বর্তমানে বিভিন্ন বক্তারা ওয়াজ করে যে ২০ থেকে ৩০হাজার টাকা গ্রহন করে মাহফিল কমিটির থেকে,সেটা কি জায়েজ? তথা ওয়াজ করে টাকা আয় করা কি জায়েজ?
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

ওয়াজ মাহফিলে ওয়াজ করার পর ওয়াজিনকে যে টাকা দেয় মাহফিল কমিটি,সেটা গ্রহন করা ইসলামের দৃষ্টিতে জায়েজ 
উত্তম হল টাকা পয়সা না নেয়া। কিন্তু যদি কেউ শুধু ওয়াজ নসীহত করার জন্যই নিজেকে ফারিগ করে রাখে। অন্য কোন কাজে ব্যস্ত না থাকে। তাহলে উক্ত ব্যক্তির জন্য ওয়াজ করে পারিশ্রমিক নেয়া জায়েজ আছে।
কিন্তু মাহফিল আয়োজনের পর হঠাৎ কাউকে বয়ানের জন্য বলার পর পারিশ্রমিক চাওয়া জায়েজ নয়। যেমন মসজিদে নামায পড়ানোর জন্য যদি কেউ নিযুক্ত ইমাম থাকে, যে শুধু নামায পড়ানোর জন্য নিজের সময়কে খালি করে রাখে, উক্ত ব্যক্তির জন্য ইমামতীর জন্য পারিশ্রমিক নেয়া জায়েজ আছে।
কিন্তু নামাযের সময় হয়ে যাওয়ার পর নামায শুরু হবার প্রক্কালে একজনকে নামায পড়াতে বললে উক্ত ব্যক্তি নামায পড়ানোর কারণে পারিশ্রমিক দাবি করা বা নেয়া জায়েজ হবে না। {আহসানুল ফাতাওয়া-৭/৩০০, জাদীদ মুআমালাত কি শরয়ী আহকাম-১/২১৩}


ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

সমাজে এমন কিছু লোক আছে যারা বলে, ‘বিনা পয়সায় দীন-দুনিয়ায় শান্তি। তারা বলে- ইসলামী শারীয়াতে যে কোন ধরনের হাদিয়া দেয়া-নেয়া নাজায়েয। এমন কি একথাও বলে যে, ইমামতি করে, ওয়াজ করে হাদিয়া নেয়া জায়েয নাই। কিন্তু আসলেই কি তাই? ইসলামে হাদিয়া নেয়া কি নাজায়েজ? চলুন জেনে নেই ইসলাম কী বলে। আসলে যারা বলে বিনা পয়সায় দীন দুনিয়ায় শান্তি তাদেরকে যতি বলা হয় টাকা পয়সা কামাই রুজি না করে ঘরে বসে থাকতে তখনই তাদের আসল হালত প্রকাশ পাবে। অধিকাংশ মানুষই এখানে সম্ভবত দু’টি বিষয়কে গুলিয়ে ফেলেন। তা হল, হাদিয়া এবং পারিশ্রমিক। হাদিয়া দেয়া ও নেয়া সুন্নত। আর পারিশ্রমিক নেয়া শ্রমিকের অধিকার। এখন যারা ইমামতী, ওয়াজ ইত্যাদি করে স্বীয় সময়কে ব্যয় করেন। তাদের এ সময় ব্যয়ের পারিশ্রমিক নেয়া বৈধ কি না? এ নিয়ে মতভেদ আছে। তবে ফুক্বাহাদের মত হল, ইমামতী, মুয়াজ্জিনী, দীনী শিক্ষকতা ও ওয়াজ করে পারিশ্রমিক নেয়া জায়েজ আছে। ﻋَﻦْ ﻋَﺎﺋِﺸَﺔَ ـ ﺭﺿﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﺎ ـ ﺃَﻥَّ ﺍﻟﻨَّﺎﺱَ، ﻛَﺎﻧُﻮﺍ ﻳَﺘَﺤَﺮَّﻭْﻥَ ﺑِﻬَﺪَﺍﻳَﺎﻫُﻢْ ﻳَﻮْﻡَ ﻋَﺎﺋِﺸَﺔَ، ﻳَﺒْﺘَﻐُﻮﻥَ ﺑِﻬَﺎ ـ ﺃَﻭْ ﻳَﺒْﺘَﻐُﻮﻥَ ﺑِﺬَﻟِﻚَ ـ ﻣَﺮْﺿَﺎﺓَ ﺭَﺳُﻮﻝِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ . ২৪০৪। ইবরাহীম ইবনু মূসা (রহঃ) … ‘আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, লোকেরা তাদের হাদিয়া পাঠাবার জন্য ‘আয়িশা (রাঃ) এর নির্ধারিত দিনের অপেক্ষা করত। এতে তারা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সন্তুষ্টি অর্জনের চেষ্টা করত। [বুখারী, হাদীস নং-২৪০৪] ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ـ ﺭﺿﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ـ ﻗَﺎﻝَ ﻛَﺎﻥَ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ “ ﺇِﺫَﺍ ﺃُﺗِﻲَ ﺑِﻄَﻌَﺎﻡٍ ﺳَﺄَﻝَ ﻋَﻨْﻪُ ﺃَﻫَﺪِﻳَّﺔٌ ﺃَﻡْ ﺻَﺪَﻗَﺔٌ ﻓَﺈِﻥْ ﻗِﻴﻞَ ﺻَﺪَﻗَﺔٌ . ﻗَﺎﻝَ ﻷَﺻْﺤَﺎﺑِﻪِ ﻛُﻠُﻮﺍ . ﻭَﻟَﻢْ ﻳَﺄْﻛُﻞْ، ﻭَﺇِﻥْ ﻗِﻴﻞَ ﻫَﺪِﻳَّﺔٌ . ﺿَﺮَﺏَ ﺑِﻴَﺪِﻩِ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻓَﺄَﻛَﻞَ ﻣَﻌَﻬُﻢْ ” ২৪০৬। ইবরাহীম ইবনু মুনযির (রহঃ) … আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর খিদমতে কোন খাবার আনা হলে তিনি জানতে চাইতেন, এটা হাদিয়া, না সাদকা? যদি বলা হতো, সাদকা তা হলে সাহাবীদের তিনি বলতেন, তোমরা খাও। কিন্তু তিনি খেতেন না। আর যদি বলা হল হাদিয়া। তাহলে তিনিও হাত বাড়াতেন এবং তাদের সাথে খাওয়ায় শরীক হতেন। [বুখারী, হাদীস নং-২৪০৬] সুত্র: ahlehaqmedia2014.com

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ