কোরআন নাজিল হয়েছিল মক্কা মদিনায়, আর মক্কা মদিনার ভাষা(সৌদিআরব) আরবি হওয়ায় কোরআন আরবি ভাষায় নাজিল হয়েছে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

মূল কারণ তো আল্লহ‌ই ভালো জানেন,তবে বাহ্যিক ভাবে চিন্তা করলে তিনটি কারণ পরিলক্ষিত হয়;(১) যে যুগে কুরআন অবতীর্ণ হয়েছে সেই যুগের ভাষায় অবতীর্ণ হ‌ওয়া আবশ্যক। কিন্তু সেই যুগে আরবী ভাষা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভাষা ছিল বিধায় কুরআন আরবী ভাষায় অবতীর্ণ হয়েছে।

(২) যে নবীর প্রতি কুরআন অবতীর্ণ হয়েছে সেই নবীর ভাষা লক্ষনীয় ছিল।কারণ কুরআন অবতীর্ণ হয়েছে বুঝে আমল করার জন্য।আর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ভাষা ছিল আরবী তাই আরবী ভাষায় অবতীর্ণ হয়েছে।
(৩) বলা হয় আরবী ভাষী নবী সবচেয়ে বেশি।প্রায় পঞ্চাশ জন। তাছাড়া এটা জান্নাতের ও ভাষা তাই আরবী ভাষায় অবতীর্ণ হয়েছে।
ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

কুরআনের ভাষা আরবী কেন হলো? এ সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে এরশাদ করেছেন, "এমনিভাবেই আমি এ কোরআনকে আরবী ভাষায় নির্দেশরূপে অবতীর্ণ করেছি। যদি আপনি তাদের প্রবৃত্তির অনুসরণ করেন আপনার কাছে জ্ঞান পৌঁছার পর, তবে আল্লাহর কবল থেকে আপনার না কোন সাহায্যকারী আছে এবং না কোন রক্ষাকারী।" (সূরা আর-রাদ আয়াত নং ৩৭)। এমনিভাবে আমি আরবী ভাষায় কোরআন নাযিল করেছি এবং এতে নানাভাবে সতর্কবাণী ব্যক্ত করেছি, যাতে তারা আল্লাহভীরু হয় অথবা তাদের অন্তরে চিন্তার খোরাক যোগায়।" সূরা ত্বোয়া-হা, আয়াত নং ১১৩)। আরবী ভাষায় এ কোরআন বক্রতামুক্ত, যাতে তারা সাবধান হয়ে চলে। (সূরা আয্‌-যুমার, আয়াত নং ২৮)। অন্যান্য কিতাবগুলোও স্ব স্ব নবীর মাতৃভাষায় নাযিল হয়েছে। ভাষাটা এখানে মূখ্য নয়। মূখ্য হল বার্তা বা সংবাদ যা মহান আল্লাহ তাঁর বান্দাদের বোঝাতে চান। আরবীকে এজন্যই কুরআনের ভাষা হিসেবে নির্বাচন করা হয়েছে যেন আরববাসীরা তা বুঝতে পারেন। মহান আল্লাহ বলেন, "এমনিভাবে আমি আপনার প্রতি আরবি ভাষায় কোরআন নাযিল করেছি, যাতে আপনি মক্কা ও তার আশ-পাশের লোকদের সতর্ক করেন।" (সুরা শুরা, আয়াত নং ৭)।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ