ইসলামী শরীয়ত অনুযায়ী তিন সময়ে সকল ধরনের নামায আদায় করা নিষেধ- সূর্যোদয়ের সময়, সূর্যাস্তের সময় এবং সূর্য ঠিক মধ্যাকাশে অবস্থান করা কালে।
তাছাড়া হানাফী ফিকহ মতে যে সময়েগুলোতে নফল আদায় করা মাকরূহ-
১/ফজর নামাযের ওয়াক্ত হওয়ার পর থেকে নিয়ে ফজর নামায আদায় করা পর্যন্ত। ২/ফজর নামায আদায় করার পর সূর্যোদয় পর্যন্ত।৩/আসর নামায আদায় করার পর সূর্যাস্ত পর্যন্ত।
একইভাবে এ তিন সময়ে তাওয়াফান্তের নামায ও তাহিয়্যাতুল মাসজিদ নামায আদায় করাও মাকরূহ। উল্লেখ্য, এ তিন সময়ে ফরয ও ওয়াজিব নামাযের কাযা আদায় করা যায়।
এছাড়া আরো যে সময় নফল নামায পড়া যায় না।– # মাগরীবের নামাযের পূর্বে।# খতীব সাহেব খুতবা প্রদানের জন্য বের হওয়া থেকে নিয়ে নামায আদায় করার শেষে পর্যন্ত।# ঈদের নামাযের পূর্বে। # ঈদের নামায আদায় করার পর মসজিদে।# আরাফার ময়দানে দুই নামায একত্রকরণের সময়।# মুযদালিফায় দুই নামায একত্রকরণের সময়। ইত্যাদি।
তবে শাফেয়ী ও অন্যান্য মাযহাব মতে পাঁচ সময়ে নফল নামায আদায় করা মাকরূহ- ১/ফজর নামায আদায় করার পর সূর্যোদয় পর্যন্ত। ২/সূর্যোদয়ের সময় । ৩/আসর নামায আদায় করার পর সূর্যাস্ত পর্যন্ত।
৪/সূর্যাস্তের সময়। ৫/সূর্য ঠিক মধ্যাকাশে অবস্থান করা কালে।
উল্লেখ্য, কোন কারণে নফল আবশ্যক হলে, মক্কায় অবস্থানকালে এবং শুক্রবারের দিন এ তিন অবস্থায় তাদের মতে উল্লিখিত মাকরূহ সময়গুলোতেও নফল আদায় করা যায়।
-সহীহ মুসলিম, হা. নং ৮২৫ ও ৮৩১; সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ৩১৯২; সুনানে তিরমিজি, হা. নং ১০৩০; আল মুজামুল আউসাত লিত তবারানী,হা. নং ৮৫০৬; বাদায়েউস সানায়ে‘: ১/১৮৪-১৮৬, আল ফিকহুল ইসলামী ওয়া আদিল্লাতুহু: ১/১৩৬-১৩৭;ফিকহুল ইবাদাত: ১/১৮৬ ; মারাকিউল ফালাহ: পৃ. ৩১; নেহায়াতুয যাইন শরহু কুররাতুল আইন:১/২২০ ; আল লুবাব ফী ফিকহিশ শাফেয়ী:১/১৪৫-১৪৬ ।