সাধারণ ভাবে কোনো এলাকার বা অঞ্চলের গড় আবহাওয়ার পরিবর্তন হওয়াকে জলবায়ু পরিবর্তন বলে। উইকিপিডিয়ার সূত্র অনুযায়ী "কোন জায়গার গড় জলবায়ুর দীর্ঘমেয়াদী ও অর্থপূর্ণ পরিবর্তন যার ব্যাপ্তি কয়েক যুগ থেকে কয়েক লক্ষ বছর পর্যন্ত হতে পারে তাকে জলবায়ু পরিবর্তন বলে"। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণ অনেকে।এর জন্য কোনো দেশ একক ভাবে দায়ী নয়।এর জন্য সাধারণত উন্নত দেশগুলো যারা দৈনন্দিন কাজে প্রযুক্তি বেশি ব্যবহার করে (যেমন আমেরিকা,রাশিয়া,জাপান ইত্যাদি) তারাই এর জন্য বিশেষভাবে দায়ী।তাই কারণগুলো শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়।এর কারণ পুরো বিশ্বব্যাপি।তাই কারণগুলো নিচে আলোচনা করা হলো: 1.এর মূল কারণ হলো মানুষের কর্মকান্ড।দিন দিন বিভিন্ন দেশে কল-কারখানার সংখ্যা বেড়েই চলেছে।তাই সেই সব কল-কারখানার বর্জ্য ও কালো-ধোয়া এর প্রধান কারণ। 2.সৌর বিকিরণের মাত্রা, পৃথিবীর অক্ষরেখার দিক-পরিবর্তন কিংবা সূর্যের তুলনায় পৃথিবীর অবস্থানের জন্যেও জলবায়ু পরিবর্তন হতে পারে। 3. বর্তমান সময়ে মনুষ্যজনিত গ্রীন হাউজ গ্যাসের ফলে পৃথিবীর উষ্ণায়নকে জলবায়ু পরিবর্তনের একটি অন্যতম কারণ ধরা হয়।
জলবায়ু পরিবর্তন কী? কোন জায়গার গড় দীর্ঘমেয়াদী আবহাওয়া ও অর্থপূর্ণ বা সাধারণত ২০-২৫ বছর পরিবর্তন যার ব্যাপ্তি কয়েক যুগ থেকে কয়েক লক্ষ বছর পর্যন্ত হতে পারে তাকে জলবায়ু পরিবর্তন বলে। এছাড়া সাধারণত যেমন সাধারণত শীতকালে গ্রামে অনেক বেশি ঠান্ডা পড়ে এসেছে ২০-৩০ বছর পর্যন্ত। এখন এই ঠান্ডা কম পড়া অথবা না পড়াকে জলবায়ুর পরিবর্তন বা Climate change বলা হয়। জলবায়ুর পরিবর্তনের কারণ? → জলবায়ু পরিবর্তন বিভিন্ন নিয়ামকের উপর নির্ভরশীল; যেমন- জৈব প্রক্রিয়াসমূহ, পৃথিবী কর্তৃক গৃহীত সৌর বিকিরণের পরিবর্তন, ভূত্বক গঠনের পাততত্ত্ব আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাত, ইত্যাদি। তবে বর্তমান কালে সামাজিক ও রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে জলবায়ু পরিবর্তন বললে সারা পৃথিবীর ইদানীং সময়ের মানবিক কার্যকর্মের কারণে জলবায়ু পরিবর্তন বোঝায় যা ভূমণ্ডলীয় উষ্ণতা বৃদ্ধি পায়। → মানুষের তৈরি গ্রিনহাউজ গ্যাস বৃদ্ধির ফলে জলবায়ুর পরিবর্তন হয়। মানুষের তৈরি গ্রিনহাউজ গ্যাসের মধ্যে কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ বেশি। → ক্রমাগত বনভূমি ধ্বংসের ফলে জলবায়ুর পরিবর্তন যেমন পৃথিবীর উষ্ণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশেষজ্ঞ এর মতে একটি দেশের মোট আয়তনের মধ্যে শতকরা ২৫ ভাগ বনভূমি থাকা দরকার। কিন্তু বাংলাদেশে বনভূমির পরিমাণ মাত্র ১৭ ভাগ। ফলে সাম্প্রতিক বাংলাদেশে মোট বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমে গেছে। → সৌর বিকিরণের মাত্রা, পৃথিবীর অক্ষরেখার দিক-পরিবর্তন কিংবা সূর্যের তুলনায় পৃথিবীর অবস্থান। জলবায়ুর বৈজ্ঞানিক মডেলে এই সমস্ত সূচককে ইংরেজিতে অনেক সময় Climate Forcing বলে সম্বোধন করা হয়।