শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

বিবাহের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কোন বয়সের কথা ইসলাম বলে নি। হাদিস শরিফে এসেছে, রাসুলুল্লাহ  বলেছেন,

ﻳَﺎﻣَﻌْﺸَﺮَ ﺍﻟﺸَّﺒَﺎﺏِ ﻣَﻦِ ﺍﺳْﺘَﻄَﺎﻉَ ﻣِﻨْﻜُﻢُ ﺍﻟْﺒَﺎﺀَﺓَ ﻓَﻠْﻴَﺘَﺰَﻭَّﺝْ، ﻓَﺈِﻧَّﻪُﺃَﻏَﺾُّ ﻟِﻠْﺒَﺼَﺮِ ﻭَﺃَﺣْﺼَﻦُ ﻟِﻠْﻔَﺮْﺝِ ﻭَﻣَﻦْ ﻟَﻢْ ﻳَﺴْﺘَﻄِﻊْ ﻓَﻌَﻠَﻴْﻪِﺑِﺎﻟﺼَّﻮْﻡِ ﻓَﺈِﻧَّﻪُ ﻟَﻪُ ﻭِﺟَﺎﺀٌ

হে যুবসমাজ! তোমাদেরমধ্যে যারা বিবাহের সামর্থ্য রাখে, তাদের বিবাহ করা কর্তব্য। কেননা বিবাহ হয় দৃষ্টি নিয়ন্ত্রণকারী, যৌনাঙ্গের পবিত্রতা রক্ষাকারী। আর যার সামর্থ্য নেই সে যেন রোজা পালন করে। কেননা রোজা হচ্ছে যৌবনকে দমন করার মাধ্যম। (বুখারী ৫০৬৫; মুসলিম ১৪০০)

উক্ত হাদিস থেকে বুঝা যায়, কোন ব্যক্তি সামর্থ্যবান হলেই বিয়ে করে নেয়া উচিত। আর যেহেতু ব্যক্তি হিসেবে শক্তি সামর্থ্য ভিন্ন হয়ে থাকে; অনেকে অল্প বয়সেই সামর্থ্যবান হয়ে যায়, অনেকের একটু সময় লাগে, তাই যৌক্তিকতার দাবী হল, এর জন্য বয়স ঠিক না করা। এজন্য ইসলামে বিয়ের বয়স নির্ধারণ করা হয় নি।

তবে হ্যাঁ, ছেলে মেয়ে বিয়ের ক্ষেত্রে দেরি করা ঠিক নয়। কেননা, রাসুলুল্লাহ  বলেছেন,

من وُلِدَ لَهُ وَلَدٌ فَلْيُحْسِنِ اسْمَهُ وَأَدَبَهُ فَإِذَا بَلَغَ فَلْيُزَوِّجْهُ فَإِنْ بَلَغَ وَلَمْ يُزَوِّجْهُ فَأَصَابَ إِثْمًا فَإِنَّمَا إثمه على أَبِيه

তোমাদের মাঝে যার কোন (পুত্র বা কন্যা) সন্তান জন্ম হয় সে যেন তার সুন্দর নাম রাখে এবং তাকে উত্তম আদব কায়দা শিক্ষা দেয়; যখন সে বালেগ অর্থাৎ সাবালক/সাবালিকা হয়, তখন যেন তার বিয়ে দেয়; যদি সে বালেগ হয় এবং তার বিয়ে না দেয় তাহলে, সে কোন পাপ করলে উক্ত পাপের দায়ভার তার পিতার উপর বর্তাবে। (বাইহাকি ৮১৪৫)

আর ছেলে মেয়ের বয়সের মাঝে বেশি পার্থক্য থাকা উচিত নয়; বরং বয়সের পার্থক্য কম থাকা উত্তম। এটা বুঝা যায় হযরত ফাতিমা রাযি. এর বিয়ের দিকে তাকালে। তাঁকে বিয়ে করার প্রস্তাব হযরত আবু বকর রাযি. এবং হযরত উমর রাযি.-ও দিয়েছিলেন। যাঁদের শ্রেষ্ঠত্ব ও মর্যাদার কথা বলার অপেক্ষা রাখে না। তাঁরা ছিলেন উম্মতের শ্রেষ্ঠতম ব্যক্তি। কিন্তু রাসূল  তাঁদের কাছে কম বয়সী ফাতিমা রাযি.-কে বিবাহ দেন নি। দিয়েছেন কাছাকাছি বয়স্ক হযরত আলী রাযি.-এর সাথে। (মওসূআতু হায়াতুস সাহাবিয়্যাত ৬২১)

والله اعلم بالصواب
উত্তর দিয়েছেন
মাওলানা উমায়ের কোব্বাদী নকশবন্দী

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

ইসলামি শরীয়তে তথা কুরআন ও হাদিসের বিধান অনুযায়ী ছেলেমেয়েদের বালেগ বা বয়ঃপ্রাপ্ত হলে বিয়ে দেয়া বা বিয়ে করানোর হুকুম করা হয়েছে। তবে কোথাও বয়সের সময় সীমা উল্লেখ করা হয়নি। ছেলে বা মেয়ে বালেগ তথা প্রাপ্ত বয়স্ক হবার মূল নিদর্শন হলো বীর্যস্খলন হওয়া। এটা হতে পারে নয় দশ বা তার উর্ধে। আয়িশা (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন তাকে বিয়ে করেন তখন তার বয়স ছিল ৬ বছর এবং নয় বছর বয়সে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার সঙ্গে বাসর ঘর করেন এবং তিনি তার সান্নিধ্যে নয় বছরকাল ছিলেন। (সহীহ বুখারী হাদিস নম্বরঃ ৫১৩৩) সুনানে ইবনে মাজাহ হাদিস নম্বরঃ ১৮৭৭ বর্ননা অনুযায়ী নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আয়িশা (রাঃ) কে তার সাত বছর বয়সে বিবাহ করেন। এবং তার সাথে তার নয় বছর বয়সে বাসর যাপন করেন। হাদিস দুইটি এটাও প্রমান করে মেয়েদের নয় বছর বয়সে বিবাহ দিলেও কোন সমস্যা নেই। বালেগ বয়ঃপ্রাপ্ত বীর্যস্খলন হওয়াই হচ্ছে মুল কথা।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ