশ্বজুড়ে রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা করা। সূত্রঃ বাংলা ডিকশনারী।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Ronu

Call
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক
১। আন্তর্জাতিক বলতে সর্ব দেশীয় বোঝায়।
২। আন্তর্জাতিক বলতে অধিকাংশ ক্ষেত্রে (একটি কোম্পানি, ভাষা, অথবা সংগঠন) বোয়ায় যা একের অধিক দেশের সাথে সংযুক্ত অথবা এর কার্যক্রম একের অধিক দেশে বিস্তৃত।
৩। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক যেমন, আন্তর্জাতিক আইন যা প্রয়োগ করা হয় একের অধিক দেশ বা জাতির জন্য, আন্তর্জাতিক ভাষা যা ব্যবহৃত হয় পৃথিবীর সকলদেশে।
৪। আন্তর্জাতিক সম্পর্কে বিভিন্ন চুক্তি বর্তমানে করা হয়।

আন্তর্জাতিক রাজনীতি
1। আন্তর্জাতিক রাজনীতি বলতে বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক সম্পর্ক বোঝায়।
2। আন্তর্জাতিক রাজনীতি বলতে এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে কিছু ব্যক্তির সমন্বয়ে গঠিত কোন গোষ্ঠী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে এবং এতে বিভিন্ন প্রক্রিয়ে রয়েছে।
৩। আন্তর্জাতিক রাজনীতি কর্তৃত্ব ও ক্ষমতার ভিত্তিতে গঠিত সামাজিক সম্পর্ক নিয়ে গঠিত।
৪। আন্তর্জাতিক রাজনীতি দ্বারা নাগরিক সরকারের রাজনীতিকেই বোঝানো হয়, তবে অন্যান্য অনেক সামাজিক প্রতিষ্ঠান, যেমন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান যেখান মানুষের মধ্যে পারস্পারিক সম্পর্ক বিদ্যমান, সেখানে রাজনীতি চর্চা করা হয়।
ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও আন্তর্জাতিক রাজনীতির মধ্যে সম্পর্ক :

আন্তর্জাতিক রাজনীতি ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক পরস্পর নিবিড়ভাবে সম্পর্কিত। আন্তর্জাতিক রাজনীতি হল আন্তর্জাতিক সম্পর্কের একটি উল্লেখযােগ্য দিক। আন্তর্জাতিক ব্যবস্থার দিকে দৃষ্টিপাত করলে দেখা যায় আন্তর্জাতিক সম্পর্ক সমগ্র বিশ্বকে নিয়ে আলােচনা করে। অর্থাৎ বিশ্বের সকল খুঁটনাটি বিষয়গুলাে এখানে স্থান পায় কীভাবে একটি রাষ্ট্র অন্য একটি রাষ্ট্রের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে পারে, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে একটি রাষ্ট্র কীভাবে তার ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে পারে, কীভাবে জাতীয় শক্তি বৃদ্ধি করতে পারে, কীভাবে তার রাষ্ট্রীয় স্বার্থ উদ্ধার করতে পারে, কীভাবে বিশ্বে তার প্রভাব বিস্তার করতে। পারে এবং প্রভাব বলয় বৃদ্ধি করতে পারে। আন্তর্জাতিক সম্পর্কে অনেক গুরুত্বের সাথে আন্তর্জাতিক রাজনীতি বিষয়টি আলােচিত হয়। এদিক থেকে যদি বিচার করা হয় তাহলে বলা যায় আন্তর্জাতিক সম্পর্ক হল একটি Macro বিষয় আর আন্তর্জাতিক রাজনীতি হল Micro বিষয়।

আন্তর্জাতিক রাজনীতি ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক নিয়ে Joseph Frangcle যে মত প্রদান করেছেন। তা হল, তিনি রাষ্ট্রসমূহের সম্পর্কের ইতিহাস ও বাস্তব সম্পর্ককে আন্তর্জাতিক রাজনীতি বলে। অভিহিত করতে অস্বীকৃতি জানান। বর্তমান শতকে বিভিন্ন রাষ্ট্রসমূহের পারস্পরিক সম্পর্ক ও সহযােগিতা এত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে যে, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক জ্ঞানের একটি স্বতন্ত্র শাখা হিসেবে। স্বীকৃতি পাবার দাবিদার। এটা কেবল বিভিন্ন রাষ্ট্রের বৈদেশিক সম্পর্কের বিভিন্ন দিক ও ইতিহাস। নিয়েই আলােচনা করে না সমগ্র আন্তর্জাতিক সমাজ, প্রতিষ্ঠান ও প্রক্রিয়াসমূহও এর আলােচনার অন্তর্গত। এটা রাষ্ট্রসমূহ ও তার পারস্পরিক ক্রিয়া প্রতিক্রিয়া এবং সীমার বাইরেও রাজনীতির জটিল। প্রক্রিয়াকে বিশ্লেষণ করে থাকে। এসব দিক বিবেচনা করে Frangcle আন্তর্জাতিক সম্পর্কের চেয়ে বিশ্ব রাজনীতি (world politics) নামটিকে অধিকতর প্রাসঙ্গিক বলে মনে করেন।
(Collected)

Palmer and Perkins এর মতামত : পামার ও পারকিনস আন্তর্জাতিক সম্পর্ককে একই অর্থে ব্যবহার করতে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করেছেন। তারা বলেছেন যে অনেক লেখকই এই দুয়ের মধ্যকার। পার্থক্য অনুধাবন করতে সক্ষম হননি। ফলে আন্তর্জাতিক রাজনীতি ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক অধ্যয়নের। ক্ষেত্রে দেখা দিয়েছে শব্দার্থগত বিভ্রান্তি (semantic confusion)। তারা ধারণা করেন আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ধারণা আন্তর্জাতিক রাজনীতির চেয়ে অনেক ব্যাপক। তারা বলেছেন, "International relations is a broader term than international politics and that its study is being enriched by the wider and versatile approaches and methods currently being pursued, but new insights and techniques should be employed to understand better the core as well as to explore the peripheries of the world". Westo রাজনীতিকে বিশ্লেষণের জন্য আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ধারণার উপর নির্ভরশীল হতে হয় । আন্তর্জাতিক সম্পর্ক রাজনীতিক ও অরাজনীতিক সকল বিষয়ের সাথে সম্পৃক্ত। এ আলােচনায় রাষ্ট্রের সম্পর্ক বলতে সেই সম্পর্ককেই বুঝায় যে সম্পর্ক রাষ্ট্রবিজ্ঞানের চিরাচরিত আলােচ্য বিষয়ের অন্তর্ভুক্ত। এ অর্থে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক যথেষ্ট ব্যাপক এবং এর ক্ষেত্রকে সীমিত করে দেখার কোন অবকাশ নেই।

হ্যান্স জে. মরগ্যানুথ্য (Hans J. Margenthau) এর মত :

তিনি আন্তর্জাতিক সম্পর্কের পরিবর্তে আন্তর্জাতিক রাজনীতি কথাটি ব্যবহার করে এর উপর অধিক গুরুত্ব দিয়েছেন। তিনি মনে করেন পাঠ্য বিষয় হিসেবে আন্তর্জাতিক রাজনীতি সাম্প্রতিক কালের ইতিহাস। চলতি ঘটনা প্রবাহ, আন্তর্জাতিক আইন এবং আন্তর্জাতিক সংস্কার থেকে পৃথক ও স্বতন্ত্র নয়, বরং এগুলাের এক সমন্বিত রূপ।

উপযুক্ত আলােচনার পরিপ্রেক্ষিতে একথা বলা যায় যে, আন্তর্জাতিক রাজনীতি ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক সম্পূর্ণ রূপে এক ও অভিন্ন নয় কিন্তু এদের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বিদ্যমান রয়েছে। আন্তর্জাতিক রাজনীতি আন্তর্জাতিক সম্পর্কের নির্দিষ্ট বিষয়াদি ও সমস্যাসমূহ নিয়ে আলােচনা করে। তাই একথা নিঃসন্দেহে বলা যায় আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্র আন্তর্জাতিক রাজনীতি অপেক্ষা ব্যাপক।

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও আন্তর্জাতিক রাজনীতির মধ্যে পার্থক্য :

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও আন্তর্জাতিক রাজনীতির মধ্যে যেমন কিছু সাদৃশ্য পাওয়া যায় তেমনি এ দুয়ের মধ্যে বেশ কিছু পার্থক্যও রয়েছে। নিম্নে সেগুলাে তুলে ধরা হল-

এক. সংজ্ঞাগত দিক থেকে : সাধারণভাবে বলতে গেলে আমরা বুঝি একটি দেশের সাথে অন্য দেশের সম্পর্ক নিয়ে যে শাস্ত্র আলােচনা করে তাকে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বলে। অন্যদিকে আন্তর্জাতিক রাজনীতি হল আন্তর্জাতিক সমাজের রাজনীতি। আন্তর্জাতিক রাজনীতি অন্যান্য রাজনীতির ন্যায় ক্ষমতার দ্বন্দ্ব নিয়ে আলােচনা করে।

দুই. প্রসারতা ও গভীরতার দিক থেকে : বর্তমানে বিশ্বায়নের যুগে বিশ্বের স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্রগুলাের মধ্যে যে পারস্পরিক নির্ভরশীলতা বিদ্যমান রয়েছে এবং আন্তঃক্রিয়া, সাহায্য সহযােগিতা এবং কীভাবে বিশ্বে শান্তিসমৃদ্ধি ও স্থিতীশীলতা প্রতিষ্ঠা করা যায় এগুলাের খুটিনাটি নিয়ে ব্যাপকভাবে আন্তর্জাতিক সম্পর্কে আলােচনা করা হয়। অপরদিকে আন্তর্জাতিক রাজনীতি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সাথে সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে আলােচনা করে। ।

তিন, আলােচনার বিষয়গত পার্থক্য : আন্তর্জাতিক ব্যবস্থার সাথে সংশ্লিষ্ট সকল বিষয় নিয়ে। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক আলােচনা করে। বিভিন্ন তত্ত্বমূলক আলােচনা, ঐতিহাসিক রাজনৈতিক ঘটনা, বিভিন্ন অরাষ্ট্রীয় বিষয় যেমন- সংস্থা, সংগঠন, আইন, সম্মেলন, চুক্তি এগুলাে ছাড়াও বিশ্বের অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও মানবিক বিষয়গুলাে নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্পর্কে আলােচনা করা হয়। আন্তর্জাতিক রাজনীতি কেবলমাত্র ক্ষমতার সাথে সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলােচনা করে।

চার. লক্ষ্যগত পার্থক্য : আন্তর্জাতিক সম্পর্কের উদ্দেশ্য বিভিন্ন স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের মধ্যে কীভাবে শান্তিপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপন করা যায়, কিভাবে শান্তি সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা করা যায় এগুলাে নিয়ে আলােচনা করা। অন্যদিকে আন্তর্জাতিক রাজনীতি রাষ্ট্রের মধ্যকার রাজনৈতিক সম্পর্কের দিকে বেশি গুরুত্ব দেয়।

পাঁচ. উৎপত্তির দিক থেকে : উৎপত্তির দিক থেকে আন্তর্জাতিক সম্পর্কে যে সকল বিষয় আলােচনা করা হয় সেগুলাে বিভিন্ন বিষয়ের উপর হতে পারে যেমন অর্থনৈতিক, সামজিক, রাজনৈতিক, দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক ইত্যাদি। অন্যদিকে আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে রাজনীতির সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলােচনা করা হয়।

ছয়. প্রতিষ্ঠানগত দিক থেকে : রাষ্ট্র একটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান। রাষ্ট্রসহ আরও অন্যান্য সকল প্রতিষ্ঠান বা সংগঠন ও সংস্থা রয়েছে সেগুলাের যাবতীয় কার্যক্রম সম্পর্কে আন্তর্জাতিক সম্পন্ন আলােচনা করা হয়। অপরপক্ষে আন্তর্জাতিক রাজনীতির মুখ্য আলােচনার বিষয় হল রাষ্ট্রের যাবতীয় আন্তর্জাতিক কার্মকাণ্ড।

উপযুক্ত প্রধান পার্থক্যগুলাে ছাড়াও আরও কিছু পার্থক্য রয়েছে সেগুলাে নিম্নে আলােচনা করা হল।

প্রথমত : আন্তর্জাতিক সম্পর্ক মূলত আন্তর্জাতিক কিন্তু রাজনৈতিক বিষয়গুলাে এখানে গুরুত্ব পায়। কিন্তু আন্তর্জাতিক রাজনীতির মূল প্রতিপাদ্য হল সাবভৌম রাষ্ট্রগুলাের রাজনৈতিক ও পররাষ্ট্রীয় দিক নিয়ে আলােচনা করা ।

দ্বিতীয়ত : আন্তর্জাতিক রাজনীতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অর্থাৎ মানবকল্যাণের নিমিত্তে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা ও নীতি প্রণয়ন করে। আর আন্তর্জাতিক রাজনীতি কেবল নিজ রাষ্ট্রের স্বার্থে নীতি প্রণয়ন করে।

তৃতীয়ত : আন্তর্জাতিক সম্পর্ক একটি স্বতন্ত্র ও পূর্ণাঙ্গ বিষয় কিন্তু আন্তর্জাতিক রাজনীতি হল আন্তর্জাতিক সম্পর্কের অন্যতম একটি বিষয়।।

চতুর্থত : আন্তর্জাতিক রাজনীতি নিজ রাষ্ট্রকেন্দ্রীক চিন্তাভাবনা বেশি করে কিন্তু আন্তর্জাতিক সম্পর্ক সকল স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্রের কল্যাণে কাজ করে।

পঞ্চমত : আন্তর্জাতিক সম্পর্ক সাধারণত সরাসরি বিভিন্ন নীতি প্রণয়ন করে অন্যদিকে আন্তর্জাতিক রাজনীতি পরােক্ষভাবে বিভিন্ন নীতি নির্ধারণ করে থাকে।

ষষ্ঠত : আন্তর্জাতিক সম্পর্ক হল এমন একটি বিষয় যা প্রতিনিয়ত পরিবর্তনশীল। এখানে বিশ্বের চলমান এবং সাম্প্রতিক বিষয়গুলাে গুরুত্ব পায়। আন্তর্জাতিক ব্যবস্থার পরিবর্তন, আন্তর্জাতিক ব্যবস্থার ভবিষ্যৎ রূপ কেমন হতে পারে এগুলাে নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক আলােচনা করে। অপরপক্ষে আন্তর্জাতিক রাজনীতি বিভিন্ন রাষ্ট্রের সরকারের সাথে সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে আলােচনা করে।

সপ্তমত : আন্তর্জাতিক সম্পর্কে যুদ্ধবিগ্রহ সম্পর্কে বিস্তারিত আলােচনা করা হয়। যেমন যুদ্ধের। কারণ, যুদ্ধের প্রভাব ও ফলাফল, যুদ্ধ থেকে পরিত্রাণ লাভের উপায় ইত্যাদি আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে গভীরভাবে আলােচনা করা হয় না।

অষ্টমত : আন্তর্জাতিক সম্পর্ক সার্বভৌম রাষ্ট্রগুলাের পারস্পরিক সাহায্য ও সহযােগিতা নিয়ে ব্যাপক আলােচনা করে কিন্তু আন্তর্জাতিক রাজনীতি ক্ষমতার সাথে সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলােচনা করে।


পরিশেষে বলা যায় আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও আন্তর্জাতিক রাজনীতি আমাদের দৈনন্দিন ও আন্তর্জাতিক জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশে পরিণত হয়েছে। আন্তর্জাতিক ব্যবস্থায় প্রতিটি দেশই। এখন রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও তথ্য প্রযুক্তিগত দিক থেকে পূর্বের তুলনায়। অনেক বেশি একে অপরের দ্বারা প্রভাবিত এবং আন্তঃনির্ভরশীল। কিন্তু বিভিন্ন গােষ্ঠীর যােগাযােগের। অভাব, স্বার্থের সংঘাত, ভুল বুঝাবুঝি প্রভৃতি কারণে আন্তঃরাষ্ট্রীয় সম্পর্ক বজায় রাখা সম্ভব হচ্ছে না। এই পরিস্থিতি মােকাবেলায় বর্তমানে মানব সভ্যতার যে তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে তা দূর করার। একমাত্র পথ আন্তর্জাতিকতার পথ। কাজেই এক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক রাজনীতি ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক। পাঠের গুরুত্ব অপরিসীম।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ