আপনি যেহেতু উক্ত বিষয়টির কল্পনা ইচ্ছা করে করেন না, তাই আপনার কোন গোনাহ হবে না। এবং অনিচ্ছা সত্ত্বেও ওসব মনে পরলে নামায নষ্ট হবে না। তবে, একাগ্রতা বা খুশু’ খুজু’র সাথে নামাজ পড়ার ব্যাপারে কোরআনে কারীমে ও হাদীস শরীফে অনেক জোর তাকীদ দেওয়া হয়েছে। ইরশাদ হচ্ছে,
قَدْ أَفْلَحَ الْمُؤْمِنُونَ . الَّذِينَ هُمْ فِي صَلَاتِهِمْ خَاشِعُونَ
অর্থাৎ, মুমিনগণ সফল। যারা নিজেদের নামাজে একাগ্র। (সূরা মুমিনূন: ১ ও ২) সুতরাং প্রত্যেক মুমিনের জন্য উচিৎ একাগ্রতা ও খুশু’ খুজু’র সাথে নামাজ আদায় করা। তাড়াহুড়া করে নামাজ আদায় করা উচিৎ নয়। তাই আমাদের আকাবির ও পূর্বসুরী আল্লাহ ওয়ালা ও বুযূর্গানে দ্বীন তাদের অভিজ্ঞতার আলোকে বলেছেন, ‘যদি কেউ নিয়মিত পাঁচটি আমল করে তাহলে তার নামাজে খুশু’ খুজু’ ও একাগ্রতা পয়দা হবে। আমল পাঁচটি হল-
১. নতুন ওযু করে নামাজ পড়া। অর্থাৎ, এক ওযু দ্বারা কোন আমল করার পর ঐ ওযু থাকা সত্বেও অন্য ওয়াক্তের নামাজ আদায় করার জন্য পুনরায় ওযু করা। তবে মনে রাখতে হবে, আগের ওযু দ্বারা নামাজ পড়লেও নামাজ হয়ে যাবে। তারপরও আবার ওযু করে নেয়া উত্তম।
২. নামাজের দাড়ানোর পূর্বে নামাজের গুরুত্ব ও আল্লাহ তা’আলার সামনে দন্ডায়মান হওয়ার বিষয়টি নিজের দিলে স্থাপন করা বা ধ্যান করা।
৩. নামাজের প্রত্যেকটি আমল সুন্নত তরীকায় আদায় করা।
৪. নজরকে ঠিক রাখা।
অর্থাৎ, ক. দাড়ানো অবস্থায় সিজদার জায়গায় নজর রাখা।
খ. রুকু অবস্থায় পায়ের পাতার দিকে নজর রাখা।
গ. সিজদারত অবস্থায় নাকের ডগা বা অগ্রভাগের দিকে নজর রাখা।
ঘ. বসা অবস্থায় কোল বা রানের দিকে নজর রাখা।
৫. মুখ দ্বারা এমনভাবে আওয়াজ করে পড়া, যাতে করে নিজের কান দ্বারা শ্রবণ করা যায়-এতটুকু খেয়াল রাখা।
উপরোক্ত আমল করলে আসা করি সমস্যা থাকবে না।আল্লাহ তা’আলা আমাদের সবাইকে একাগ্রতা ও খুশু’ খুজু’র সাথে নামাজ পড়ার তাওফীক দান করুন। আমীন।