একটি মৌমাছি জীবন চক্র শুরু করার আগে প্রজনন সময়ের সময়, রাণী মৌমাছি আকাশে উড়ে। উড়ন্ত অবস্থায় সেটি একটি পুরুষ মৌমাছির সাথে মিলন করে। রানী মৌমাছি তার ডানা ছড়িয়ে ক্রমাগত উড়ে যায়, প্রায় সব পুরুষ মৌমাছি রাণী মৌমাছির পিছনে উড়তে থাকে।উড়ন্ত অবস্থায় রানি মৌমাছি প্রথম যে পুরুষ মৌমাছির সাথে মিলন করে, তার পরে সেটি মারা যায়। এরপর স্ত্রী মৌমাছি আরো অনেক পুরুষ মৌমাছির সাথে মিলন করে এবং শুক্রাণু সংগ্রহ করে স্পারমা্থেকা তে জমা করে। এরপরে সে মৌচাকে ফিরে আসে এবং ১-২ দিনের মধ্যে ডিম পাড়ে। অনুকুল পরিবেশে ডিম থেকে ৩-৪ দিনের মধ্যে শুক্রকীট বেড়িয়ে আসে।ডিম থেকে বেরিয়ে আসার পর তারা খাবার খায়।এদের খাদ্যকে রয়েল জেলি বলা হয় এবং এই জেলি নার্স মৌমাছির হাইপোফারেনজিয়াল এবং চোয়ালের গ্রন্থি থেকে উৎপন্ন হয়। এরপরে তারা শুককীট গুলোকে একধরনের পাউরুটি খাওয়ায়।প্রত্যেকটি শুককীট ৭ দিন ধরে রয়্যাল জেলি খায়। এই সময় এরা খোলস ছাড়ায় এবং আকারে বড় হয়। ৬-৭ দিন পরে এরা গুটিতে পরিণত হয় এবং খাওয়া বন্ধ করে দেয়।এর পরে শুক্রকীট গুলি বন্ধ চেম্বারের প্রবেশ করে যা গুটি নামে পরিচিত । একসময় এই গুটির শরীরে অনেক পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। পাখা, পা, চোখ এবং শরীরের অন্যান্য অংশের এই সময় বৃদ্ধি হয়। এই সময় গুটি পূর্ণাঙ্গ পতঙ্গের আকার ধারণ করে। গুটি প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে মৌমাছিতে পরিণত হয়। রানী বুড়ি হয়ে গেলে মৌমাছিরা সিদ্ধান্ত নেয় কাকে রানী বানানো হবে। সে মতে যে কোনো একটি নবজাতককে রয়্যাল জেলির চেম্বারে বা কুঠরিতে ঢুকিয়ে দেওয়া হয় আর সেই নবজাতক শতভাগ রাজকীয় সুধা পান করে হয়ে ওঠেন মৌরাজ্যের নতুন সম্রাজ্ঞী।