দিনের প্রতিটা সেকেন্ড জুড়ে আমাদের মনে কিছুনা কিছু থাকে, নামাজেও থাকে, নামাজে আল্লাহকে গভীর ভাবে মনে করতে হয়, নামাজ পড়া মানেই আল্লাহর সাথে কথা বলা, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আমি মন থেকে পড়ার চেষ্টা করি, ছোটবেলা স্কুলে একটা হিন্দু মন্ত্র আমার শুনতে শুনতে মুখস্থ হয়ে গেছে, কিছুদিন আগে হঠাৎ আমার মনে হল এটা যদি নামাজে মনে এসে যায়? আমি জানি নামাজে কী কী মনে আনতে হয়, কিন্তু আমি এখাটায় অনেক ভয় পেয়েছি এবং ভয় এর কারণেই আমার সব থেকে বড় ক্ষতি হয়ে গেল, নামাজের ভিতরে ঠিক ওই জিনিসটা মনে আসতে লাগলো, মানুষ চাইলেই তো আর মন থেকে কিছু মুছে ফেলতে পারেনা, মনতো একটা বদ্ধ কৌটার মত না যে আমি ইচ্ছা মত তালাবদ্ধ করে রাখবো, অন্তর থেকে আমি নামাজ আদায়ের চেষ্টা করেছি এজন্যই হয়তো ভয়টা পেয়েছি, কিন্তু এখন আমার নামাজও হচ্ছেনা এবং স্বাভাবিক জীবন যাপনও করতে পারছিনা, আমি এখন কী করবো?
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

আপনি যেহেতু উক্ত বিষয়টির কল্পনা ইচ্ছা করে করেন না, তাই আপনার কোন গোনাহ হবে না। এবং অনিচ্ছা  সত্ত্বেও ওসব মনে পরলে নামায নষ্ট হবে না। তবে, একাগ্রতা বা খুশুখুজুর সাথে নামাজ পড়ার ব্যাপারে কোরআনে কারীমে ও হাদীস শরীফে অনেক জোর তাকীদ দেওয়া হয়েছে। ইরশাদ হচ্ছে,

قَدْ أَفْلَحَ الْمُؤْمِنُونَ . الَّذِينَ هُمْ فِي صَلَاتِهِمْ خَاشِعُونَ

অর্থাৎ, মুমিনগণ সফল। যারা নিজেদের নামাজে একাগ্র। (সূরা মুমিনূন: ১ ও ২) সুতরাং প্রত্যেক মুমিনের জন্য উচিৎ একাগ্রতা ও খুশুখুজুর সাথে নামাজ আদায় করা। তাড়াহুড়া করে নামাজ আদায় করা উচিৎ নয়। তাই আমাদের আকাবির ও পূর্বসুরী আল্লাহ ওয়ালা ও বুযূর্গানে দ্বীন তাদের অভিজ্ঞতার আলোকে বলেছেন, ‘যদি কেউ নিয়মিত পাঁচটি আমল করে তাহলে তার নামাজে খুশুখুজুও একাগ্রতা পয়দা হবে। আমল পাঁচটি হল-

১. নতুন ওযু করে নামাজ পড়া। অর্থাৎ, এক ওযু দ্বারা কোন আমল করার পর ঐ ওযু থাকা সত্বেও অন্য ওয়াক্তের নামাজ আদায় করার জন্য পুনরায় ওযু করা। তবে মনে রাখতে হবে, আগের ওযু দ্বারা নামাজ পড়লেও নামাজ হয়ে যাবে। তারপরও আবার ওযু করে নেয়া উত্তম।

২. নামাজের দাড়ানোর পূর্বে নামাজের গুরুত্ব ও আল্লাহ তাআলার সামনে দন্ডায়মান হওয়ার বিষয়টি নিজের দিলে স্থাপন করা বা ধ্যান করা।

৩. নামাজের প্রত্যেকটি আমল সুন্নত তরীকায় আদায় করা।

৪. নজরকে ঠিক রাখা।

অর্থাৎ, ক. দাড়ানো অবস্থায় সিজদার জায়গায় নজর রাখা।
খ. রুকু অবস্থায় পায়ের পাতার দিকে নজর রাখা।
গ. সিজদারত অবস্থায় নাকের ডগা বা অগ্রভাগের দিকে নজর রাখা।
ঘ. বসা অবস্থায় কোল বা রানের দিকে নজর রাখা।

৫. মুখ দ্বারা এমনভাবে আওয়াজ করে পড়া, যাতে করে নিজের কান দ্বারা শ্রবণ করা যায়-এতটুকু খেয়াল রাখা।

উপরোক্ত আমল করলে আসা করি সমস্যা থাকবে না।আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে একাগ্রতা ও খুশুখুজুর সাথে নামাজ পড়ার তাওফীক দান করুন। আমীন।


ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

এসব হলো শয়তানের প্ররোচনা।তাই এগুলোকে ভয় পাবেন না।এগুলোকে যত ভয় পাবেন শয়তান আপনাকে ততই আরো ভয় দেখাবে অর্থাৎ ওগুলো আপনার ততই মনে পড়বে।এগুলোকে এড়িয়ে চলতে চেষ্টা করুন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

আপনি যতটুকু পারেন নামাজে মনোযোগ দিন।আপনি সূরাগুরো অর্থ বুঝে তিলাওয়াত করুন।আর নামাজে জান্নাত জাহান্নাম নিয়ে চিন্তা করুন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ