বিস্তারিত জানতে চাই।
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Ronu

Call

চিকিৎসকরা সর্বদাই দিনে দুইবার দাঁত ব্রাশ করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর এবং রাতে ঘুমাতে যাওয়ার ঠিক আগে। কিন্তু আমরা কয়জন এটি অনুসরণ করি? অবশ্যই বেশি না। যদিও আমরা সবাই সকালে দাঁত ব্রাশ করি। তবে রাতে ব্রাশ করার নিয়মটি অনেকেই এড়িয়ে যাই, কারণ এটি প্রায়ই সকালে ব্রাশ করার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিবেচিত হয় না। প্রকৃতপক্ষে, দাঁতের ফাঁকে লেগে থাকা খাবারকে ঘিরে ভোজ উৎসবে মেতে ওঠে মুখের ভেতর থাকা ব্যাকটেরিয়া। এসব ব্যাকটেরিয়া পরে বর্জ্য পদার্থ নির্গত করে, যা অতি মাত্রায় অ্যাসিডিক। এটি দাঁতের এনামেল ভেঙে ফলে। এতে দাঁতের ক্ষয়রোগ ও ক্যাভিটিস দেখা দেয়। যখন আপনি দাঁত ব্রাশ না করে ঘুমাতে যান, তখন এর প্ল্যাক চূর্ণ হতে শুরু করে এবং দাঁতের বহিরাবরণ শক্ত হয়ে যায়। সময়ের ব্যবধানে এটি আরো খারাপ হতে থাকে। একপর্যায়ে চূর্ণ হয়ে যাওয়া প্ল্যাক দূর করা ব্র্যাশ বা ফ্লসের পক্ষে অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়। এতে নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধ, মাড়ির সংক্রমণ এবং রক্তপাত হতে পারে। তাই রাতে ব্রাশ করা গুরুত্বপূর্ণ। কেন রাতে ব্রাশ করা আরো গুরুত্বপূর্ণ রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ব্রাশ না করলে দাঁতে প্ল্যাক বাড়তে থাকে। রাতারাতি তা দাঁতে বহিরাবরণ তৈরি করে যা এসিড উৎপাদনে সহায়তা করে। এতে দাঁতকে ঘিরে ব্যাকটেরিয়া অঞ্চল সৃষ্টি হয়। ঘুমাতে যাওয়ার আগে ব্রাশ করলে যে তিনটি উপকার হয়: ১। অ্যাসিড হ্রাস করে আপনার মুখে ক্রমাগত অ্যাসিড সৃষ্টি হয়। মুখের লালা ক্যালসিয়ামের সঙ্গে মিশে অ্যাসিডের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। কিন্তু রাতে লালা উৎপাদন কম হওয়ায় অ্যাসিড বাড়তে থাকে। রাতে দাঁত ব্রাশ করলে টুথপেস্টে থাকা ফ্লোরাইডের কারণে মুখের লালা বেরিয়ে যেতে পারে না। এতে দাঁত ক্ষয় রোগ থেকে রক্ষা পায়। ২। ব্যাকটেরিয়ার বিস্তার হ্রাস পায় মুখের লালা ব্যাকটেরিয়ার বিস্তার রোধ করে। সুতরাং, ঘুমাতে যাওয়ার আগে ব্রাশ করার মাধ্যমে লালা শুকানোর হাত থেকে রক্ষা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ৩। খাদ্যকণা দ্বারা ক্ষয় হ্রাস রাতে খাওয়ার পর বা ঘুমাতে যাওয়ার আগে ব্রাশ না করলে খাদ্যকণা দাঁতের ফাঁকে লেগে থাকে। সুতরাং, এসব খাদ্যকণা দূর করার জন্য ব্র্যাশ করা জরুরি। সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ