শরিয়ত মোতাবেক সঠিক উত্তর চাই।
শরিয়ত মোতাবেক পুরুষদের চুল কতদিনের মধ্যে কাটা উচিত সেটা নির্ভর করে ব্যক্তির উপর। কেননা পুরুষের মাথার চুল রাখা ও কাটার ব্যাপারে ইসলামী শরিয়ত নির্দিষ্ট দিন উল্লেখ করেনি।
তবে পুরুষের চুল রাখা ও কাটার ব্যাপারে ইসলামী শরিয়ত তিনটি পদ্ধতি নির্ধারণ করে দিয়েছে।
এক. বাবরি চুল রাখা। বাবরি চুল রাখার তিনটি সুন্নত পদ্ধতি রয়েছে।
১. ওয়াফরা তথা কানের লতি পর্যন্ত চুল রাখা। (আবু দাউদ, ৪১৮৫)।
২. লিম্মা তথা ঘাড় ও কানের লতির মাঝামাঝি পর্যন্ত চুল রাখা। (আবু দাউদ, হাদিস : ৪১৮৭)।
৩. জুম্মা তথা ঘাড় পর্যন্ত রাখা। (আবু দাউদ, হাদিস : ৪১৮৩)।
দুই. মুণ্ডিয়ে ফেলা। ইসলামের দৃষ্টিতে মাথা মুণ্ডিয়ে ফেলাও সুন্নত। (ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়া : ৫/১৪৯, ফাতাওয়ায়ে ফকিহুল মিল্লাত : ১২/৪৩)।
তিন. সব চুল সমান করে কাটা।
ইসলামে প্রতি সপ্তাহে নাভীর নিচ থেকে গোপণাঙ্গসহ অবাঞ্ছিত লোমগুলো পরিষ্কার করার বা কাটার ব্যাপারে ইসলামী শরিয়ত নির্দিষ্ট দিন উল্লেখ করে দিয়েছেঃ
ইসলামে প্রতি সপ্তাহে নাভীর নিচ থেকে গোপণাঙ্গসহ অবাঞ্ছিত লোমগুলো পরিষ্কার করা মুস্তাহাব। আর অন্তত ৪০ দিনের মধ্যে একবার কাটা আবশ্যক। ৪০ দিনের পরও অবাঞ্ছিত লোম পরিষ্কার না করা মাকরূহে তাহরীমী। যা মারাত্মক গুনাহের কাজ।
(সূত্র: সহিহ মুসলিম : ১/১২৯, ফাতাওয়া হিন্দিয়া : ৫/৩৫৭, ফাতাওয়া হক্কানিয়া : ২/৪৬৫, ফাতাওয়ায়ে মাদানিয়া : ৩/৪৮১)।
অবাঞ্ছিত লোমের সীমারেখা হলঃ মুত্র থলির নিচে নিম্নাঙ্গের হাড্ডি থেকে- যেখানে তলপেটের নিচে উক্ত হাড্ডি বরাবর চামড়ার ওপর একটি ভাঁজ থাকে। এখান থেকেই সাধারণত ঘন পশম গজানো শুরু হয়। উক্ত ভাঁজ থেকে নিয়ে লিঙ্গ, অণ্ডকোষ এবং পায়খানার রাস্তা এই তিন অঙ্গের আশপাশে এবং উরুর ওই অংশ, যা অণ্ডকোষদ্বয়ের কাছাকাছি থাকে এবং যা পশমের কারণে ময়লাযুক্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। (সূত্র: ফাতাওয়ায়ে মাদানিয়া : ৩/৪৮২)।
ছেলেদের জন্য অবাঞ্ছিত লোম মুণ্ডানো উত্তম। তবে মেয়েদের জন্য লোমনাশক ক্রিম বা লোশন ব্যবহার করা ভালো। এছাড়াও যে কোনো উপায়ে পরিষ্কার করলেও হয়ে যাবে।