তাহলে মানুষ কিভাবে সৃষ্টি হল???
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

জন্ম হওয়া মানেই সৃষ্টি হওয়া। তাই আপনি যদি বলেন, মানুষ জন্ম নিয়েছে। তাও ঠিক। যদি বলেন, মানুষ সৃষ্টি হয়েছে। সেটাও ঠিক। এখানে দন্দ্বের কোনো কারন নেই।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call
ধর্ম সংক্রান্ত বিভিন্ন মতবাদ বাদ দিলে বিশেষজ্ঞদের মতে, বর্তমসান কালের সভ্য মানুষের সৃষ্টি হতে লক্ষ কোটি বছর লেগে গিয়েছে। প্রথমে সৃষ্টি হয়েছে বিভিন্ন আকৃতি ও প্রকৃতির উদ্ভিদ। তারপর উদ্ভিদের খাবার তৈরির জন্য বাতাস থেকে কার্বন- ডাই-অক্সাইড শুষে নিয়ে পৃথিবীর বাতাসে অক্সিজেনের মাত্রা বৃদ্ধি করে যখন একটা ভারসাম্য অবস্থার সৃষ্টি হয়-তখন পৃথিবী প্রাণীদের বাসযোগ্য হয়ে উঠে। অবশ্য তখনো মানুষের জন্ম হয়নি। আনুমানিক ১৭ লক্ষ বছর আগে মানুষের জন্ম হয় বলে ধারণা করা হয়। ৪ লক্ষ বছর আগে "জাভা মানুষ" বা সটান খাড়া হয়ে চলা "হোমো ইরেকটাস" মানুষের উৎপত্তি ঘটৈ। ৭০০০০ হাজার বছর আগে দেখা দেয় " নিয়নডারথাল মানুষ"। এদের বাস ছিল ইউরোপ, এশিয়া ও উত্তর আফ্রিকায় । আধুনিক মানুষের পুর্বপুরুষ "ক্রো ম্যানিয়ঁ মানুষের" আবির্ভাব এরও অনেক পরে।
তথ্যসূত্র:SOURCE OF ENJOY
জনাব,জন্ম আর সৃষ্টির মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই।এরা একে অপরের সমার্থক শব্দ মাত্র।
ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

প্রথমত মানুষ তথা আদম এবং তার স্ত্রীকে সৃষ্টি করা হয়েছে অর্থাৎ তাদের কেউ জন্ম দেয়নি। এরপর আদম এবং হাওয়া (আঃ) থেকে মানুষের জন্ম হয়েছে! মানুষ তথা আদম কিভাবে সৃষ্টি হলোঃ প্রথম মানুষ ও প্রথম নবী হিসাবে আল্লাহ পাক আদম (আঃ)-কে নিজ দুই হাত দ্বারা সৃষ্টি করেন (ছোয়াদঃ ৭৫ আয়াত থেকে আংশিক সংগ্রহ) মাটির সকল উপাদানের সার-নির্যাস একত্রিত করে সুন্দরতম অবয়বে রূহ ফুঁকে দিয়ে আল্লাহ আদমকে সৃষ্টি করেছেন। তবে নির্দিষ্ট সময় কখন তা স্পষ্ট নয়। অতঃপর আদমের পাঁজর থেকে তাঁর স্ত্রী হাওয়াকে সৃষ্টি করেন। হে মানুষ! আমি তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছি এক পুরুষ ও এক নারী হতে। (হুজুরাতঃ ১৩) আদম (আঃ) কে সৃষ্টির তিনটি পর্যায় রয়েছে। প্রথমে মাটি দ্বারা অবয়ব নির্মাণ, অতঃপর তার আকার-আকৃতি গঠন ও অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সমূহে শক্তির আনুপতিক হার নির্ধারণ ও পরস্পরের মধ্যে সামঞ্জস্য বিধান এবং সবশেষে তাতে রূহ সঞ্চার করে আদমকে অস্তিত্ব দান। অতঃপর আদমের পাঁজর থেকে কিছু অংশ নিয়ে তার জোড়া বা স্ত্রী সৃষ্টি করেছেন। সৃষ্টির সূচনা পর্বের এই কাজগুলি আল্লাহ সরাসরি নিজ হাতে করেছেন। অতঃপর এই পুরুষ ও নারী স্বামী-স্ত্রী হিসাবে বসবাস করে প্রথম যে যমজ সন্তান জন্ম দেয়, তারাই হলো মানুষের মাধ্যমে সৃষ্ট পৃথিবীর প্রথম মানব যুগল। তারপর থেকে এযাবত স্বামী-স্ত্রীর মিলনে মানুষের বংশ বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। তথ্যসুত্রঃ আল্লাহ মানব সৃষ্টির সূচনা করেছেন কাদামাটি দিয়ে। (সূরা সিজদাহঃ ৭) এরূপ সূরা রূমের ২০ নং আয়াতে বলা হয়েছে। পিতার মেরুদন্ড থেকে নির্গত তরল পদার্থের নির্যাস শুক্রাণু আর মায়ের পাঁজর থেকে নির্গত তরল পদার্থের ডিম্বাণুর মিশ্রণ ঘটে উভয়ের মিলনের মাধ্যমে। এ মিশ্র তরল পদার্থ নিরাপদ স্থান মায়ের জরায়ুতে রেখে দেন, সেখানে প্রবেশ করা হাজারো ডিম্বানু ও শুক্রাণু থেকে আল্লাহর ইচ্ছানুযায়ী শুক্রাণু হতে সন্তান পয়দা করা হয়। আমি কি তোমাদেরকে নগণ্য পানি হতে সৃষ্টি করিনি? অতঃপর আমি তাকে স্থাপন করেছি এক নিরাপদ স্থানে। (সূরা মুরসালাতঃ ২০-২১) সুতরাং মানুষের লক্ষ্য করা উচিত যে, তাকে কিসের দ্বারা সৃষ্টি করা হয়েছে । তাকে সৃষ্টি করা হয়েছে প্রবল বেগে নির্গত পানি হতে, যা বের হয় পিঠ ও বুকের হাড়ের মধ্য হতে। (সূরা তারিকঃ ৫-৭) এরপর এ শুক্রবিন্দুকে পরিণত করা হয় রক্তপিণ্ডে অতঃপর সেটাকে পরিণত করা হয় মাংসপিণ্ডে অতঃপর অস্থি এবং অস্থিকে ঢেকে দেয়া হয় গোশত দ্বারা। তিনিই তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন মাটি হতে, পরে শুক্রবিন্দু হতে, তারপর বের করেন শিশুরূপে, অতঃপর যেন তোমরা উপনীত হও যৌবনে, তারপর হও বৃদ্ধ। (সূরা মুমিনঃ ৬৭)

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ