সবাইতো বলে বাজনা যুক্ত গান শোনা হারাম।আসলে এটি কি সত্যি?ব্যাখ্যা করবেন যুক্তি সহ।
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

ইসলামে শুধুমাত্র বাজনা মুক্ত গান তথা গজল তা অসার ও অশ্লীল এবং শিরক ও বিদআতমুক্ত থাকলে গাওয়া এবং শোনা বৈধ। কিন্তু তাতে বাজনা বা মিউজিক থাকলে তা যতই ভাল ও তাওহীদমূলক হোক, গাওয়া ও শোনা বৈধ নয়। জনাব! গান-বাজনা শোনা হারাম। আর তা হারাম হওয়ার ব্যাপারে লেশমাত্র সন্দেহ নেই। সলফে সালেহীন সাহাবা ও তাবেঈন কর্তৃক বর্ণিত হয়েছে যে, গান অন্তরে মুনাফিকী কপটতা উদগত করে। উপরন্ত গান শোনা-অসার বাক্য শোনা এবং তার প্রতি আকৃষ্ট হওয়ার পর্যায়ভুক্ত। আর আল্লাহ তাআলা বলেনঃ মানুষের মধ্যে কেউ কেউ এমনও রয়েছে যারা অজ্ঞতায় লোকেদেরকে আল্লাহ‌র পথ হতে বিচ্যুত করার জন্য অসার বাক্য বেছে নেয় এবং আল্লাহ প্রদর্শিত পথ নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রূপ করে। ওদেরই জন্য রয়েছে অবমাননাকর শাস্তি। (সূরা লুকমানঃ ৬) ইবনে মাসঊদ (রাঃ) উক্ত আয়াতের ব্যাখ্যায় বলেন, সেই আল্লাহর কসম যিনি ছাড়া কেউ সত্য উপাস্য নেই! নিশ্চয় তা 'অসার বাক্য' হচ্ছে গান। সাহাবাগণের ব্যাখ্যা এক প্রকার দলীল। আবদুল্লাহ ইবনে দীনার (রহঃ) বলেন, আমি আবদুল্লাহ ইবনে উমার (রাঃ) এর সাথে বাজারে গেলাম। তিনি সঙ্গীতরত একটি বালিকাকে অতিক্রম করতে করতে বলেন, শয়তান যদি কাউকেও ত্যাগ করতো তবে একেও ত্যাগ করতো। (আল-আদাবুল মুফরাদ, হাদিস নম্বরঃ ৭৮৯) ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। এমন কতক লোক আছে যারা মানুষকে আল্লাহর পথ থেকে ভ্ৰষ্ট করার লক্ষ্যে অবান্তর কথাবার্তা সংগ্রহ করে (সূরা লোকমানঃ ৬) তা হচ্ছে গান-বাজনা ও অনুরূপ বস্তুসমূহ। (তাবারী) (আল-আদাবুল মুফরাদ, হাদিস নম্বরঃ ৭৯১) আহমদ ইবন উবায়দুল্লাহ (রহঃ) নাফি (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা ইবন উমার (রাঃ) বাদ্যযন্ত্রের শব্দ শুনে তার কানে আঙ্গুল ঢুকিয়ে দেন। তিনি সেখান থেকে দূরে গিয়ে আমাকে বলেনঃ হে নাফি ! তুমি কি এখনও কোন শব্দ শুনতে পাচ্ছ। আমি বলিঃ না। তখন তিনি তার কান থেকে আঙ্গুল বের করে বলেনঃ একদিন আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে ছিলাম, তিনি এরূপ শব্দ শুনে-এরূপ করেন। (সূনান আবু দাউদ, হাদিস নম্বরঃ ৪৮৪৪) কুতায়বা (রহঃ) আবূ উমামা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, গায়িকা দাসী বিক্রি করবে না। এবং কিনবেও না। তাদের গান শিক্ষা দিবে না। এদের ব্যবসায়ে কোন কল্যাণ নাই। এদের মূল্য হারাম। এদের মত লোকদের ব্যাপারেই এই আয়াত নাযিল হয়েছেঃ মানুষের মধ্যে কেউ কেউ অজ্ঞতা বশতঃ আল্লাহর পথ থেকে বিচ্যুত করার জন্য অসার বাক্য ক্রয় করে এবং আল্লাহর পথকে ঠাট্রা-বিদ্রুপ করে। ওরা তারাই, যাদের জন্য রয়েছে অবমাননাকর শাস্তি। (সূরা লুকমানঃ ৬) (সহিহাহ ২৯২২, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১২৮৫ হাদিসের মানঃ সহিহ/যঈফ মিশ্রিত)

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ